Wap4dollar.com

Tuesday 31 July 2018

জান্নাতের_কিছু_কথা



জান্নাতে সর্ব প্রথম গান শোনাবেন হুরেরা, তাতে কেটে যাবে ৭০ বছর, জান্নাতি বাতাসে গাছের পাতার সাথে মিলিয়ে অপূর্ব এক বাজনা সৃষ্টি করবে, আর জান্নাতের হুরদের সাথে সুর মিলাবে
সুরের মুর্ছনায় গোটা জান্নাত মুখরিত হয়ে যাবে।
.
আল্লাহ্ তখন জান্নাত বাসীদের কাছে জানতে চাইবেন,"কেমন লাগলো "সকলেই জবাব দিবে, খুব ভাল,"আল্লাহ্ বলবেন," এর চেয়েও ভাল শোন জান্নাত বাসী বলবে"হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি
তখন আল্লাহ্ হযরত দাউদ (আঃ)কে ডাক দিয়ে বলবেন, "হে দাউদ এবার তুমি শুনাও" । দাউদ (আঃ) বলবেন,"হে আল্লাহ্ আমার কন্ঠ তো দুনিয়াতে ছিল যবুর শরীফে, আল্লাহ্ বলবেন,তোমার কন্ঠ ফিরিয়ে দিলাম কোরআন শরীফ শোনাও
হযরত দাউদ(আঃ) কোরআনের সুরা আর রহমান শোনাবেন! জান্নাত বাসী মুগ্ধ হয়ে যাবে।
.
আল্লাহ্ আবার বলবেন, "কেমন লাগলো
"জান্নাতিরা বলবে, মারহাবা, খুব ভাল লাগলো আল্লাহ্ বলবেন, এর চেয়ে ভাল শোন জান্নাত বাসীরা, বলবে হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি হতে পারে আল্লাহ্ পাক রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলবেন, হে আমার প্রিয় হাবিব এবার আপনি ওদের শোনান!রাসুলুল্লাহ্(সাঃ) কোরআনের হৃদয় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবেন পুরা জান্নাত আনন্দে মুখরিত হয়ে যাবে আর ধ্বনি তুলবে,"আল্লাহু আকবার "
.
আল্লাহ্ আবারও জানতে চাইবেন,কেমন লাগলো? জান্নাতবাসীরা বলবেন, আল্লাহ্ সবকিছু থেকে এটাই বেশি ভাল লাগলো!"আল্লাহ্ বলবেন,"এর চেয়েওভাল আছে,"জান্নাতবাসী অবাক হয়ে বলবে,আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কিছু আছে
আল্লাহ্ জবাব দিবেন,"এর চেয়ে ভাল যা তা হলো তোমাদের রব! আল্লাহ্ বলবেন, "রিজওয়ান (একজন ফেরেস্তা)পর্দা সরিয়ে দাও, আজ আমার বান্দা আমার দীদার করবে, আমাকে দেখবে।
.
"আল্লাহু আকবার"!পর্দা সরে যাবে ও সবাই আল্লাহর দীদার লাভ করবে
আল্লাহুকে দেখার পরে বান্দা অস্থীর হয়ে যাবে তখন জান্নাতের হুর কি? শরাব কি ?নহর কি? ফল কি? সব কিছুকে মূল্যহীন মনে হবে বান্দা বলবে,"আল্লাহ্ কিছুই চাইনা, শুধু তোমার দীদার চাই!তোমাকে দেখতে চাই "আল্লাহ্ আমাদের কে জান্নাতে কবুল করুন।

শেয়ার করে অন্য বন্ধু'কে পড়ার সুযোগ করে দিন।

চোখে পানি বেড় হওয়ার মত?

#আমিন  

Sunday 29 July 2018

রাগ দমন করা এবং ক্ষমা করার গুন

আপনার সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করেছে? আপনার কি প্রচন্ড রাগ হচ্ছে? কোনোমতেই তাকে ক্ষমা করতে পারছেন না? তাহলে জেনে নিন আল্লাহ আপনার ব্যাপারে কুরআন এ কি বলেছেন।

الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ  يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। (অাল কুরঅান: ৩/১৩৪)

.অাশ্চর্য!!!

