Wap4dollar.com

Friday 18 January 2019

‘আমি সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের শিকার হয়েছিলাম। আমার শিক্ষক/ আত্মীয়/ কাজিন/ পাড়াতো ভাই/ প্রতিবেশী/ অফিসের বস/ বাসের সহযাত্রী...’




এরকম কত কুৎসিত সত্যি গল্প ছড়িয়ে আছে। মেয়েরা তা এতদিন গোপন রেখেছিল, এখন প্রকাশ করছে। সম্প্রতি নাট্যকার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত শিক্ষক সেলিম আল দ্বীনের নামে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এরপর আরো কিছু সাহসী মেয়ে তাদের জীবনের এইসব ঘটনা লিখে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে #ME_Too লিখছে।
বাঃ,ভালো, বেশ ভালো, সাহসী মেয়ে, বলে তাকে আমরা অভিবাদন জানাচ্ছি।
কিন্তু তা প্রতিরোধের পথ খুঁজছি কী?

আসুন এই কুৎসিত ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নেইঃ


১) ধর্মীয় অনুশাসনের কোনো বিকল্প নাই। ছেলে-মেয়ে দুই জনকেই পর্দা করা শেখান। ছেলে দৃষ্টি হেফাজত করবে আর ছেলে-মেয়ে দুইজনকেই শরীর-মন-দৃষ্টির পর্দা করা শেখাতে হবে। শুধু মেয়ের পর্দা নিয়ে কন্সার্ন থাকলে চলবে না, ছেলেটা যেন জাবির সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক মানিক হয়ে না উঠে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দিন, আমরা একটা সেক্স ওয়ার্ল্ডের মধ্যে বাস করছি, সেই ওয়ার্ল্ড থেকে তাকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র আল্লাহভীতি।

২) কন্যাকে মাহরাম ছাড়া অন্য কারো কাছে একা রাখবেন না সে যত ভালো/কাছের মানুষ হোক না কেন। মাহরাম ১৪ জন, বাবার মত ৫ জন (বাবা, আপন চাচা, আপন মামা, শ্বশুর, দুধ বাবা) ভাইয়ের মতো ৫ জন, (নিজের ভাই, দাদা, নানা, নাতি, দুধভাই), ছেলের মতো ৪ জন, (নিজ পুত্র, ভাস্তা, ভাগ্নে, মেয়ের জামাতা)
এই লিস্টে উকিল বাপ, বাবার কাজিন, বাবার বন্ধু, মায়ের কাজিন, মামা/চাচা শ্বশুর, পাড়াতো সাবালোক ভাস্তা, ভাগ্নে, দুলাভাই, কাজিন ভাই, পাতানো ভাই, ফুফা, খালু, পাতানো আংকেল নাই।
ধর্ম মোতাবেক এরা কেউ আপন নয়, পরপুরুষ। তাই এদের সামনে প্রয়োজনে পর্দা করে যান।

৩) পুরুষ শিক্ষক দিয়ে পড়াবেন না, একান্ত মহিলা শিক্ষক না পেলে ব্যাচে পড়তে দিন। সিলেটের খাদিজার গৃহ শিক্ষক ছিল বদরুল যে পরবর্তীতে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ছিল। সো, বি কেয়ারফুল।

৪) ‘শিক্ষক মানেই বাবাতুল্য’ এটা মিথ্যা। আমাদের ধর্মে মাহরাম ছাড়া সবাই পরপুরুষ, মাস্টার বাপ বলে কিছু নাই।
ভিকারুন্নেসার পরিমল, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির মার্কস বেশি দেবার প্রলোভনে মিউচুয়াল সেক্স করা শিক্ষকের মতো এমন আরো মুখোশধারী শিক্ষক আছেন।
কোনো শিক্ষক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করলে, মহিলা শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করুন। মোবাইলে উত্যক্ত করা কথোপকথনের কল রেকর্ডিং (কল রেকর্ডিং এপ ডাউনলোড করতে পারেন), খারাপ মেসেজ গুলোর মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট, মেইলের স্ক্রিনশটের প্রমাণ রেখে তারপর অভিযোগ করতে যাবেন। অভিযোগ আমলে না নিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ অথোরিটির কাছে প্রমাণসহ দরখাস্ত লিখুন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টের শাস্তি বহিষ্কার।

