Wap4dollar.com

Wednesday 31 October 2018

আপনার ব্রেইনের সাংঘাতিক ক্ষতি করছে যেই জিনিসগুলি! [বিজ্ঞান বিষয়ক আর্টিকেল]



মানবদেহের সকল অঙ্গই মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল। মস্তিষ্ক থেকে সংকেত দেয় বলেই ঠিকঠাক মতো কাজ করে দেহের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। আর তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি। আর এর জন্য চাই বিশেষ যত্নের ও সাবধানতার।

যে ৮টি ভুলে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার মস্তিষ্ক আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলোঃ

অপর্যাপ্ত ঘুম
—————
যেকোনো মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এতে কম বয়সেই স্মৃতিশক্তি কমে যায়, দেখা দেয় নানা সমস্যা।

মাথা ঢেকে ঘুমানো
——————-
আমরা অনেকেই ঘুমানোর সময় চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে ঘুমাই। এতে চাদরের নিচের বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।

কথা বেশি বলা, কম বলা
———————–
অনেকেই আছেন যারা কথা বলেন খুব কম। যারা কথা বলেন কম, তারা এখন থেকে আরেকটু বেশি কথা বলুন। কারণ কম কথা বললে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তবে যারা মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন- তাদের মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ মারাত্মক। ক্ষতিকারক রেডিয়েশনের প্রভাব তো আছেই, বরং কাজে অনিহা বাড়াতে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথোপকথন বিশেষভাবে কাজ করে।

অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ
————————
অনেকেই অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ করেন থাকেন। অসুখ নিয়ে পড়াশোনা করা কিংবা মস্তিষ্কে চাপ তৈরি করে এমন কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তাই অসুস্থতার সময় কাজ না করে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

ধূমপান ও মদ্যপান
——————-
ধূমপানের নেশা ছাড়তে দিনক্ষণ ঠিক না করে, আজই, এ মুহূর্তে ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত ধূমপান মস্তিষ্কের, তথা সারা দেহের ক্ষতি করে। আর যারা অ্যালকোহলে আসক্ত ভবিষ্যতে তাদের মস্তিষ্ক দিনে দিনে কার্যকারিতা হায়, হ্রাস পায় স্মৃতিশক্তি।

বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার অভাব
———————-
যারা প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ করার পর বেকার হয়ে বসে থাকেন, অথবা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ কম করেন, তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে বাসা বাঁধে বিষণ্নতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাছাড়া উপস্থিত বুদ্ধি কমে যায় এবং সব কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া
——————————-
মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার নেশা আছে অনেকেরই। আর যাদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার নেশা আছে তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।

বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ
———————
বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণ এখন একটি প্রধান সমস্যা। আর এ দূষণের ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিক হলো মস্তিষ্কের ক্ষতি। বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া মস্তিষ্কের বারোটা বাজানোর জন্য শব্দ দূষণের জুরি নেই। যারা অতিরিক্ত শব্দময় স্থানে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান, তাদের মেধা ও মানসিকতা- দুয়েরই ক্ষতি হয়।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই বিষয়গুলো মেনে চললে সবাই সুস্থ থাকবেন আশা করি  আজ এখানেই বিদায় জানাচ্ছি।

Tuesday 30 October 2018

জেনে নিন অলিভ ওয়েল কি কি উপকার করে

 জলাপাই তেল বা যাকে আমরা অলিভ ওয়েল বলি। সেই অলিভ ওয়েল আসলে আমাদের কি কি উপকার সে বিষয়ে জানার জন্যই আজকের এই টিপস।



জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল সাধারণ একটি তেল হলেও এটি আমাদের প্রভূত উপকার করে থাকে। কিন্তু কি কি উপকার করে এই অলিভ ওয়েল তা আমাদের জানা নেই। এই অলিভ ওয়েল আমাদের অনেক উপকার করে থাকে।


শোনা যায়, মানুষের শরীরের শান্তির দূত হলো জলপাইয়ের তেল বা অলিভ ওয়েল। আরবিতে জয়তুন নামে ডাকা হয়। ভেষজ গুণে ভরা এই ফলটি লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও পরিচিত। গ্রীক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণ এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে।


অলিভ ওয়েল-এ কি কি গুণ রয়েছে

বিজ্ঞানীদের মতে, জলপাই তেলে এমন উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল পেটের জন্য খুব ভালো। এটা শরীরে এসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার করে। যাদের কোষ্টকাঠিণ্য রয়েছে, তারা দিনে এক চা চামচ জলপাই তেল খেলে উপকার হবে।



ত্বকের যত্নে জলপাই তেল

বিজ্ঞানীদের মতে, এই জলপাই তেল ত্বকের যত্নে ভালো কাজ করে। জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুচকানো প্রতিরোধ হয়। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।শুষ্ক তালু প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলের গুণে। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে।


ধর্মেও রয়েছে জলপাই তেলের উপকারের কথা

ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেল খাওয়া এবং ব্যবহারের গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, “কুলু আয যাইতু ওয়াদ দাহিনু বিহি, ফা ইন্নাহু মিন শাজারাতিন মুবারাকাতিন” অর্থ- তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।”


কোলেস্টরেল কমাতেও জলপাই তেল

কোলেস্টরেল কমাতেও জলপাই তেল বিশেষ উপকার করে থাকে। আর তাই যাদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই।


কানের সমস্যায় জলপাই তেল

যাদের কানের সমস্যায় রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল বিশেষ উপকার করে থাকে। কানের মধ্যে চুলকানি এ গন্ধ হওয়া এমন বেশ কিছু নর্মাল সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান করে এই জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল। কটন বার অলিভ ওয়েলে ভিজিয়ে খুব সাবধানে কানের মধ্যে দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তবে কোন মতেই যেনো কানের মধ্যে কাঠির চাপ না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বা ড্রপারে করে এক বা দুই ফোটা অলিভ ওয়েল কানে দিতে হবে। এতে কানের চুলকানি কমে আসবে। তবে কানে বড় কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


শিশুদের গায়ে বিশেষ করে শীতের দিনে এই জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল অত্যান্ত উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত। এভাবে জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল আমাদের প্রভূত উপকার করে থাকে। তাই জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল সম্পর্কে সচেতন হবেন এবং এর ব্যবহার বাড়িয়ে নিজে সুন্দর থাকুন এবং পরিবারের অন্যসব সদস্যদেরও সুস্থ্য সুন্দর থাকতে সাহায্য করুন।

Tuesday 9 October 2018

Bangladesh Ordnance & Defense


#Entertainment Post : মাঝে মাঝে লাইফে হাসতে হয় 😂😂,

********মিলিটারি এয়ারক্রাফট এ টয়লেট সমাচার !***********

ব্যাপারটা খানিকটা বিনোদনদায়ী খানিকটা কষ্টকর।কেননা আপনি-আমি যেভাবে বাথরুমের কমোডে বসে আনগাইডেড বোমাবর্ষণ করিতে করিতে "ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" কথাটার সার্থকতা উপলব্ধি পারি,পাইলটরা অনেক সময় চাইলেও সেটা পারে না।

তারপরও যদি তেজাস/গফ-১৭ এর দাবরানি খেয়ে সু-৩৫/এফ-২২ এর পাইলটদের প্যান্ট ভিজানো ঠেকাতে বিমানে কয়েকটা পদ্ধতি থাকে।😛

মিলিটারি এয়ারক্রাফট এর পাইলটদের ১ নাম্বার এবং ২ নাম্বার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সিস্টেম কয়েক প্রকার:

➡বাংলা সিস্টেম:

এ পদ্ধতিতে বোতলে হিসু করা হয় বলে আমি নাম দিয়েছি বাংলা সিস্টেম 😂✌

তবে পাইলটদের সরবরাহ করা #বিশেষ বোতলে একধরনের পাউডার থাকে যা প্রস্রাবের সাথে মিশে জেলির মত হয়ে যায়।এসব বোতল পাইলটের জি-সুটের সাথে পায়ের কাছে এটাচ করার সিস্টেম থাকে যা ল্যান্ড করার পর বোতল ফেলে দিতে হয়।বর্তমানে সব বোতল এয়ারটাইট কিন্তু এধরণের জেলি বানানোর কারণ হচ্ছে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে ল্যান্ডিং করার সময় তীব্র ঝাঁকুনিতে বোতলের মুখ খুলে হিসু দিয়ে ককপিট ভাসিয়ে ফেলার মত ঘটনা ঘটেছিল...😂