কাউকে ক্ষমা করলে আল্লাহর ভালবাসা পাওয়া যায়!!! কেনই বা যাবেনা? আপনি যে আল্লাহর জন্যই আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এই যে আমরা আল্লাহর এত নাফরমানী করি, আল্লাহর কি রাগ হয় না? অবশ্যই হয়। কিন্তু আল্লাহ ধৈর্যশীল ও ক্ষমার অপূর্ব নিদর্শন। তাইতো তিনি আমাদেরকে সুযোগ দেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য। এবং আল্লাহ চান যাতে আপনিও তেমন উদার হতে পারেন। আপনি যদি কাউকে ক্ষমা করেন এতে কিন্তু আপনার দুদিকেই লাভ। আপনার সাথে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক ঠিক থাকছে পাশাপাশি মহান সত্তা আপনাকে ভালোবাসছেন। আল্লাহ পাক আরো বলেন -

إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا

তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।

(অাল কুরঅান:৪/১৪৯ )

তার মানে মানুষকে ক্ষমা করলে অাল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়।

তাই কেউ আপনাকে কষ্ট দিলে,কারো আচরণে কষ্ট পেলে তাকে আজই ক্ষমা করে দিন। যে আপনাকে কষ্ট দিল সে যেন আপনাকে জান্নাতে যাওয়ার একটা সুযোগ করে দিল।তাকে ক্ষমা করে দিন এবং আদায় করে নেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ক্ষমার ঝর্ণাধারা।

Friday 27 July 2018

চাকুরীজীবি “স্ত্রী” স্বামীর জন্য জাহান্নাম




আপনার স্ত্রী-যদি চকুরি করে অথবা চাকুরী করা মেয়ে আপনি বিয়ে করেন। তাহলে অপনার দুনিয়া ও আখিরাত দুইটাই হারাতে হবে, আপনার ঠিকানা জাহান্নাম হবে । কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎ বানীর উপরে আপনি সতর্ক হননি । কু্রআনের নির্দেশনা আপনি মানেন-নি । সূরা নিসা # আয়াত-34


পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া। সূরা নুর- আয়াত-30-31


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎ বানী


1) নারী পরুষের উপরে কর্তৃত্ব দেখাবে ।


2) মহিলা নেতা হবে ।


======আপনার স্ত্রী চাকুরী করলে আপনার “আখিরাত” কি ভাবে হারাবে...? ।=======


1) প্রথমত আপনি আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধাচারন কারী, এবং আপনার দ্বায়িত্ব আপনার পরিবার ও আপনার বৌয়ের খরচ বহন করা । খরচ বহন বলতে এটা নয় যে, বৌয়ের জন্য 3000 টাকার শাড়ি কেনা ।


2) আপনি রাসূলের ভবিষৎ বানীতে সতর্ক হননী । 3) আপনার বৌ পর্দা-না করে অফিসে যাওয়ার কারনে শত শত মানুষ তার সাথে চোখের জেনা করছে, সহ কর্মিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে । পৃথীবিতে প্রায় 90% চাকুরীজিবি মহিলা পর্দা করে না বা পর্দা করলে ওই চাকুরি করা যায় না । (পর্দা মানে ঃ টাইট বোরকা পরা নয়, মাথায় হিজাব পরা নয়, বিভিন্ন ডিজাইনের কাটা ফাটা বোরকা পরা নয় ।)


4) স্বামীর হক আদায় করছে না । 5) আপনার স্ত্রী সাজ সজ্জা করে অফিসে যাচ্ছে, এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করছে । (যা সরাসরি আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধাচান)


6) মহিলাদের চাকুরি করা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অদর্শ নয় ।


7) আপনার বৌয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে কোন যুবক জেনায় লিপ্ত হতে হবে ।


আপনার বৌয়ের চাকুরি করার কারনে পাশের বাড়ির মেয়েটাও চাকুরি করার অনুপ্রেরনা পাবে । হারাম কাজ করা ও অনুমতি দেয়া, নিজের সামনে সাভাবিক ভাবে করতে দেয়ার কারনে আপনি ও আপনার স্ত্রী উভই জাহান্নামী হবে । এবং আপনি আখিরাত হারাবেন । যারা উপরের ও নিচের বিষয়গুলোর যথার্ততা যাচা্ই করে চাকুরি করতে চায় তারা চাকুরি করতে পারবে । তবে বর্তমান এই বিষয়টা সহজ নয় । 



