Wap4dollar.com

Thursday 2 April 2015

★★ কিয়ামত কি খুব নিকটে?

★ কিয়ামত কি খুব নিকটে?

→হযরত জিবরাঈল (আঃ) ২৪ হাজার বার দুনিয়াতে হুজুর (সাঃ) এর দরবারে এসেছিলেন এক সাক্ষাতে। হুজুর (সাঃ) জিবরাঈল (আঃ) কে জিঙ্গাসা করেছিলেন, হে জিবরাঈল ! আমার ইন্তেকালের পরে তুমি কতবার দুনিয়াতে আসবে? তিনি বললেন, ১০ বার আসব এবং প্রতিবারই একটি করে জিনিস তুলে নেব। দশম জিনিসটা তুলে নেওয়ার পর ঈসরাফিল (আঃ) সিঙ্গায় ফুঁ দিবেন এবং কেয়ামত আরম্ভ হবে।।

★ দশটি জিনিস হল:-
১। বরকত তুলে নেব।।
২। এবাদত থেকে মজা তুলে নেব।।
৩। পরস্পর মহব্বত তুলে নেব।।
৪। লজ্জা তুলে নেব।।
৫। হক বিচার তুলে নেব।।
৬। ছবর (ধর্য্য) তুলে নেব।।
৭। আলেম থেকে সত্য কথা তুলে নেব।।
((অর্থাৎ একদল আলেম জানা সত্ত্বেও হক কথা বলবে না))
৮। ধনীদের সৎ সাহস উঠিয়ে নেব।।
৯। ঈমানদার থাকবে না, ঈমান উঠে যাবে।।
১০। ক্বারীদের কাছ থেকে কোরআনের তেলোয়াত তুলে নেব।।
((অর্থাৎ কোরআনকে উঠিয়ে নেব))

★নামায না পড়ার শাস্তি★

★ যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

★দুনিয়াতে ছয়টি আযাব :
১। তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা।
২। আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।
৩। যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।
৪। তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।
৫। আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬। ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে।

★ মৃত্যুর সময় তিনটি আজাব :

১। অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিবে।
২। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩। মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে।

★ কবরের মধ্যে তিনটি আজাব :

১। তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২। তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩। আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।

☑আমাদের মধ্যে যারা মুসলিম আছে আসুন ভাই আমরা সকল ভাই ও বোনেরা নিয়মিত এবং সময়মত নামাজ পড়ি, অপর ভাইদের ও বলি নামাজ পরার জন্য। তাহলেই একমাত্র আমাদের সমাজ এ প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি আসবে।

★কোরআন শরিফে ১বার না ২বার না ৩ বার নয় ৮২ বার বলা হয়েছে তোমরা নামায
কায়েম করো………..............

★★★আল্লাহ্ পাকের "পনেরটি আজাব"-

যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক “”পনেরটি আজাব”” নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায় তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে ও তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

★★দুনিয়াতে ছয়টি আযাবঃ–

১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা।

২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন
উঠাইয়া লইবেন।

৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব
পাইবেনা।

৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল
হইবে না।

৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর
অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত
করা হইবে।

★★মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ–

১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতুবরণ করিবে।

২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।

৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,
তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান
করিয়া ফেলিতে।

★★কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ–

১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক
পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত
হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।

২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন
জ্বালাইয়া রাখা হবে।

৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত
ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত,
জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিবহইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্তলোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে।

★★হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ–

১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের
দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের
মাঠে লইয়া যাইবে।

২. আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের
দৃষ্টিতে দেখবেন না।

৩, সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে।

★★হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন আর আমাদের সবাইকে এইসব ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন, এবং আমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসীব করুন।

★★★জেনে নিন, নামাজে মনোযোগী না থাকার কারণগুলো -

→ সালাত আরবী শব্দ, বাংলায় নামাজ। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হলো নামাজ। নামাজ বান্দাকে আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে সাহায্য করে। নামাজের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা আসে। নামাজ বান্দাকে সুন্দর পথ দেখায়। নামাজের মাধ্যমে শারীরিক কসরত হয়। সুস্থ থাকতে বান্দাকে সাহায্য করে।

হাদীসে বলা হয়েছে, বান্দা যখন সিজদায় যায় তখন সে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় হয়। কোরআনে প্রায় ৮২বার আল্লাহ নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন। হাদীসে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক তাগিদ দিয়েছেন নামাজ আদায়ের ব্যাপারে।

নামাজ হলো এমন এক ইবাদত যা মুসলিম ও অমুসলিম এর মাঝে পার্থক্য করে দেয়। নামাজ মানুষকে সব প্রকার পাপ কর্ম থেকে দূরে রাখে। নামাজেই কেবলমাত্র মানুষের অন্তরকে শান্তি দিতে পারে।

কিন্তু নামাজ আদায় করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনোযোগ থাকে না। কল্পনার জগতে মানুষ বড়ই বেপরোয়া। নামাজে ইচ্ছা করেও ধরে রাখতে পারে না মনোযোগ।

নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকলে বান্দা বিপথগামী হয়ে পড়ে। নিজেকে সংশোধনী থেকে বিরত রাখে। শয়তান বান্দাকে সে পথেই ধাবিত করতে থাকে।

নামাজে যতসব কল্পনা। অনেক কঠিন বিষয়ের সমাধান খুব সহজে চলে আসে নামাজে দাঁড়ালে। অনেক জটিল হিসাব খুব সহজে মিলে যায়। কেন সালাত (নামাজে) মন থাকে না তার বাস্তবসম্মত কিছু কারণ তুলে ধরা হলো। এসবের কারণ হতে পারে নিচের যেকোনো একটি বা একাধিক বিষয়ে।