(উফফ....মুইতা ও শান্তি নাই 🙈🔫)

➡এডাল্ট প্যাম্পাস:

এটা বাচ্চাদের প্যাম্পাস এর এডাল্ট ভার্শন আরকি।পক্ষাঘাতগ্রস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষ যাদের টয়লেটে যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য বানানো এই প্যাম্পাস পাইলটরাও ব্যবহার করে।এক একটা প্যাম্পাস দুইবার ট্যাংকি আনলোড ধারন করার ক্ষমতাসম্পন্ন।তবে ২নাম্বার প্রকৃতির ডাক আসলে এবং বাচ্চাদের মত প্যাম্পাসেই কর্ম সম্পাদন করার পর বিমান ল্যান্ড করার পর হাজার লেবুর গন্ধে সুরভিত হুইল সাবান দিয়ে গোসল করা ছাড়া উপায় নাই।এজন্য নভোচারী বা এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড এর মত বিমানের পাইলটদের মন্তব্য থাকে

"What does the inside of an EVA suit smell like? " 🙊

প্রশ্ন হচ্ছে নারী পাইলটরা কি করে?

প্রকৃতিগতভাবেই নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সময় প্রস্রাব আটকে রাখতে পারে।তবে অযথা আটকে রেখে মূত্রথলির ইনফেকশন ঘটানো ঠিক নয়।পাইলট নারীরা প্যাম্পাস সিস্টেম অথবা পুরুষের মতই বোতল সিস্টেম ব্যবহার করে (😵)

আপনি হয়তো ভাবছেন নারী-পুরুষ সমান অধিকারের এই তসলিমা নাসরিন ভার্শন

কিভাবে সম্ভব 😆

উত্তর হচ্ছে মেয়েদের জন্য বানানো বিশেষ female pee kit যার মাধ্যমে বোতলে ইমারজেন্সি জলবিয়োগ করা সম্ভব।এধরণের কিট অন্যান্য দেশের সিভিলিয়ান নারীরাও ভ্রমনের সময় বা অন্যান্য ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে (দাঁড়িয়ে জলবিয়োগ করার ক্ষেত্রেও 🙈) ব্যবহার করে।

(কেউ শেষ ছবিটা দেইখেন না 🙈)

➡টয়লেট সিস্টেম:

এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিন্তু অত্যাধুনিক সিস্টেম।বিশেষ করে বোম্বার (যেমন সু-৩৪,বি-২) এবং AWACS বিমানে (যেমন E-3) এধরণের সিস্টেম থাকে।এছাড়া পোর্টেবল টয়লেট সিস্টেম (কন্টেইনার টাইপ) লংরেঞ্জ বোম্বার বিমানে থাকে।এধরনের বিমানে খুব স্বল্প পরিসরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সিস্টেম থাকে।AWACS বিমানে ১০-১৫ জন এর মত ক্রু এর দরকার হয়।কিন্তু এধরনের টয়লেট সবচেয়ে বড় সাইজের কন্টেইনার নিয়েও ৩জনের হাগু বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধারণ করতে পারে।অপারেশন SOUTHERN WATCH নামের একটি নো ফ্লাই জোন অবজারভেশন মিশন চলাকালে একটি E-3 বিমান মিশন শেষ না করেই ল্যান্ড করতে বাধ্য হয়েছিল তার টয়লেট ওভারলোড হওয়ার কারণে।এক ক্রু তখন ব্যাপক নিম্নচাপ অনুভব করছিলো অথচ টয়লেট ওভারলোডেড 😂😷🔫

মূলত ২ঘন্টার বেশি ফ্লাই করার ক্ষেত্রে হালকা খাবার নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।এছাড়া পানি নেয়ার অনুমতি আছে।তবে বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।এছাড়া লং রেঞ্জের মিশন পূর্ব মেডিকেল চেকআপে পাইলট তার ট্যাংকি আনলোড করেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হয়

(বাবু আজকে হাগু করছো? 🐸)

(লুতুপুতুর গফ/বফ ভার্শন 🙊)

➡সিভিলিয়ান বিমানের টয়লেট কিভাবে কাজ করে?

যাত্রীবাহী বিমানের টয়লেট ট্রেনের থেকে আলাদা রকমের হয়। এখানে থাকে ভ্যাকুয়ম টয়লেট। এই টয়লেট সিট অনেকটা নন স্টিক ফ্রায়িং প্যানের মতো হয়। ফ্লাশ করা মাত্রই মুহূর্তে সব গায়েব হয়ে সিট শুকনো হয়ে যায়। ফ্লাশ বাটন টেপার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় টয়লেটের সঙ্গে যুক্ত ভ্যাকুয়ম পাইপের মুখ। সেকেণ্ডের মধ্যে সেই পাইপ দিয়ে বর্জ্য গিয়ে জমা হয় বিমানের লেজে। বিমান গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর সেখানে বিমানের ‘পেট খালি’ করা হয়। দুর্গন্ধ যুক্ত সব বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে ‘হানি ট্রাক’!!

(আসলেই কিন্তু ঐ ট্রাকের নাম হানি ট্রাক🐸)

বিমানের সঙ্গে একটি ভ্যাকুয়ম পাইপ লাগিয়ে সব বর্জ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘হানি ট্রাক’-এর বিশাল ট্যাঙ্কে। এরপর সেইসব বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নিয়ে চলে যায় ‘হানি ট্রাক’।

বর্জ্য নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে ৷ সেখানে পরিষ্কার বলা আছে,উড়ন্ত বিমান থেকে কোনো অবস্থাতেই সেপটিক ট্যাংক খালি করা যাবে না ৷ সেটা খালি করতে হবে বিমানবন্দরে, বিমান মাটিতে নামার পর ৷তার জন্য নির্দিষ্ট

সাফাইকর্মীরা থাকেন বিমানবন্দরে, যারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে

বিমানের সেপটিক ট্যাংক সাফ করেন ৷ একটি কারণেই বিমানের

বর্জ্য মাঝ আকাশে, উড়ন্ত অবস্থায় খালি করার দরকার হতে পারে

৷ যদি সেপটিক ট্যাংক কোনো কারণে ‘লিক’ করে বা বিমানের

বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়,

তবে সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে৷ বিমান যখন অতি

উচ্চতায় থাকবে, সেই বর্জ্য হিমায়িত করে বরফ কুচির আকারে

পরিবেশে ছেড়ে দিতে হয়৷

ভারতে গতবছর এমনই হিমায়িত নীল রঙের হাগু নিয়ে তুলকালাম

ঘটেছিল।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি গ্রামের ওপর দিয়ে উড়ে যাবার

সময় বিমান থেকে পড়ে যায় যাত্রীদের মলমূত্র জমে যাওয়া

বরফখণ্ড। ওজন প্রায় ১২ কেজি। গ্রামটির বাসিন্দারা প্রথমে ভাবে,

এটা ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো বস্তু। এখানেই শেষ নয়।

এর কিছু অংশ অনেকেই বাড়িতে নিয়ে ফ্রিজে রাখে বলেও

জানা গেছে।কেউ কেউ খেয়েও দেখেছেন শোনা

গেছে।

কখনো গন্ধ ও পরিমাণ কমাতে বর্জ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা

কেমিক্যালের কারণে এটি নীল বরফ হয়ে যায়। বিমান থেকে

‘ব্লু আইস’ নিক্ষিপ্ত হবার ঘটনা খুবই বিরল।তবে ভারতে এতদিন এটাই

ছিল রীতি!!

কয়েকটি এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে যেখানে সেখানে হাগু

নিক্ষেপিত হতো।অর্থাৎ সভ্য ভারতীয়রাও বাজে এয়ারলাইন্সের

কারণে # পরোক্ষভাবে যেখানে সেখানে প্রাকৃতিক কাজটা

করে নিতো

বর্তমানে সেটা সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে বন্ধ।

(ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্ট,যেখানে সেখানে জৈবসার বিতরণ বন্ধ

করার জন্য)

দিল্লি বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সৎবন্ত সিং দাহিয়া গত অক্টোবরে

ভারতের পরিবেশ আদালতে অভিযোগ জানান যে, প্রতিদিন উড়ন্ত

বিমান থেকে তাদের এলাকায় মানব-বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হয়, যা

ঘরেদোরে, এমনকি লোকের গায়েও এসে পড়ে৷গত

ডিসেম্বরেই দিল্লির আরেক বাসিন্দা, ৬০ বছরের এক মহিলা জখম

হয়েছিলেন অত উঁচু থেকে গায়ে এসে পড়া বর্জ্যের

আঘাতে৷

সৎবন্ত সিং দাহিয়ার অভিযোগের পরই বিষয়টি জাতীয় নিয়ন্ত্রণ

পর্ষদের নজরে আনা হয় এবং পরিবেশ আদালত শেষ পর্যন্ত

বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেয়, বিমানে সঞ্চিত মানব-বর্জ্য

ঠিকভাবে যাতে জমা করা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে৷ কারণ কোনো

জনপদ এই বর্জ্যের কারণে সমস্যায় পড়বে, এটা হতে পারে না৷

বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো ভারতীয়

এয়ারলাইন্সগুলির জন্যে বর্জ্য নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে

দেওয়া আছে৷ সেখানে পরিষ্কার বলা আছে, উড়ন্ত বিমান

থেকে কোনো অবস্থাতেই সেপটিক ট্যাংক খালি করা যাবে না৷

সেটা খালি করতে হবে বিমানবন্দরে, বিমান মাটিতে নামার পর৷ তার

জন্য নির্দিষ্ট সাফাইকর্মীরা থাকেন বিমানবন্দরে, যাঁরা যান্ত্রিক

পদ্ধতিতে বিমানের সেপটিক ট্যাংক সাফ করেন৷ এবং এক্ষেত্রে

কঠোর নিয়ম হলো, বিমান অবতরণের পর যদি দেখা যায় তার

সেপটিক ট্যাংক খালি, তা হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

# এম_আর_নাইন

ক্রেডিট : @masudrana

Tuesday 2 October 2018

★★ স্লিম থাকার ২০ উপায়!





বেশিরভাগ সময় স্লিম থাকতে গিয়ে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হিমসিম খেতে হয় সবাইকে। বিশেষ করে চাকরিতে ঢোকার পর কিংবা বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু হয়ে যায় মোটা হওয়া। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান হওয়ার পর তো কথাই নেই, ওজন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।

কে চায় ওজন বেশি নিয়ে ঘুরতে? ওজন যেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়েট, ব্যায়াম ইত্যাদি সবকিছুকে ব্যর্থ করে ওজন যেন দিন দিন শুধু বাড়তেই থাকে!

এবার অর্থসূচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো ওজন নিয়ন্ত্রণের ২০ টিপস। এগুলো মেনে চললে সারা জীবন ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।

এক. ওজন নিয়ন্ত্রণে ডায়েটিং জরুরি। কিন্তু খাবার খাওয়ার মধ্যে বেশি সময় গ্যাপ রাখা যাবে না। আবার ডায়েট করতে গিয়ে না খেয়ে থাকারও কোনো প্রশ্নই ওঠে না। দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ বার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

দুই. দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তাতে শরীর ভালো থাকবে। কখনো হাঁটতে পারেন, আবার কখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেরে নিতে পারেন জগিং। এতেও ব্যায়াম হবে।

তিন. রাতের খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হালকা শরীরচর্চা করা ভালো। আবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর একটু হেঁটে নিতে পারেন। এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।

চার. মেয়েদের দৈনিক ক্যালোরি গ্রহনের পরিমান দিনে ১০০০-১৫০০ বেশি না হওয়াই ভালো। তবে পুরুষের শারীরিক চাহিদা একটু বেশি বিধায় তাদের জন্য ২০০০ ক্যালোরি বরাদ্দ। এর বেশি হলেই ভুঁড়ি জমতে শুরু করবে।

পাঁচ. এলোপাথাড়ি ব্যায়াম না করে নিজের শরীরের সাথে মানানসই ব্যায়াম করুন। সেই সাথে বাজার থেকে সস কিনে খাওয়া বাদ দিন, এতে প্রচুর চিনি থাকে।

ছয়. প্রত্যেক সপ্তাহে একই দিনে ও একই সময়ে ওজন মাপুন। এটা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্র আপনাকে সতর্ক করে তুলবে।

সাত. সঠিক সময়েখাওয়াদাওয়া সারুন। কারণ হজম ক্ষমতা গতিশীল রাখতে এটা খুব জরুরি।

আট. প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট খাওয়া প্রয়োজন। পেট দীর্ঘক্ষণ খালি রাখবেন না। এতে মেটাবলিজম কমে যাবে ও ওজন বাড়বে।

নয়. ভাজা-পোড়া খাবেন সপ্তাহে একদিন।

দশ. নির্দিষ্ট বেলার খাবারের মাঝের সময়ে যদি খিদে পায়,তাহলে প্রচুর পরিমানে পানি খান। আবারফলও খেতে পারেন।

এগার. মিষ্টি, কোমল পানীয়, কেক ইত্যাদি খাবার সপ্তাহে একদিন খেতে পারেন। বিস্কুট খেতে চাইলে ডায়েট বিস্কিট কিনুন।

বার. প্রাণীজ ফ্যাট, বিশেষত লাল মাংস ও ডালডা খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। মাংস খেলে চামড়া ও চর্বি বাদ দিয়ে খান।

তের. অতিরিক্ত দুধ জাতীয় খাবার যেমন মাখন বা চিজ বেশি খাবেন না।

চৌদ্দ. দিনে দুইকাপ গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

পনের. মাদকজাতীয় দ্রব্যের নেশা ছেড়ে দিন।

ষোল. পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন – আলু, ভাত, রুটি খান। তবে লাল চালের ভাত ও লাল আটার রুটি খাওয়া সবচাইতে ভালো।

সতের. দুপুরে ও রাতে অবশ্যই এক কাপ করে সালাদ বা কম মশলায় রান্না সবজি খাওয়া ভালো।

আঠার. খাবারের প্লেটের আকার ছোট করুন এবং একবারের বেশি দুবার নিয়ে খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করুন। খাবার একবারেই প্লেটে তুলে নেবেন।

ঊনিশ. চেষ্টা করুন সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট করার। সামান্য ভারি লাঞ্চ এবং হালকা ডিনার করার। নাস্তা হিসাবে খান বাদাম, মুড়ি, ফল, ডায়েট বিস্কুট।

বিশ. চিনি দুই চামচের বেশি খাবেন না।

না খেয়ে থাকার চেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খান। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত খাবেন না। দেখবেন, সঠিক সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণে ওজন থাকবে একবারে আপনার হাতের মুঠোয়।

এএসএ/)


স্লিম হওয়ার ৭টি সহজ উপায়




বর্তমান সময়ে সবার কাঙ্ক্ষিত একটি লক্ষ্য হল স্লিম হওয়া। কারণ এ যুগের লাইফস্টাইল অনুযায়ী স্থূলতা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে সবার মধ্যে একটি ভুল ধারণা কাজ করে, আর তা হল প্রতিদিন বোধহয় একটু ব্যায়াম করলেই স্লিম হওয়া যায়। না এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে বড়জোর বর্তমান ওজন ধরে রাখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্লিম এবং সুস্থ শরীর চাইলে ব্যায়ামের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই।

মেদহীন টানটান একটা শরীর কে না চান? যারা আরাম-আয়েশ আর ভোজনবিলাসে শরীরে মেদ জমিয়ে জমিয়ে জীবনকে দাঁড় করিয়েছেন ঝুঁকির মুখে, এ অবস্থায় অনেকেই নেমে পড়েন ব্যায়াম করে মেদ ঝরানোর চেষ্টায়। পাশাপাশি খাওায়া-দাওয়াও চলে মোটামুটি আগের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি একেবারেই কার্যকর ব্যবস্থা নয়। বিশেষ করে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করে মেদ ঝরানোর যে প্রচলিত ধারণাটি রয়েছে, তাকে একরকম হাস্যকরই বলছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অবার্ন ইউনিভার্সিটি মন্টগোমারির অধ্যাপক ড. মিচেল ওলসন বুঝিয়ে বলেছেন ব্যাপারটা, এক পাউন্ড স্নেহ জাতীয় খাদ্য খেলে আমাদের শরীরে সাড়ে তিন হাজার ক্যালরি যোগ হয়। তারপর আপনি যদি ম্যারাথন দৌড়বিদদের মতো পুরো ২৬ মাইলও দৌড়ান, তাতে প্রতি মাইলে ১০০ গ্রাম হিসেবে সব মিলিয়ে মাত্র ২৬০০ ক্যালরি ঝরাতে পারবেন। সেই এক পাউন্ডের কারণে পাওয়া ক্যালরি থেকে ৯০০ ক্যালরি কিন্তু থেকেই যাবে। তাই প্রতিদিন ৪০-৫০ মিনিট ব্যায়াম বা ঘাম ঝরানোর মতো অন্য কিছু করার পাশাপাশি খুব সাবধানে খাওয়া-দাওয়া করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একটু ব্যায়াম করে, হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে বা সাঁতার কেটেই মেদ কমিয়ে ফেলবেন-এমন ভাবাটা মস্ত বড় ভুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুলের এ স্বর্গে বাস করা মানে মেদবহুল দেহের যন্ত্রণাকেই মেনে নেওয়া। তাই যারা প্রকৃত অর্থে মেদ ঝরিয়ে স্লিম হতে চান তাদের প্রতিদিন ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এখানে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ বলতে সুস্থ থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন এর অতিরিক্ত না খাওয়াটাকেই বুঝায়।

১। খাওয়ার পর যা করবেন না... স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা প্রায় সময়েই বেশ চিন্তিত থাকি। কোনটায় ভালো হবে, কোনটায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে তা নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু অনেক সময় অজ্ঞতাবশত কিংবা নানান ভ্রান্ত ধারণার কারণে আমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলি। বিশেষ করে প্রতিবেলা খাওয়ার পর আমরা এমন কিছু কাজ করি যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে প্রতিনিয়ত। জেনে নিন তেমনই কিছু কাজ সম্পর্কে যেগুলো খাওয়ার পর কখনও করা উচিত নয়।

২। ধূমপান করা অনেকে খাওয়ার পরপরই ধূমপান করে থাকে। ধূমপান খাওয়ার আগে হোক কিংবা পরে হোক, ক্ষতি হবেই। সিগারেটে আছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাই খাওয়ার পর হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময় হোক, কখনও ধূমপান করা উচিত নয়।

৩। চা/কফি পান দুপুরে কিংবা রাতে খাওয়ার পরপর অনেকেরই এক কাপ চা না হলে চলে না। যাদের এই অভ্যাস আছে তারা নিজের অজান্তেই নিজের শরীরের ক্ষতি করছেন। চা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো উত্স এবং প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে চা পান করলে হূিপণ্ডের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যায়। কিন্তু প্রতিদিন এক পেট খাওয়ার পর চা পানের অভ্যাসটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চায়ে আছে পলিফেনল যা সবুজ শাকসবজির আয়রনকে শরীরে গ্রহণ করতে বাধা দেয়। ফলে যাদের শরীরে আয়রনের অভাব আছে তারা খাওয়ার পরে চা পান করলে শরীর আয়রন গ্রহণ করতে পারে না এবং আয়রনের অভাব পূরণ হয় না। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই খাওয়ার কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর চা পান করা উচিত।


৪। খাওয়ার ঠিক পরপরই ফল খাওয়া ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনই পাওয়া যায় ফলে। কিন্তু ঠিক খাওয়ার পর ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ কলা, কাঁঠাল ও খেজুর ছাড়া প্রায় প্রতিটি ফলই হজম করতে মোটামুটি ২০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু খাওয়ার ঠিক পরপর ফল খেলে পাকস্থলীতে অন্যান্য খাবারের ভিড়ে ফলের হজমপ্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যায়। এতে অনেক সময় ফলের মান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পেটের পীড়া, পেটে গ্যাস, বদহজম জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৫। গোসল করা ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনেছি খাওয়ার পর গোসল না করে খাওয়ার আগে করতে। কিন্তু কখনও কি জেনেছি এই কথা বলার পেছনের সঠিক কারণটা। হজম প্রক্রিয়ায় শরীরের প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটার জন্য পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে রক্ত চলাচলের প্রয়োজন হয়। ফলে খাওয়ার পরে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রায় তারতম্য ঘটে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রাখতে গিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট বেশি সময় প্রয়োজন হয় খাবার হজম হতে।


৬। সঙ্গে সঙ্গে হাঁটা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে হনহন করে হাঁটা শুরু করেন। খাওয়ার ঠিক পরপরই জোরে হাঁটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে হজম প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খাওয়ার পর জোরে না হাঁটলেও স্বাভাবিকভাবে ঘরের ভেতরের হাঁটাচলা করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে খাওয়ার ৩০ মিনিট পর কিছুটা সময় হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার গবেষকরা।


৭।ঘুমিয়ে পড়া খাওয়ার পর যেই কাজটি আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর তা হল ঘুমিয়ে পড়া। খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। সেই সঙ্গে ঘুমে সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, নাক ডাকাসহ নানান রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। 


স্লিম হওয়ার সহজ উপায়

দিন দিন মোটা হচ্ছেন? যা খাচ্ছেন তাতেই ফুলছেন? উপোস করেও রোগা হওয়া যাচ্ছে না? ওয়ার্কআউটেও কোনও কাজ হচ্ছে না? বেশি খেলেও বিপদ, কম খেলেও সমস্যা। প্রতিদিন সময় মেনে পরিমিত খাবার খেলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেদ।

না, কোনও একজন ব্যক্তির কথা নয়। আজকাল হামেশাই শোনা যায় এমন কথা। মেদ ঝরাতে তাই নানা কসরত। ব্রেকফাস্ট বাদ, লাঞ্চ-ডিনারে অল্প একটু খাবার, উপোস, কত কী! তাছাড়া ওয়ার্কআউট তো আছেই। কিন্তু তাতেও ঝরছে না  মেদ।

কারণটা কী? লাইফস্টাইলেই গলদ। প্রতিদিনের খুবই তুচ্ছ কিছু ভুল অভ্যাস ও অনিয়ম প্রতিনিয়ত মোটা হওয়ার কারণ হয়ে উঠছে। সকালে ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে মেদের পরিমাণ বাড়ে। খাবার না খেলে মেটাবলিজমের মাত্রা কমে যায়। মোটা হওয়ার কারণ।
খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বাড়াতে হবে। আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাবার কমাতে হবে।

মেদ ঝরাতে ভাজাভুজি ও ফাস্টফুড বন্ধ করতেই হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। রেড মিট, দোকানের কেনা মিষ্টি, ঘি, ডালডা কম খেতে হবে। মরশুমি ফল ও শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে হবে। খাওয়ার ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর শুতে হবে। খাওয়ার সময় পাকস্থলী ভর্তি হল কি না, তা জানতে মস্তিষ্কের সময় লাগে ২০ মিনিট। গবেষকদের দাবি, যারা ধীরে ধীরে খায়, তারা দ্রুতগতিতে খাওয়া ব্যক্তির থেকে প্রতিবার ৬৬ ক্যালরি খাবার কম খায়। ১ বছরে ২০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে দিতে পারে।

দিনে শোওয়ার অভ্যাস ছেড়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুম মাস্ট। নিয়মিত প্রচুর জল খেতেই হবে। লাঞ্চের আগে একগ্লাস জল এবং খাওয়ার শেষে অন্তত ১ বা ২ ঘণ্টা পর জল খেতে হবে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাওয়ার আগে স্নান মাস্ট।

প্রতিদিন সমতল জায়গায় হাঁটতে হবে। নিয়মিত ১ থেকে ২ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। বেশি উঁচু তলায় ওঠার দরকার না হলে, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বেশি বা কম খাওয়া নয়। নিয়মিত ও পরিমিত খেতে হবে। উপোস করে বা ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে মেদ ঝরানো যাবে না। ওয়ার্কআউটে কিছুটা কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোটা নয়। মেদ ঝরিয়ে সুন্দর ফিগারের একটাই ফর্মুলা, মেডিক্যাল পরীক্ষা করে চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে সঠিক ডায়েট। সূত্র-জিনিউজ।