======আপনার স্ত্রী চাকুরী করলে আপনার দুনিয়া কি ভাবে হারাবে..? ।=======


1) আপনি হয়ত ভাবছেন স্ত্রী চাকরী করলে টাকা বেশী ইনকাম হবে, শান্তিতে থাকতে পারবেন । কিন্তু ঘটে তার উল্টা তার ইনকামের টাকা সে তার ইচ্চা মত খরচ করবে । আর আপনার ইনকাম দিয়ে সংসার ও তার খরচ চলবে । 


2) অফিসের কাজের প্রয়োজনে তাকে রাতে বাড়ি ফিরতে হতে পারে । যা কোরান ও হাদিস ও সামাজিক ভাবে খুবই বিপদজনক ।


3) সারাদিন অফিস থাকায় সে বাড়ির সাভাবিক কাজ করতে সময় পাবে না । আপনাকেই আপনার কাপড় ধুতে হবে । শুধু তাই নয় আপনার বৌয়ের কাপড় ধুতে হবে । সেটা কোন ব্যাপার না কিন্তু বৌ আপনার যে সাহয্যকারী হবার কথা ছিল ঠিক উল্টই হবে । 


4) আপনাকে আপনার মা/বাবা থেকে আলাদা করে নিজের মত অন্য খানে থাকার বন্দ বস্ত করবে । কারন সে কোন ঝামেলা নিতে পছন্দ করবে না । 


5) তার প্লান আপনাকে তাকে সব থেকে বেশী প্রধান্য দিতে হবে ।


6) সারাদিন অফিস থাকায় রান্না ও খাওয়া আপনার ও আপনার পরিবারের সাভাবিক কর্যক্রম ব্যহত হবে, ।


 7) অফিস শেষে দুই জনই ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে একে অন্যের উপর খবরদারী করতে  হবে। দুই জনই ব্যস্ত থাকায় নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা কমে যাবে ।


9) দুজনের অফিসের চিন্তায়/ক্লান্ত থাকায় আপনাদের শারিরিক মিলনে প্রভাব ফেলবে, যা পরবর্তীতে ভয়ংকর রুপনিবে ।


10) আপনাকে আপনার, আপনার বৌয়ের, আপনার অফিসের, আপনার বৌয়র অফিসের চিন্তা করতে হবে ।


11) সন্তান জন্ম নিলে ছোট থেকেই অন্যে কাছে রেখে অফিসে যেতে হবে । যা আপনার সন্তানের বিপথে নেবার সম্ভাবনা অনেক বেশী ।


12) পরিবার-টা আপনার হলেও আপনার কোন দাম থাকবে না । আপনাকে শুধু আপনার পরিবারের সিকিউরিটি গার্ডের দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে । 


13) আপনার মেয়েও আপনার বৌয়ের পথ অনুসরন করবে ।


14) কেউ কাউকে যথা যত সময় দিতে পারবেন না ।


15) পৃথীবিতে যত বড় পন্ডিত-ই আপনি হন না কেন বৌ চাকরি করলে আপনাকে আপনার বৌয়ের গোলামী করতেই হবে । (অবিরাম গ্যারান্টি)


16) আপনার বৌ অন্য কারও  সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরতে পারে ।


17) আপনার বৌ যেহেতু ইনকাম করে সে কারনে সে আপনাকে সে প্রাধান্য দিবে না ।


18) সিদ্ধান্ত যাই হোক আপনাকে আপনার বৌয়ের সিন্ধান্ত অনুযায়ী চলা ফেরা করতে হবে। 


19) দুজনই সম ক্ষমতা লাভ করায় কেউ কাউকে তোয়াক্তা করে চলতে চাইবে না । বিশেষ করে আপনার -বৌ । 


20) আমি তোমার রান্না/কাপড় ধোয়ার জন্য পড়ালেখা করিনাই এই কথা আপনাকে সারা জিবন শুনতে হবে । কিন্তু আপনি কোন দিন ও বলতে পারবেন না যে, আপনি পড়ালেখা করেছেন কেন ।


21) শান্তির পিছনে আপনি 320 কিঃ মিঃ গতিতে ছুটলেও শান্তিকে আপনি কখনই ধরতে পারবেন  না। 


22) সমাজে আপনাকে ভদ্রতা এবং সামাজিকতার মুখোস পরে থাকতে হবে ।


23) আপনার স্ত্রী ও আপনি দুজনই অ্ন্যের প্রতি আকৃষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশী । যা এক সাথে থাকা আর চাকুরি করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হবার একেবারে বিপরীত । 