১. সালাতকে নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান মনে করা : কেবলমাত্র কিছু মুখস্ত সুরা, দোয়া, মন্ত্রের মত পাঠ করা। তারপর রুকু করা, সিজদাহ করা- এভাবে নামাজ শেষ করা। পুরো বিষয়টি কেমন যেন একটা যান্ত্রিকতা ও অনুষ্ঠানিকতা। সালাতের সাথে অন্তরের একটা যে যোগসাজশ আছে তা অনেকেরই উপলব্ধি হয় না।

২. সালাতকে যথাযথ মূল্যানয় না করা : দৈনন্দিন আর পাঁচটা কাজের মত মনে করা। অথচ দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াবির একমাত্র উপাই।

৩. পাপ কাজে ডুবে থাকা : নিয়মিত সালাত আদায় করা সত্ত্বেও অনেক মুসল্লি আছেন যারা প্রকাশ্য ও নিয়মিত পাপে ডুবে থাকেন। মানুষ স্বভাবত যেসব করে তা তার সব সময় মনে থাকে। নামাজে সিনেমার কোনো অংশ মনে আশাটা অসম্ভব নয়। অনেকে আবার নাটক, সিনেমার, মাঝে মাঝে বিরতি বা অ্যাড দেয়ার সময় খুব তাড়াতাড়ি করে নামাজ সেরে ফেলেন।

৪. অর্থ না বোঝা : সালাত যেহেতু পুরোটাই আরবি ভাষায় তাই এর অর্থ আমরা সহজেই বুঝি না। অর্থ না বোঝার ফলে আমাদের মুখস্ত সুরাগুলো মুখে বলতে থাকি কিন্তু অলস অন্তর অন্য চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আর যদি বোঝা যেত তাহলে অন্তর সেটা নিয়ে ভাবতো।

৫. আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার বেশি মূল্যায়ন করা : আজকাল সবাই সাথে সাথে ফিড ব্যাক পাওয়ার চিন্তা বেশি করে। নামাজের ওয়াক্তে অন্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে নামাজকে ভুলে। বিশেষ করে উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের তোয়াক্কা না করা।

৬. সালাতের হুকুম আহকাম ঠিকভাবে অনুসরণ না করা। রাসুলে কারীম (সা.) যেভাবে নামাজের নিয়ম দেখিয়েছেন তা সঠিকভাবে না মানা।

৭. শয়তানের ধোঁকা : যেহেতু সালাত সবচেয়ে বড় ইবাদত তাই এতে শয়তানের ধোঁকাও বেশি। শয়তান তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বান্দার সালাত নষ্টের কাজে নেমে পড়ে। কিছু শয়তানের এ ব্যাপারে কাজ ভাগ করে দেয়া থাকে। সালাতে এদিক ওদিক তাকানো এটাও শয়তানের প্রভাবের ফল।

৮. নিয়মিত কোরআন-হাদীস পাঠ না করা। কোরআন-হাদিস নিয়মিত পাঠ না করলে শয়তান বান্দাকে অন্যদিকে ধাবিত করে।

★নামাজের উপকারিতা অপরিসীম★

যখন আমরা সালাত আদায় করি,তখন আমরা শারীরিক ভাবে উপকৃত হই। তবে মুসলমানরা শুধু শারীরিক উপকারিতার জন্য সালাত আদায় করে না ।
এটা হলো বাড়তি উপকার। আমরা সালাত আদায় করি আল্লাহ সুবাহানাল্হ তায়ালার প্রশংসা করার জন্য । নামাজের এই সকল চিকিত্সা বিজ্ঞানের লাভ গুলো অবিশ্বাসী এবং যারা মুসলিম নয় তাদের আকর্যন করবে । কিন্তু আমাদের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহুর সন্তষ্টি এবং নামাজের দ্বারা সঠিক পথ অর্জন করা ।
নামাজের মাঝে সিজদা করি। যখন আমরা সিজদায় যাই তখন আমাদের ব্রেনে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় । এতে আমাদের ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । যখন আমরা সিজদা করিতখন আমাদের মুখের চামড়ায় ও ঘাড়ে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় এতে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায় । এটা শীতকালে আমাদের জন্য খুবই উপকারি ।আসলে এই নামাজের মাধ্যমে সমস্ত শরীরের চিকিত্সা হয় ।
কিছু লোক আছে আমাকে জিজ্ঞেসা করে যে, কিছু মুসলমান প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে কিন্তু তারা প্রতারক এবং অসত্ প্রকৃতির ও নীতিহিন লোক, তাহলে আপনি কি করে বলেন যে, Shalat is the programme towards righteousness- এই প্রশ্নের উওর সূরা আল-মুমিনন১-২ আয়াত। সে সকল বিশ্বাসীরা সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজে বিনয়ীঁ । সুতরাং আল্লাহ বলেন, তারা সফলকাম হবে এবং প্রকৃতপক্ষে লাভবান হবে যারা মনোযোগ ও বিনয় সহকারে নামাজ আদায় করবে, কিন্তু তারা লাভবান হবে না যারা মনোযোগ ও বিনয় ব্যতীত নামাজ আদায় করে । সুতরাং যে সকল মুসলমান নামাজ আদায় করার পরও অসত্ ও নীতিহীন, তারা মুলত মনোযোগ ও বিনয় সহকারে নামাজ আদায় করে না।

((((((((((((মোঃনাঈম নওরোজ))))))))))))