৫) জাস্ট ফ্রেন্ড, ক্লাস ফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড, টাইম পাসিং ফ্রেন্ড, ধর্মের ভাই, কলিজার ভাই, পাড়াতো ভাই/বন্ধু আসলে কিছু নয়, এরা স্রেফ পুরুষ।
প্রত্যেকেরই টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ হয় এবং কামভাব জাগ্রত হয়। যারা বলে তাদের হয় না, তাদের চিকিৎসা দরকার। তাই এয়ারটেলের 'বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল' বিজ্ঞাপন দেখে পুলকিত হবার কিছুই নাই। সব শয়তানের ধোঁকা।
পুরুষদের সাথে স্টাডি সার্কেল তৈরি বন্ধ করুন। ছেলে-মেয়ে বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকুন। কারণ ছেলে-মেয়েতে কখনো বন্ধুত্ব হয় না, এটা বিখ্যাত নারীবাদী তাসলিমার কথা যে কামুক পুরূষদের খুব কাছ থেকে দেখেছে।
গত বছর আপন জুয়েলার্সের ছেলে যে মেয়েগুলোকে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিল তারা ফ্রেন্ড ছিল, বার্থডে পার্টি শেষে মেয়ে বান্ধবীদের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। তারাও কিন্তু জাস্ট ফ্রেন্ড ছিল।


৬) বাসে/ পাবলিক পরিবহনে মহিলা সিটে বসার চেষ্টা করুন। দূর পাল্লার রাস্তায় মাহরাম পুরুষকে নিয়ে যান। সন্ধ্যে/রাতে চলাচল না করাই ভালো। এই কথা শুনে নারীবাদীর মতো টং করে রেগে যাবার কিছু নাই, রাতে ঘোরা যাবে না, একা যাওয়া যাবে না, কই আমার ভাইয়ের তো এত নিষেধ নাই। আমার বেলায় কেন এত বিধি নিষেধ?
কন্যা, আমরা দরজা খোলা রেখে ঘুমাই না। এটা মুসলিম সমাজ নয়, যে তুমি নির্ভয়ে হাঁটতে পারবে। মনে আছে টাঙ্গাইলের রাতের বাসে একাকী সফরকারী মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছিল। তখন রাতে বিরেতে ঘুরে বেড়াতে বলা কোনো নারীবাদী নিরাপত্তা দিতে আসে নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকে ভাবতে হবে।


৭) ফেসবুকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবো। অযথা কেন ছবি আপলোড দাও? মেয়েদের ছবি এডিট করে পর্ন গ্রাফি তৈরি হয়। সস্তা মেয়েরা যৌন উদ্দীপনা মূলক ছবি দিয়ে পুরুষদের আকৃষ্ট করে। ফেসবুকের পুরুষেরা তোমার ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট / wow se../ সেইরাম/ সুন্দর বললে ভালো লাগে আর রাস্তার বখাটে ছেলেরা যখন শিস বাজিয়ে নোংরা কথা বলে, ফিগার মাপে তখন রেগে যাও। কেন, তোমাকে কি শুধুই শিক্ষিত আর সিলেক্টেড পুরুষ মাপার অধিকার রাখে? এসো, অনলাইনে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টের ব্যাপারে সচেতন হই। মেসেঞ্জারে আলাপ করতে আসলে ব্লক করে দেই। সে যত বড় ছালাবাটিই হোক না কেন, যত ধর্মীয় পোস্ট দিয়ে হুগুর সাজুক না কেন, পিতলা আলাপ করতে আসলেই ব্লক!

৮) নারীবাদী পেইজ, নারীবাদী ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করে উল্টা-পাল্টা কাজ করে না বেড়াই। এরা নারী স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, নারীরা বেপর্দা ঘুরে বেড়াবে, বয় ফ্রেন্ড/জাস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে হুল্লোড় করবে, যেমন ইচ্ছে তেমন চলবে, রাতে বিরেতে ঘুরে বেড়াবে, মাসিক হলে অনলাইন অফলাইনে বলে বেড়াবে, পরকীয়াকে বৈধতা দিয়ে তাকে স্বকীয়া নাম দেবে। এদের ফাঁকা বুলির স্বাধীনতা আসলে নোংরামি। তাতে নারীদের কোনো কল্যাণ নেই। এদের ফাঁকা বুলি বিশ্বাস করে জীবন চালালে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টে আরো পড়তে হবে।
নারী স্বাধীনতা আওড়ানো পুরুষগুলো একে একে মিটু তে ধরা খাচ্ছে। তোরা যে একেক টা শেয়াল ছিলি যারা মুরগীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তা আজ স্পষ্ট হলো।



নারীরা পতিতাবৃত্তি করে টাকা কামালে, নাস্তিকদের কোন সমস্যা হয় না।।
নারীরা মদের বারে উলঙ্গ লুঙ্গি ড্যান্স মারলেও,নাস্তিকদের কোন সমস্যা হয় না।।
 নারীরা অফিসে তার উপরের কর্মকর্তার সাথে রঙ্গরস করে অতিরিক্ত কিছু অাদায় করলে, নাস্তিকদের সমস্যা হয় না।।
 নারীদের দিয়ে পর্ণ মুভি তৈরি করিয়ে পুরুষরা শত কোটি টাকা কামালেও, নাস্তিকরা মাথা ঘামায় না।।
নারীদের দিয়ে পশুর সাথে যৌনতা করিয়ে ভিডিও বানিয়ে পুরুষরা টাকা কামালেও,নাস্তিকরা কিছু বলে না।।
 নাটক সিনেমায় নারীদের অর্ধ উলঙ্গ করে যৌনতার পণ্য বানিয়ে উপস্থাপন করলেও, নাস্তিকদের কিছুই অাসে যায় না।।
 সমুদ্র সৈকতে নারীরা উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকলেও,নাস্তিকরা কিছুই বলে না।।
 ফ্যাশন ও Art and Culture এর নামে নারীকে জনগনের সম্পদে পরিনত করলেও,নাস্তিদের চেতনা জেগে উঠে না।।
 খ্রিষ্টান Nun এরা পর্দার নামে বোকরা পরলেও,নাস্তিকদের কোন সমস্যা নেই।।।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু ,, যদি মুসলিম নারীরা পর্দার জন্যে বোরকাা পরে,তখনি নাস্তিকদের চেতনা জেগে উঠে।।।............


এ কেমন বিচার?....
কি ধরনের সভ্য মায়ের গর্ভ থেকে এই সব নাস্তিকরা জন্ম নিয়েছে,এটা জাতি জানতে চায়.

কারন এরা নিজ মায়ের জাতির, উলঙ্গ/অর্ধ উলঙ্গ থাকাকে পছন্দ করে.....।
শখ, স্পর্শিয়া, সারিকা, মোনালিসা, জয়াদের মতন জাতীয় ক্রাশরা তাদের স্বামীর ক্রাশ হয়ে থাকতে পারেনি তাদের সৌন্দর্য দিয়ে।
লাক্স সুন্দরী বাঁধন তো জাতীয় পর্যায়ের সুন্দরী, সে কেন পারেনি তার সৌন্দর্য দিয়ে স্বামীকে মুগ্ধ করতে?
অপূ-পপীরা পর্দায় নায়িকা হলেও, বাস্তব সংসারে হতে পারেনি।
সুবাহ্ র মতন সুন্দরীরা রুবেল, নাসিরদের কাছে রিজেক্টেড হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তাদের সৌন্দর্য যেন প্যারালাইজড্।
বিখ্যাত যৌন আবেদনময়ী তসলিমা নাসরিনের রিলেশনশিপ ইনফোতে "সিঙ্গেল" দেওয়া।
ভাবা যায়????
পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে অধিকাংশই আপনি দেখবেন,
"ডিভোর্সি সুন্দরী+ধনী পাত্রীর জন্য পাত্র চাই"
সুন্দরী ডিভোর্সি??
বিয়ের আগে যারা এত ডিমান্ডেড, বিয়ের পর তারা কেন এত এভোয়েডেড?
বুঝে আসে কিছু?
গ্যারান্টেড!!!
দ্বীনদারিত্ব অার ইসলামই আসল সৌন্দর্য!
সৌন্দর্যের পূর্ণতা দীনদারিত্বে,ইসলাম মানার মধ্যে!!কোন নারীর বাহ্যিক রূপে নয়।
তাছাড়া বর্তমানে যে পরিমানে ডিভোর্স হচ্ছে তা কিন্তু সুন্দরী অাধুনিক নারীদেরই হচ্ছে । কোন দ্বীনদার নারীর মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে বলে কোন খবর দেখতে পাওয়া যায় না।
লম্পটের দলের সাজা হোক আর আমাদের নারীরাও এদের মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখুক।
#


by Dr-Umme Bushra Sumona
please share to make awareness.

ছেলে মেয়ে ফেচবুক এড খুুব খুব গুরুত্বপূর্ণ

কিছুদিন আগে এক দ্বীনি আপুর পোষ্ট চোখে পড়লো।

মাশাআল্লাহ উনি ফেইসবুকে দ্বীনের পথে দাওয়াতের কাজে

নিয়োজিত।

অনেক ভালো লাগে উনার পোষ্টগুলা পড়তে।

শিক্ষণীয় অনেক বিষয় থাকে উনার লিখাগুলাতে।

তো একদিন পর্দা নিয়ে একটা পোষ্ট করলেন,,,লিখার এক

পর্যায়ে উনি শেষের দিকে এই কথাগুলা লিখে শেষ করলেন,

"সবচেয়ে বড় কথা হলো ছেলেদের সাথে ফেবুতে চ্যাটিং

করা বা আলাপ করা হারাম হারাম হারাম,,,আর সেটা হোক চাচাতো

ভাই,,মামাতো ভাই, ফুফাতো ভাই,,

নাম মাত্র ভাই, বা জাস্ট ফ্রেন্ড বিশেষ কোন কাজ ছাড়া চ্যাটে

অযথা কথা বলা এটা সম্পূর্ণ হারাম। আর এতে জিনাহ হয়,,,আর যিনা

কারীর শাস্তি কতটা ভয়ংকর হয় তা তো জানেনই"।

শেষের এই কথাগুলা দেখে কয়েক মিনিট স্তব্ধ ছিলাম,,,

আমি জানতাম না তা নয়,,জানতাম কিন্তু শয়তানের ধোকায় মাঝে

মাঝে পড়তে হতো।

তো এই পোষ্টটা দেখার পর নিজে নিজেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

হলাম,,,নাহ আর যাইহোক আমি আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবো

আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার।

তারপর হঠাৎ করেই আপুটার কমেন্টের দিকে চোখ গেলো।

কমেন্টগুলা দেখে আমার চোখ চড়কগাছ।

আপুটা যেই কথাগুলা লিখছে সেটা সঠিকই,,,। কিন্তু আপুটা লিখছে

ঠিকই কিন্তু কমেন্টে অধিকাংশ ভাইয়াদের লিখা দেখতে

পেলাম,,,আমি কিছুটা অবাক কারণ আপুটাও গড়গড় করে ভাইয়াদের

সাথেও কমেন্টে কথা বলছে।

যেই মানুষটা মাত্র এটাকে হারাম বলে পোষ্ট করলো,,সেই

নিজেই আবার হারাম কাজ করতাছে……।

বোনেরা আমি কথাগুলা এমনি এমনি বলছিনা আমি আপনাদের কিছু

জরুরী জিনিস বলার জন্য প্রসঙ্গটা তুললাম।

……হ্যাঁ ফেইসবুকে অন্য নারীদের বা পুরুষদের সাথে কথা বলা

হারাম,,তা আমি হাদিসের বই পড়েই জেনেছি।

কিন্তু আমি এ নিয়ে কখনোই পোষ্ট করিনি,,,অনেক দ্বীনের

দাওয়াত দেই,, কিন্তু এ বিষয়টি আমি লিখিনি।

কারণ কোথাও না কোথাও আমি তখনো শয়তানের ধোকায়

পড়ে ছিলাম।

বোনেরা আমার যে বিষয়টি নিজে মানতে পারবেন না,,নিজে

সে রকমভাবে চলতে পারবেন না,,সে বিষয়ে উপদেশ না

দেওয়াই উত্তম।

……দ্বীনের যে বিষয় নিয়ে দাওয়াত দিবেন তা আগে নিজের

মধ্যে নিয়ে আসুন।

এই ধরুন পর্দার দাওয়াত দিচ্ছেন,,,আগে সেটা নিজে করুন,, তারপর

অন্যদের উপদেশ দিন।

……নিজের মধ্যে দ্বীনদারিত্বটা না এনে মানুষদের উপদেশ

দিবেন না।

…আপনি আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন,,,তারপর অন্যকে

পরিবর্তন করতে যান।

…ফেইসবুকে অনেক দ্বীনি বোনদের দেখা যায়,,কিন্তু

বাস্তব জীবনে হাতে গুনা কয়েজন তা আমার চোখে

দেখা,,,মেয়েটি ফেইসবুকে অনেক ইসলামি পোষ্ট

করে,,আইডি দেখে বুঝা যায় সে অনেক ইসলামি

মাইন্ডের,,,কিন্তু আসলে কি তাই...? বোনেরা ভারচুয়াল লাইফে

নিজের দ্বীনদারিত্বটা দেখানোর জায়গা নয়,, বাস্তব জীবনে

নিজেকে দ্বীনদার করে তোলাই হলো আসল।

…বোনটি দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু সে নিজেই

মেনে চলতে পারছে না।

,,তাহলে অন্যকে মানাবেন কি করে,,।

বোনেরা আবারও বলছি যেটা আপনি মানতে পারবেন তা

অন্যকে উপদেশ দিতে যাবেন না,,,কারণ এতে আল্লাহ

অসন্তুষ্ট হন।

..আগে নিজেকে পরীক্ষা করুন,,,।

ধরুন আপনি পর্দা করা শুরু করছে,,,মাহরাম/গায়রে মাহরামদের

মেইন্টেন করে চলছেন……।

শুরুতেই আপনি এই বিষয় নিয়ে কাউকে দাওয়াত দিতে যাবেন

না,,,১-২ মাস নিজেকে নিজেই পরীক্ষা করুন,, আপনি এই পথে

চলতে পারছেন কি না..?

যখন দেখবেন কিছুটা হলেও আপনি পারছেন তখন দাওয়াত দিতে

শুরু করুন।

যেমন: বোনটি বলছেন ঠিকই ফেইসবুকে আলাপ হারাম,,কিন্তু

নিজে তা মেনে চলছে না,,,বোনটিকে আমি অবশ্যই

বলবো,,আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন,,নিজেই নিজেকে

পরীক্ষা করুন আপনি গায়রে মাহরামদের সাথে কথা না বলে

থাকতে পারছেন।

তারপর আপনি এই বিষয়ে দাওয়াত দিন।

…হারাম কাজে আল্লাহ সত্যিই অসন্তুষ্ট হন……।

তাই হারাম থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইন শা

আল্লাহ আমার রব একসময় সব সহজ করে দিবেন।

..এই বিষয় যখন পুরোপুরিভাবে কনফার্ম হই,,তখন থেকেই

কাউকে ভালো খারাপ জিজ্ঞেস করতেও বিবেকে নাড়া

দেয়,,আমার আল্লাহ অসন্তুষ্ট হচ্ছেন না তো……?

কারো কথার উত্তর দিতেও আমার রুচিতে বাধে।

……অনেকেই আমাকে এতে অহংকারী ভাবতে পারে।

কিন্তু আমার আল্লাহ জানেন আমি কি,,,উনার হুকুম পালন করতে

গিয়ে যদি এইরকম হয়ে যাই তাহলে আমার কোন যায় আসে

না……।

আমি তো আমার রবের সন্তুষ্টির জন্যই সব করছি।

আমার bio দেখার পর সুস্থ মস্তিষ্কের ভাইয়ারা এড বা মেসেজ

করতে দু বার ভাববে।

আমি নিজেকে নিদোর্ষ বলি না। কেননা মানুষের মন তো মন্দ

কাজেরই প্ররোচনা দিয়ে থাকে। তবে সে নয়, যার প্রতি আমার

রব দয়া করেন। নিশ্চয়ই আমার রব পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

(সূরা ইউসুফ-৫৩)

মন যেটা চায় সেটা করা যাবে না,,আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মনের

সাথে যুদ্ধ করুন,,কারণ প্রতিনিয়ত শয়তান আমাদের ধোকা দেওয়ার

চেষ্টা চালায়।

চোখ যেটা চায়,,সেটা দেখা থেকে বিরত থাকুন আল্লাহর

সন্তুষ্টির জন্য……।

আমি আবার একই কথাই বলবো,,,,

#আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন,,,শুধু ফেসবুকে কিছু ইসলামি

পোষ্ট করেই আপনি দ্বীনদার হয়ে গেলেন সেটা ভুলেও

ভাববেন না,,।

একজন প্রকৃত দ্বীনদারের পরিচয় ফেইসবুকে নয় বাস্তবে

হওয়া চাই……।

সদ্য দ্বীনে ঢুকা মানুষদের শয়তান বেশিই কুমন্ত্রণা দেয়,,,

তাই আগে শয়তানের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হোন,,,দিনের

শুরুটা থেকেই শয়তানকে হারিয়ে দিয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট

করুন।

ফেসবুকে চ্যাট আলাপ হারাম সেটা জানার পর আগে নিজে হারাম

থেকে বেরিয়ে অন্যকে দাওয়াত দিন...।

নিজে নিজেকে পরীক্ষা করুন।

এই হারাম পথ ছাড়তে ঈমানী শক্তিও থাকা প্রয়োজন।

নিজেকে একটু পরখ করে দেখি,,,#ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি

সহায় হোন তাহলে এই বিষয়ের উপর আমিও কিছু পোষ্ট

করবো।

আবার একই কথা রইলো……

# অন্যকে_উপদেশ_দেয়া_খুব_সহজ …… কিন্তু সেটা নিজের

জীবনে বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন । ভালো-ভালো কাজের

উপদেশক অনেক কিন্তু এগুলো মান্যকারীর সংখ্যা খুবই কম ।

আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনুল_কারীমে বলেছন,,

"মুমিনগণ ! তোমরা যা কর না,তা কেন বল? তোমার যা কর না, তা বলা

আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তুষ্টজনক "।

(সুরা আছ-ছফ,আঃ২-৩)

তাই আমাদের উচিৎ আমরা অন্যকে যা, বলি তা নিজেদের

জীবনে বাস্তবায়ন করা।

#হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সত্য কথা শুনার তৌফিক দান করুন । এবং

প্রতিদিন পবিত্র কোরআন এবং হাদিস থেকে যে কথাগুলো শুনছি,

সেগুলোর উপর আমল করার মত তৌফিক দান করুন।

#

যৌনাচার_জিনা_কি_শুধু_physically ??

আসসালামু আলাইকুম# যৌনচার_বা_জিনা__কি ????


# যৌনাচার_জিনা_কি_শুধু_physically ??

Courtesy: (Amatullah)

রাত 12.00, লেপটপের সামনে বসে আছে তামজীদ, চোখ

মুখে ভয়, এমন ভাব যেনো সে চুরি করছে নিজের ঘরে।

হঠাৎ তামজীদের মা তার ঘরে ঢুকলো

তার মা রুমে ঢুকতেই লেপটপ টা অফ করে দিলো ।

মা ___ কী দেখছিল তামজীদ?

তামজীদ __ কই কি দেখবো, মানে

তামজীদ ঘাবরিয়ে গিয়েছিলো, কথা বের হচ্ছিলোনা,

একতো ভয় আরেক হচ্ছে লজ্জা।

তামজীদের মা তাকে কিছুক্ষন তার পাশে বসে তাকে

বুজালেন , এই কাজ যাতে 2nd time না হয় তাকে সতর্ক

করলেন। ইসলামের দৃষ্টি তে এর ভয়াবহতা বুজিয়ে বললেন

ছেলের মাথা বুলিয়ে মা চলে গেলেন।

তামজীদের মা রুম থেকে চলে যাওয়ার পর তীমজীদ

search history গুলো মুছতে লাগলো, অনলাইনে মেয়েদের

সাথে যতো নোংরা chat হতো সব ডিলিট করতে লাগলো ,

এককথায় অনলাইন জগৎে যতো নোংরামি তার ছিলো সব

মুছে ফেলতে নিলো। ভয় ছিলো মা যদি তার বড় ভাইকে

বলে দেয়

কিন্তুু হঠাৎ তার হাত পুরোপুরি অবশ হয়ে যাচ্ছিলো,

আস্তে আস্তে শরীর, সে কানে শুনতে পারছিলো, কেউ

একজন কিছু বলছে

''হে খারাপ আত্মা এ দুনিয়ায় তোমার সময় শেষ, আর সময়

পাবেনা তুমি এসব গুনাহ মুছে ফেলার।

তোমার ফেসবুক আইডি তুমি বন্ধ করার সময় আর পাবেনা,

এই ফেসবুক, এই অনলাইন জগৎে তুমি যতো গুনাহ করেছো,

কিছু মুছতে পারবেনা, কেউ মুছতে পারবেনা আল্লাহ

ছাড়া। মৃত্যুর পরে ও মুছবেনা এসব

এই ফেসবুক, এই অনলাইন জগৎে , ঘরের বাহিরে যতো

মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টি দিয়েছো, যতো কুকর্ম ,

যৌনাচার করেছো তুমি যতো গুনাহ করেছো, কিছু মুছতে

পারবেনা, । এগুলোর কারণে তুমি কঠিন আজাব পাবে

জেনে রাখো ।

তোমাকে কি সতর্ক করা হয়নি??? তবে কেনো নিজেকে

সুধরালেনা??? ''

যমদুত আজরাইল (আ) এর কথা শুনে তামজীদের মনে হয়ে

গেলো পুরোনো সব ভুলের কথা , হে তাকে সতর্ক করা

হয়েছিলো, তার কাছের বন্ধু, পরিবার পরিজন সবাই

তাকে সতর্ক করেছিলো। তামজীদের মনে পরে গেলো

তার বড় ভাইয়ের সাথে দু_দিন আগেও করা

তর্ক_বিতর্কের কথা।

ভাই ____ তামজীদ তুমি যা করছো তা জিনা, এগুলো

থেকে সরে এসো, এগুলো তোমার জাহান্নামের কারণ

হয়ে রইবে।

তামজীদ ___ জিনা কি???

ভাই _____যিনা বা ব্যভিচার বলতে বুঝায় ইসলামী

শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধন ছাড়া অবৈধ পন্থায় যৌন

তৃপ্তি লাভ করাকে। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায়

যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

# রাসূল (সা) বলেছেন, ‘মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের

সাহায্যে জিনা করে।

# দেখা হচ্ছে # চোখের জিনা,

# ফুঁসলানো # কণ্ঠের জিনা,

তৃপ্তির সাথে কথা শোনা

# কানের জিনা,

# হাত দিয়ে স্পর্শ করা # হাতের জিনা,

কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথ চলা

# পায়ের জিনা,

এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি

পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা

পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে’ (বুখারি, মুসলিম ও আবু

দাউদ)।

তামজীদ____ বলে উঠলো আমি কারও প্রতি কখনও জুলুম

করেনি, মেয়ে রা দেখার সুযোগ দিয়েছে , এবং তারা

আমার সাথে এক মত ছিলো, তাই আমি যৌনচারে লিপ্ত

ছিলাম।

So, আমার দোষ কি???

ভাই ___তোমাকে কি কুরআন দেয়া হয়নি??? সেখানে কি

বলা হয়নি। তোমার চোখ ও যৌনাঙগের হিফাজত

করতে???

ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ۟ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَٰﺮِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ۟ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْۚ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰٰ ﻟَﻬُﻢْۗ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌۢ

ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ

মু’মিনদের বল তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের

লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, এটাই তাদের জন্য বেশি

পবিত্র, তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব

ভালভাবেই অবগত।(আন-নূর ২৪:৩০)

# তামজীদ ____আমি তো জানতাম, just physical relation ই

জিনা , এসব ও???

# ভাই ___এসব ও, কীভাবে দেখো, যখন তুমি কাউকে

কামনার দৃষ্টি তে দেখছো, মহনীয়ভাবে দেখছো, তখন

তোমার চোখের খিয়ানত হচ্ছে।

যখন তুমি কাউকে নিয়ে কল্পনা করছো তখন তোমার

আত্মার খিয়ানত করছো, মন অশুদ্ধ করছো

এই যে অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে অশ্লীল page, gruop আর

side এ থাকো, মজা নিচ্ছো, তুমি কিন্তুু নিজেও বুজতে

পারছোনা তুমি আল্লাহ 'তালা কে এসব ধারা কীভাবে

অমান্য করছো

তুমি কি জানো জিনাকারীর শাস্তি কি?? আর তুমি কি

সেটা জানো তুমি যদি কারও দিকে শুধু খারাপ দৃষ্টিপাত

করো হোক সেটা ofline বা online এ, ধরো ফেসবুকে একটা

মেয়ের ছবি দেখে তুমি খারাপ দৃষ্টিপাত দিলে, তখনও

তুমি জিনাকারী, বুজেছো??

#তামজীদ ____ জিনাকারীর শাস্তির বিষয়ে কুরআন কি

কিছু বলা হয়েছে??

#ভাই _____যিনার বিধান:

ইসলামের মূল লক্ষ্যসমুহের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হল,

মানুষের ইজ্জত-আবরু ও বংশের হেফাজত করা। যিনার

মাধ্যমে ইসলামের এ মহান উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হয় বিধায়

ইসলামে এটি হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে

এবং যে সব মানবিক অপরাধের শাস্তি নির্ধারণ করা

হয়েছে এটি তন্মধ্যে গুরুতর ও অন্যতম। ব্যভিচার এমন

একটি গুনাহ, যা অনেকগুলো অপরাধের জন্ম দেয়।

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

•“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটি

অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা।” (সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২)

তিনি অন্য স্থানে বলেন:

• “কোন রকম অশ্লীলতার কাছেও যেও না তা প্রকাশ্যে

হোক বা গোপনে হোক।” (সূরা আল-আনআম: ১৫১)

অশ্লীল কাজসমূহের মধ্যে যিনা বা ব্যভিচার সর্বাধিক

অশ্লীল কাজ। ইসলাম পর্দার বিধান পালন, দৃষ্টি

অবনতকরণ ও পরনারীর সাথে নির্জনে অবস্থান নিষিদ্ধ

করার মাধ্যমে ব্যভিচারের পথ ও মাধ্যম রুদ্ধ করে

দিয়েছে।

যিনাহ/ব্যভিচার ৭ টি জিনিস দিয়ে হয়

# মন- এখান থেকেই ব্যভিচারের উৎপত্তি। যে ব্যক্তি

মনের বিরুদ্ধে চলতে পারে সেই পূর্ণ ঈমানদার মুসলমান

হয়।

# চোখ - চোখের ব্যভিচার সবচেয়ে বড় ব্যভিচার্। কারোর

প্রতি অসাবধানতাবশত প্রথমবার চোখ পড়লে পাপ হয়না

কিন্তু ২য় বার তাকালে বা ১ম বার দৃষ্টির পর সাথে সাথে

দৃষ্টি ফিরিয়ে না নিলে যিনা তথা ব্যভিচার হয়।

# জিহ্বা - জিহ্বা দ্বারা ব্যভিচার হয় যখন একজন নর/

নারী আরেকজন নর/নারীর সাথে কথা বলে রক্ত ও স্ত্রীর

সম্পর্ক ছাড়া। দরকার ছাড়া , মহোনীয় ভাবে, attraction

এর জন্য।

# কান - এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন নর/নারীর কথা শুনা

হয়। যেমন উদাহরণ দেয়া যায় বর্তমান lover রা যেভাবে

contact করে আবার, sexual chat online এ, এসব।

#হাত- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন কোন বিবাহিত/

অবিবাহিত নর/নারীর শরীরের যেকোন অংশ স্পর্শ বা

ধরা হয়।

# পা- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন পায়ে হেটে কাঙ্খিত

কোন নর বা নারীর কাছে যাওয়া হয়। ধরুন bf or gf এর

সাথে মিট করা

# গুপ্ত_অঙ্গ - এটা দিয়েই শুধু ব্যভিচার হয় মানুষ তা

ভাবলেও এটার স্থান সবার পরে। কেননা উপরে ৬ টিকে

দমন করতে পারলেই এই অঙ্গ হেফাযত করা যাবে।

জিনাকারী জাহান্নামী তামজীদ, জাহান্নামী।

তামজীদ লাফ দিয়ে উঠে গেলো ঘুম থেকে, সবই তার

স্বপ্ন ছিলো এতক্ষণ যা দেখলো শুনলো, তবে এতো

ছিলো আল্লাহ সুবাহান 'তালার পক্ষ থেকে তার জন্য

শেষ সতর্ক বার্তা , রাত 3 টা, ভয়ে পুরো ঘেমে আছে, না

আর দেরি করা যাবেনা, আজ থেকে এখন থেকে সে সব

গুনাহ ছারবে।

উঠে ওযু করে আসলো, ওযু করার সময় তার মনে হচ্ছিলো সব

গুনাহ জরে যাচ্ছে, সে পবিত্র হচ্ছে। তাহাজজুদ নামাজ

পরলো, এরপরে তওবাহ নামাজ, অঝরে কান্না করতে

থাকলো, ক্ষমা চাইলো তার ভুলের জন্য আর আল্লাহ

'তালার নিকট সাহায্য চাইলো ।

যিনা-ব্যভিচার কবিরা গুনাহ। তওবা ব্যতীত এ গোনাহ

মাফ হয় না ।

ব্যভিচারী ব্যক্তি ঐ গর্হিত কর্ম থেকে ফিরে এসার জন্য

অনুতপ্ত হয়ে পবিত্র অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তার

তওবা কবুল করবেন-ইংশাআল্লাহ।