24) অধিক সন্তানের পিতা হতে পারবেন না তাই বৃদ্ধ বয়সে আপনাকে সহযোগিতার হাত থাকবে না।


 23) উপরের সমস্ত বিষয় একবারে বাস্তব গল্প থেকে নেয়া যা আমি সমাজের চারি পাশে দেখেছি । উপরের কথাগুলো কোন চাকুরিরত মহিলা দেখলে সে তার পাল্টা মাতামত দিতে পারে কিন্তু উপরের কথা গুলো কিন্তু সত্যই থাকবে ।


             সব থেকে বড় কথা হলো আপনি ও আপনার স্ত্রী জাহান্নামী হবেন ।

              যদি তওবা করে ফিরে আসেন তো আল্লাহ মাপ করতে পারে।
                                                    ===========

ফিতনার আসংখা না থাকলে কিছু ক্ষেতে হয়তো বা চলবে সম্ভবত হিজাব মেনে,,,,,,,,,,,, যেগুলি মহিলাদের জন্য দরকার,,,,,, মানে মহিলা ডাক্তার মহিলাদের জন্য মহিলা শিক্ষক।






Wednesday 25 July 2018

★★★ ভেজাল মধু চেনার সহজ উপায় জেনে নিন


মধুকে আমরা সকলেই চিনি। এটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। মধুতে আছে নানা রকম রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। প্রাচীন কাল থেকেই গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারানোর কাজে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধু কখনও নষ্ট হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, কি করে জানবেন যে মধু আপনি খাচ্ছেন, সেটি খাঁটি কিনা? এখন বাজারে নানান রঙের মোড়কে মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করাও এখন খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। শুধু তাই নয়, অনেক নামী সংস্থার প্রক্রিয়াজাত মধুতেও মেলে ভেজাল। আসুন, জেনে নেয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেয়ার কিছু সহজ উপায়।


১) মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।


২) মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।


৩) বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। কিন্তু যদি বয়াম-সহ মধু গরম জলে কিছু ক্ষণ রেখে দেখুন। এই চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।

৪) গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা জল নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল। আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশী, তাই তা সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু জলে মিশবে না।


৫) একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালাবার চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে জল মেশানো আছে।


৬) এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

  

৭) এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।


৮) শীতের দিনে বা ঠান্ডায় খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়।

Monday 23 July 2018

আর্জেন্টিনার ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য


আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি তর্ক হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নিয়ে। আর এই তর্কে অনেক সময় চলে আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মুসলিম বা ইসলাম নিয়ে। চলুন এবার জেনেনেই আর্জেন্টিনার ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে।


আর্জেন্টিনায় মুসলিম জনসংখ্যা আছে। আছে অনেক মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। আর্জেন্টিনাতে প্রায় ৫ লাখ মুসলিম আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম আছে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় শহর বুয়েনস আইরেসে।

আর্জেন্টিনায় সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মান করা হয় ১৯৮৩ সালে। বুয়েনস আইরেসে সেই মসজিদটির নাম আল তৌহিদ মসজিদ। এটি মুলত শিয়া জনগোষ্ঠির জন্য। এই মসজিদটি তৈরি করতে সহায়তা করে ইরানের অ্যাম্বাসি। ১৯৮৫ সালে আরো একটি মসজিদ তৈরি করা হয় যার নাম আল আহমদ মসজিদ এবং এটি তৈরি করা হয় সুন্নি সম্প্রদায়ের জন্য। এছাড়াও আরো কিছু মসজিদ আছে আর্জেন্টিনাতে যাদের মধ্যে করদোবা শহরে দুটি, মার দেল প্লাটা শহরে দুটি, এবং অন্যতম সেরা মসজিদ সুফি মসজিদ তৈরি করা হয়।

আর্জেন্টিনায় আছে কিং ফাহাদ ইসলামিক সেন্টার, দুটি জুম্মা মসজিদ। এছাড়াও আছে ইসলামিক অরগানাইজেশন অব ল্যাতিন আমেরিকা।


আর্জেন্টিনায় মুসলিমরা জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায় এবং নারীরাও মসজিদ ব্যবহার করতে পারে। অবশ্য নারীদের মসজিদ ব্যবহার করার আইন হয়েছে বেশি দিন হয়নি। তবে আর্জেন্টিনা সরকার মুসলিমরা যাতে তাদের ধর্মীয় কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছে।