Wap4dollar.com

Tuesday 16 December 2014

বিশ্বনবী (সা.)’র শ্রেষ্ঠত্ব ও জন্মলগ্নের অলৌকিক ঘটনা -

হযরত আলী (রাঃ) বলেছেনঃ “সে রাতে তথা রাসূলে খোদার (সা.)’র জন্মের রাতে পুরো দুনিয়া আলোকিত হয়। প্রতিটি পাথর ও মাটির টুকরো এবং বৃক্ষ বা গাছ হেসেছে। আর আকাশ ও জমিনের সব কিছু আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা জ্ঞাপন করেছে।”

১৪৮৮ চন্দ্র বছর আগে হিজরি-পূর্ব ৫৩ সনের বা ৫৭০ খ্রিস্টিয় সনের এ দিন ছিল (আজ ১৭ ই রবিউল আউয়াল) মহান আল্লাহর সর্বশেষ অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ও নবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র জন্মদিন। আর ৮৩ হিজরির ১৭ ই রবিউল আউয়াল তাঁর পবিত্র বংশধর বা আহলে বাইতের সদস্য ইমাম জাফর আস সাদিক (রাঃ)’র শুভ জন্মদিন।


তাই এ উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি মুবারকবাদ এবং বিশ্বনবী বিশ্বনবী গোলাম মুহাম্মাদ মোস্তফা (সা.) ও এই মহান ইমামের প্রতি পেশ করছি অসংখ্য দরুদ ও সালাম।


(অবশ্য মতান্তরে বিশ্বনবী-সা. জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১২ ই রবিউল আউয়াল। ওই বছরই অর্থাত হিজরি-পূর্ব ৫৩ সালে ইয়েমেনের আবরাহা পবিত্র মক্কার কাবা ঘরে হামলা চালাতে গিয়ে নিজের হস্তী বাহিনীসহ ধ্বংস হয়ে যায়।)


বিশ্বনবী (সা.) ছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)’র পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)’র বংশধর।  হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত বংশধারায় কেউ কাফির বা মুশরিক ছিলেন না। অর্থাত মুহাম্মাদ (সা.)’র পূর্বপূরুষদের কেউ কাফির বা মুশরিক ছিলেন না (তাঁর বাবা ও দাদা থেকে শুরু করে প্রথম মানব আদম-আ. ও হাওয়া পর্যন্ত সবাই ছিলেন এক আল্লাহয় বিশ্বাসী তথা একত্ববাদী)। (তবে এই বংশধারারই প্রশাখা বা অন্য শাখাগুলোর ক্ষেত্রে এই সত্য সব সময় প্রযোজ্য নয়।)


বিশ্বনবী (সা.) ছিলেন কুরাইশ বংশের হাশিমি শাখার সদস্য।

তিনি ছিলেন গোটা বিশ্ব জগতের জন্য রহমত বা আল্লাহর অশেষ করুণার মাধ্যম (কুরআনে উল্লেখিত রাহমাতুললিল আলামিন)। তিনি ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী (কুরআনে উল্লেখিত খুলক্বুন আজিম) ও নিষ্পাপ। মানব জাতিকে সর্বোত্তম চরিত্রের সুষমায় মহিমান্বিত করার খোদায়ী ইচ্ছা বাস্তবায়নই ছিল তাঁর মিশন বা ইসলামের মূল লক্ষ্য। কারণ, মানুষ যদি সব ক্ষেত্রে সঠিক পথে থেকে সর্বোত্তম আচর-আচরণের অধিকারী হয় তাহলে তখনই তারা হবে মহান আল্লাহর প্রকৃত বান্দা তথা পৃথিবীর বুকে আল্লাহর প্রতিনিধি ও তখন তারা হবে ফেরেশতাদের চেয়েও উত্তম।

তিনি কখনও কোনো বিষয়ে (দুনিয়াবি বা বৈষয়িক ও ধর্মীয়সহ অন্য যে কোনো বিষয়ে) কোনো পাপ তো দূরের কথা সামান্য ভুলও করেননি। তবুও তিনি আল্লাহর ভয়ে সবচেয়ে বেশি কাঁদতেন ও সবচেয়ে বেশি ইবাদত করতেন এবং মহান আল্লাহর সর্বোত্তম দাস হিসেবেই তিনি ছিলেন সবচেয়ে স্বাধীন ও সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি  সবচেয়ে গরিব বা দাস-শ্রেণীর সঙ্গে বসতে বা তাদের সঙ্গে খেতে লজ্জাবোধ করতেন না। তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিরহংকার ও বিনম্র। জুতা সেলাই ও কাপড় সেলাই, কাপড় ধোয়া, ঘরদোর ঝাড়ু দেয়া, দুধ দোহন এবং প্রাত্যহিক অন্যান্য কাজ নিজেই করতেন, অন্য কারো ওপর চাপিয়ে দিতেন না।

তিনি সব সময় হাসিমুখে থাকতেন এবং কারো সঙ্গে দেখা হলে নিজেই আগে সালাম দিতেন এবং এমনকি শিশুদেরও সালাম দেয়ার সুযোগ না দিয়ে তিনি নিজেই তাদের আগে সালাম দিতেন। শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করে কোমল স্বরে কথা বলতেন এবং তাদের সঙ্গে তাদের পোষা পাখি ও খেলনার বিষয় নিয়েও কথা বলতেন।

মিষ্টভাষী আল্লাহর সর্বশেষ নবী (সা.)’র বাহ্যিক চেহারা ছিল অত্যন্ত লাবণ্যময় এবং হযরত ইউসুফ (আ.)’র চেয়েও তিনি ছিলেন বেশি সুদর্শন। সুঠাম দেহের অধিকারী বিশ্বনবী (সা.) যুদ্ধ-বিদ্যায় ও সাহসিকতায়ও ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। তিনি যুদ্ধ করতেন রণক্ষেত্রের সম্মুখ কাতারে। (যুদ্ধের প্রচণ্ডতায় বা তীব্রতায় অন্য সবাই দিশেহারা হয়ে পড়লেও তিনি বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেন এবং এতে সাহাবিরা সাহস ফিরে পেতেন ও তাঁর আশ্রয়ে থেকে আবারও যুদ্ধ শুরু করতেন।)

মহান আল্লাহই তাঁর শিক্ষক ছিলেন বলে তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। নবুওত লাভের আগে পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন রাখাল ও পরবর্তীকালে অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী।

তিনি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি হয়ে থাকতেন এবং  সব সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। তিনি কখনও কোনো ক্ষেত্রে অপব্যয় করতেন না, আবার কৃপণতাও করতেন না।

বিশ্বনবী (সা.) উচ্চ কোনো আসনে বসতেন না বা মজলিসের সবচেয়ে ভালো জায়গাটি নিজের জন্য নির্ধারিত করতেন না। ফলে বিদেশ থেকে কোনো প্রতিনিধি বা অপরিচিত কোনো ব্যক্তি আসলে সাহাবিদের মধ্যে একাকার হয়ে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আল্লাহর নবী (সা.) কে তা বুঝতেই পারত না।

তিনি ছিলেন অসহায়, ইয়াতিম, দরিদ্র ও মজলুমের বন্ধু এবং জালিমদের ঘোর শত্রু । অন্যদিকে তাঁর মত ক্ষমাশীল ও সহনশীল ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ইতিহাসে আর নেই।

পবিত্র কুরআনের ভাষায় তথা মহান আল্লাহর ভাষায় ‘যারা আল্লাহ ও শেষ দিবস তথা বিচার-দিবসে বিশ্বাসী এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম নমুনা বা আদর্শ।’ (সুরা আহজাব-২১)

এই উত্তম আদর্শ শুধু ব্যক্তিগত বা ধর্মীয় বিষয়েই সীমিত নয়। রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি বা সমাজনীতি কিংবা সাংস্কৃতিক বিষয় থেকে শুরু করে জীবনের সব বিষয়ে মুহাম্মাদ (সা.)’র আদর্শকেই সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে কেউ ব্যর্থ হলে সে আসলে পবিত্র কুরআনের এই আয়াতকেই অমান্য করল। তাই কেউ যদি বলে, আমি মুসলমান অথচ ধর্মনিরপেক্ষতা আমার আদর্শ, কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের কথিত গণতন্ত্র আমার আদর্শ তাহলে সে প্রকৃতপক্ষে রাসূল (সা.)-কে জীবনের সব ক্ষেত্রে উত্তম আদর্শ হিসেবে মেনে নিল না। আর এক্ষেত্রে আল্লাহ ও  বিচার-দিবসের প্রতি তার বিশ্বাস এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করার দাবি বা চেষ্টা মুনাফেকি ও কুফরি ছাড়া অন্য কিছু বলে গ্রহণযোগ্য হবে না।


তাওরাতসহ অতীতের কোনো কোনো ধর্মগ্রন্থে বিশ্বনবী (সা.)’র নাম ‘আহমাদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াহাব নন্দিনী মা আমিনা নবজাতক মুহাম্মাদ (সা.)’র নাম রেখেছিলেন আহমাদ। দাদা আবদুল মুত্তালিব মহান আল্লাহর ইশারায় তার এই প্রিয় নাতির নাম রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ (সা.) তথা ব্যাপক প্রশংসিত বা প্রশংসার যোগ্য। আহমাদ নামের অর্থও প্রশংসিত। তাঁর অন্য কয়েকটি উপাধি ও প্রসিদ্ধ নাম হল: আবুল কাসিম (কাসিমের পিতা), আবু ইব্রাহিম (ইব্রাহিমের পিতা), রাসূলুল্লাহ বা আল্লাহর রাসূল, নবীউল্লাহ বা আল্লাহর নবী, মুস্তাফা বা নির্বাচিত, মাহমুদ, আমিন (বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী), উম্মি (নিরক্ষর), খাতাম (শেষ বা সিল), মুজাম্মিল (কাপড়ে আবৃত), মুদাসসির (চাদরে আবৃত), নাজির বা সতর্ককারী, বাশির বা সুসংবাদদাতা, মুবিন (ব্যাখ্যাকারী), কারিম বা দয়ালু, নুর বা আলো, রহমত বা আশীর্বাদ, … নেয়ামত, শাহেদ বা সাক্ষ্য, মুবাশশির (সুখবরদাতা), মুজাক্কির, ইয়াসিন, তাহা ইত্যাদি।

শহরের দূষণমুক্ত পরিবেশে ও প্রকৃতির খোলামেলা কোলে রাখার জন্য ধাত্রী হালিমার কাছে রাখা হয়েছিল শিশু মুহাম্মাদ (সা.)-কে। হালিমা ছিল অত্যন্ত পবিত্র ও দয়ালু নারী।

বিশ্বনবী (সা.) ছয় বছর বয়সে মাতা আমিনাকে হারিয়েছিলেন। (মদীনার কাছে আবওয়া এলাকার তাঁর কবর রয়েছে।) ফলে তার অভিভাবক হন দাদা আবদুল মুত্তালিব। কিন্তু নবীজি (সা.) আট বছর বয়সে দাদাকেও হারান। এরপর অভিভাবক হন চাচা আবু তালিব। তিনি ভাতিজার সর্বোত্তম যত্ন নেয়ার ও দেখাশুনার দায়িত্ব পালনের যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। সিরিয়ায় বাণিজ্য সফরে  নিজের সঙ্গে ভাতিজাকে নিয়ে গেলে ‘বাহিরা’ নামের এক সন্ন্যাসী তার মধ্যে নবুওতের নানা লক্ষণ দেখতে পান এবং ভাতিজার নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে চাচা আবু তালিবকে উপদেশ দেন।

বিশ্বনবী (সা.)’র প্রথম স্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন খোয়ালিদের কন্যা হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা)। এই বিয়ের সময় বিশ্বনবী (সা.)’র বয়স ছিল ২৫। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হযরত ফাতিমা (সা.) ছিলেন এই বিয়ের ফসল।

যে কোনো নবীর জন্মের সময় ও তার কিছু আগে এবং পরে অলৌকিক নানা ঘটনা ঘটে থাকে যাতে জনগণ আল্লাহর নবীকে মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

যেমন, আল্লাহর নির্দেশে মায়ের হাতে নবজাতক মুসা নবী (আ.)-কে কাঠের বাক্সে চড়িয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া ও ফেরাউনের ঘরেই তাঁর আশ্রয় লাভ। অথচ ফেরাউন মুসা (আ.)’র জন্ম ঠেকানোর জন্য হাজার হাজার শিশু হত্যা করেছিল।

এ ছাড়াও পিতা ছাড়া হযরত ঈসা (আ.)’র জন্মগ্রহণ এবং দোলনায় বসে নিজের নবুওত সম্পর্কে বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলার ঘটনা এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যায়।

অবশ্য অন্য যে কোনো নবীর চেয়ে এ ধরনের অলৌকিক ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বিশ্বনবী (সা.)’র ক্ষেত্রে এবং এইসব ঘটনা ছিল অনেক বেশি বিস্ময়কর। এর কারণ, বিশ্বনবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং তাঁর ওপর নাজিল হওয়া ধর্ম বা শরিয়তও সবচেয়ে পরিপূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ। আর এই ধর্ম কিয়ামত পর্যন্ত বা বিশ্বের শেষ দিন পর্যন্ত টিকে থাকবে ও শক্তিশালী হয়ে থাকবে। অন্য নবী-রাসূলরা এসেছিলেন বিশেষ জাতি ও বিশেষ সময়ের জন্য। কিন্তু ইসলাম এসেছে সব মানুষ ও জিনের জন্য এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা আল্লাহর মনোনীত শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

এবারে আমরা বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের প্রাক্কালে ও জন্মের পরে সংঘটিত কিছু অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরছি:
১. সততা ও সত্যবাদীতার জন্য সাদিক্ব উপাধি পাওয়া নবী-বংশে জন্ম-নেয়া ইমাম হযরত ইমাম সাদিক্ব (রাঃ) বলেছেন, শয়তান বা ইবলিস অতীতে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেতে পারত। অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সে সপ্তম আকাশ পর্যন্ত যেত। কিন্তু হযরত ঈসা (আ.)’র জন্মের পর থেকে চতুর্থ আকাশের ওপরে ওঠা তার জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এরপর যখন বিশ্বনবী (সা.) জন্ম নেন তখন তারা জন্য সব আকাশই নিষিদ্ধ হয়ে যায়। শয়তানকে আকাশের দরজাগুলো থেকে ধূমকেতু দিয়ে বিতাড়ন করা হয়।

২. যেই ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।

৩. সেদিনই ইরানের রাজার বিশাল প্রাসাদের বারান্দা কেঁপে ওঠে এবং  ছাদের ১৪টি প্রাচীর ধ্বসে পড়ে।

৪. সেদিনই ইরানের সভে অঞ্চলর হ্রদটি তলিয়ে শুকিয়ে যায়। বহু বছর ধরে এই হ্রদের পূজা করা হত।

৫.  সামাভে অঞ্চলে (কুফা ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী) পানির প্রবাহ সৃষ্টি হওয়া। অথচ বহু বছর ধরে সেখানে কেউ পানি দেখেনি।

৬. ইরানের ফার্স অঞ্চলের ( বর্তমান যুগের শিরাজ শহর সংলগ্ন) অগ্নি উপাসনালয়ের আগুন সেই রাতে নিভে যায়। অথচ ওই আগুন এক হাজার বছর পর্যন্ত প্রজ্বলিত ছিল।

৭. ইরানি সম্রাটের প্রাসাদের খিলান আকৃতির তোরণ ভেঙ্গে যায় মাঝখান দিয়ে। ফলে তা দুই টুকরো হয়ে যায়।

৮. সেই রাতে বেলায় হিজাজ বা বর্তমান সৌদি আরব থেকে একটি আলো দৃশ্যমান হয় এবং তা পূর্বাঞ্চলসহ সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে।

৯. সেই ভোরে বিশ্বের সব সম্রাটের সিংহাসন উল্টে পড়েছিল।

১০. সেই দিন বিশ্বের সব রাজা বোবা হয়ে পড়েছিলেন। অর্থাত তারা কথা বলতে পারছিলেন না।

১১. সেই দিন গণকদের সব জ্ঞান লুপ্ত হয় এবং জাদুকরদের জাদুগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে।

বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা বলেছেন: আল্লাহর কসম, আমার পুত্র  জন্ম নিয়েই তাঁর হাতগুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তাঁর থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। সেই আলোয় সিরিয়ার (রোমানদের) প্রাসাদগুলো দেখলাম এবং সেই আলোর মধ্যে একটি শব্দ শুনলাম যে বলছিল: সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে জন্ম দিয়েছ, তাই তাঁর নাম রাখ ‘মুহাম্মাদ’।

বর্ণনায় এসেছে, বিশ্বনবী (সা.)’র জন্মের  সময় (বড় ও মূল) শয়তান তার সন্তানদের মধ্যে আর্তনাদ করে ওঠে। ফলে সবগুলো শয়তান তার কাছে এসে বলে: কেন এত পেরেশান বা উদ্বিগ্ন হয়েছ? সে বলল: তোমাদের প্রতি আক্ষেপ! রাতের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত দেখছি যে আকাশ ও জমিনের অবস্থা বদলে গেছে। ভূপৃষ্ঠে ঘটে গেছে এক বিরাট ঘটনা। ঈসা (আ.) ঊর্ধ্ব আকাশে চলে যাওয়ার পর আর কখনও এত বড় ঘটনা ঘটেনি। সবাই গিয়ে খোঁজ-খবর নাও যে কি ঘটেছে। শয়তানরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ও ফিরে এসে বলে: তারা বলে কিছুই তো দেখলাম না। বড় শয়তান বা শয়তানদের নেতা তখন বলল: এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া আমারই কাজ।
এরপর সে পবিত্র মক্কার কাবাঘর সংলগ্ন অঞ্চলে আসল।  সে দেখল যে ফেরেশতারা কাবাঘরের চারদিক ঘিরে রেখেছেন। শয়তান সেখানে ঢুকতে চাইলে ফেরেশতারা হুংকার দিলেন। ফলে সে ফিরে আসে ও চড়ুই পাখির মত ছোট হয়ে হেরা পর্বতের দিক থেকে সেখানে প্রবেশ করে। জিবরাইল (আ.) বললেন: ফিরে যা ওরে অভিশপ্ত! সে বলল: হে জিবরাইল (ফেরেশতা), আমার একটা প্রশ্ন আছে, বলতো আজ রাতে কি ঘটেছে।
জিবরাইল (আ.) বললেন: সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (সা.) আজ রাতে জন্ম নিয়েছেন।
শয়তান প্রশ্ন করল: তার মধ্যে কি আমার কোনো (কর্তৃত্বের) অংশ আছে?
জিবরাইল (আ.) বললেন: না।
সে তথা ইবলিস বা শয়তান আবার প্রশ্ন করল: তাঁর উম্মতের মধ্যে কি আমার কোনো (কর্তৃত্বের) অংশ আছে?
জিবরাইল (আ.) বললেন: হ্যাঁ।
ইবলিস বলল: আমি সন্তুষ্ট হলাম।
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন,  সে রাতে তথা রাসূলে খোদার (সা.)’র জন্মের রাতে পুরো দুনিয়া আলোকিত হয়। প্রতিটি পাথর ও মাটির টুকরো এবং বৃক্ষ বা গাছ হেসেছে। আর আকাশ ও জমিনের সব কিছু আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা জ্ঞাপন করেছে।

নামায না পড়ার শাস্তি,আল্লাহ্ পাকের "পনেরটি আজাব"

যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক “”পনেরটি আজাব”” নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়াতিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে ও তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

## দুনিয়াতে ছয়টি আযাবঃ–

১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা।

২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন

উঠাইয়া লইবেন।

৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব

পাইবেনা।

৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল

হইবে না।

৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর

অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত

করা হইবে।

## মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ–

১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণ করিবে।

২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।


৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,

তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান
করিয়া ফেলিতে।

## কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ–

১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক
পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত
হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।

২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন

জ্বালাইয়া রাখা হবে।

৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত

ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত,
জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিবহইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্তলোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে।

## হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ–

১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের
দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের
মাঠে লইয়া যাইবে।

২. আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের

দৃষ্টিতে দেখবেন না।

৩, সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে। হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন আর আমাদের সবাইকে এইসব ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন, এবং আমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসীব করুন।


Monday 15 December 2014

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি ! এটা কি আমরা জানি

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি ! এটা কি আমরা জানি ?

ইসলাম যে কত সুন্দর আর ইসলামের জ্ঞানে যে কত গভীর তাৎপর্য ও সৌন্দর্য আছে এটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপলব্ধি করে উঠতে পারিনা।কারণটা অনেকক্ষেত্রেই ইসলাম শিক্ষায় সময় বের করতে নিজের অনাগ্রহ এবং আগ্রহ থাকলেও দ্বীনের ইলামের  কার কাছ থেকে নিচ্ছি সেটার উপর নির্ভর করে পুরোপুরি।

“বিসমিল্লাহ্‌”র অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে কিছু কথা বলেছেন।এই সামান্য জ্ঞানটাও যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস এটা একটা “Lifetime Achievement”!বাহুল্য কাজ কিংবা ভালো কাজে না চাওয়া সত্ত্বেও লোকদেখানো মনোভাব থেকে মুক্ত হয়ে আমরা বুঝতে পারবো যে সিরাতুল মুস্তাকিমে থাকা আসলেই অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! তাই শাইখের লেকচার থেকে কিছুটা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলামঃ

বিসমিল্লাহ্‌ এসেছে ।তাওহীদের সকল দিকই(aspects) এই “বিসমিল্লাহ”র মধ্যে পরিস্ফুটিত হয়।তাওহিদ উল উলুহিয়্যাহ ,তাওহিদ উর রুবুবিয়া এবং তাওহিদ আসমা ওয়াসসিফাত এই তিনটাই।নিচের তিনটা পয়েন্টে আমরা দেখে নিই যে তাওহীদের এই aspect গুলো আসলে কি বোঝাচ্ছে-

প্রথমত,

বিসমিল্লাহ্‌ বলে কোন কাজ শুরু করা মানেই এই সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ্‌ই আমাকে এই কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন,যদি এই কাজে আল্লাহর সায় না থাকতো আমি কখনোই এ কাজ করতে পারতাম না।হে আল্লাহ্ একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির(Only for your sake) জন্যই এ কাজটা করছি।


কেউ কখনো হারাম কাজ করতে গিয়ে বিসমিল্লাহ্‌ বলতে পারেনা।যদি বলে সে আসলে দ্বিগুণ গুনাহ করছে।কারণ, সে যখন বলে বিসমিল্লাহ্‌ সে তখন সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আল্লাহ্‌ই তাকে এ কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন অতচ আল্লাহ্‌ কখনোই সে কাজের বৈধতা দেননি।এটা হল একটা গুনাহ আর দ্বিতীয়টা হল ওই হারাম কাজের গুনাহ ।


দ্বিতীয়ত,

যখন আমরা কোন একটা জিনিস লিখি বা করি আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসা উচিৎ যে এই আমি লিখছি কে আমাকে এই লিখার ক্ষমতা দিল?এ কাজ করার ক্ষমতা আমায় কে দিয়েছেন?- আল্লাহ্‌ই আমাকে দিয়েছেন এই ক্ষমতা।তাই যখন আমরা বলি বিসমিল্লাহ্‌ তখন আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি “I couldn’t have done this without the power Allah has given me, Bismillah I am doing this by the power Allah has given it. Bismillah I eat because Allah has given me this provision and had it not been for the power Allah has given me I wouldn’t be able to chew it. Bismillah I write because if it wasn’t for Allah given me the power my hand wouldn’t be able to move”
এটা বলা আসলে “লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”বলার মত মানে “If it was not for his power I wouldn’t have done this act” এজন্যই আল্লাহ্‌ বলছেন “Every provision you have is from Allah”
এটা হল তাওহীদ আররুবুবিয়্যাহ।
তৃতীয়ত,

বিসমিল্লাহ্‌ বলা মানে “Seeking Blessing by the name of Allah.You are using the name of Allah to Bless whatever you are doing.” অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নামকে ব্যবহার করে যেই কাজটা আমরা করবো সেটার জন্য।

ইসলামিক কিছু দরকারি দোয়া (তারিক মনোয়ার)এর ডাউলোড লিংক Islamic Essential Doua

ইসলামিক কিছু দরকারি দোয়া

* নবীজি পরতেন যে দোয়া ১
http://downloads.ziddu.com/download/24163279/Nobijir-doa-1.mp3.html
* নবীজি পরতেন যে দোয়া ২
http://downloads.ziddu.com/download/24163280/Nobijir-doa-2.mp3.html
* নবীজি পরতেন যে দোয়া ৩
http://downloads.ziddu.com/download/24163239/Nobijir_doa_3.mp3.html
* নবীজি পরতেন যে দোয়া ৪
http://downloads.ziddu.com/download/24163279/Nobijir-doa-1.mp3.html
* নবীজি পরতেন যে দোয়া ৫
http://downloads.ziddu.com/download/24163243/Nobijir_Doa_5.mp3.html
* শয়তান থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163319/Soytan-theke-mokto-thakar-doua.mp3.html
* সুদ এর নিষেধ
http://downloads.ziddu.com/download/24163321/Riba-ar-Nised.mp3.html
* গুনা মাপের দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163322/Gona-mapar-doa.mp3.html
* ফেরাউন এর তওবা
http://downloads.ziddu.com/download/24163426/Fraun-ar-touba.mp3.html
* তারাবির দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163571/Tarabi-doua.mp3.html
* দোয়া-১
http://downloads.ziddu.com/download/24163442/Doa-1.mp3.html
* দোয়া-২
http://downloads.ziddu.com/download/24163429/Doa-2.mp3.html
* দোয়া-৩
http://downloads.ziddu.com/download/24163443/Doa-3.mp3.html
* দোয়া-৪
http://downloads.ziddu.com/download/24163428/Doa-4.mp3.html
* দোয়া-৫
http://downloads.ziddu.com/download/24163444/Doa-5.mp3.html
* দোয়া-৬
http://downloads.ziddu.com/download/24163458/Doa-6.mp3.html
* দোয়া-৭
http://downloads.ziddu.com/download/24163427/Doa-7.mp3.html
* দোয়া-৮
http://downloads.ziddu.com/download/24163459/Doa-8.mp3.html
* সফর এর দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163320/Sofor-ar-Doa.mp3.html
* দোয়া-৩
http://downloads.ziddu.com/download/24163443/Doa-3.mp3.html
* দোয়া-৪
http://downloads.ziddu.com/download/24163428/Doa-4.mp3.html
* আজান এর দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163441/Azan-ar-doa.mp3.html
* আয়াতুল কুরছি
http://downloads.ziddu.com/download/24163440/Auatul-kursi.mp3.html
* মসজিদে প্রবেশের দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163462/Mosjid-ar-doua.mp3.html
* তাশাহুদ
http://downloads.ziddu.com/download/24163489/Tasahud.mp3.html
* দরুদ শরিফ
http://downloads.ziddu.com/download/24163461/Dorud-shorif.mp3.html
* দোয়া-কূনুত
http://downloads.ziddu.com/download/24163460/Doa-kunut.mp3.html
* ওয়াজ শুরু এবং ওয়াজ শেষের দোয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24162336/--.mp3.html

http://downloads.ziddu.com/download/24162335/--.mp3.html

***দরকারি কিছু সূরার ডাউলোড লিংক*** Islamic Essential Sura Download link

* সূরা-বানিয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163395/Sura-bania.mp3.html

* সূরা-আসর
http://downloads.ziddu.com/download/24163394/Sura-Asor.mp3.html

* সূরা-আলাক
http://downloads.ziddu.com/download/24163393/Sura-Alak.mp3.html

* সূরা-আদিয়াত
http://downloads.ziddu.com/download/24163392/Sura-adiat.mp3.html

* আমপারার ১০ সূরা
http://downloads.ziddu.com/download/24163391/Amparar-10-sura.mp3.html

* সূরা-তাকাসূর
http://downloads.ziddu.com/download/24163404/Sura-Takassur.mp3.html

* সূরা-কদ্বর
http://downloads.ziddu.com/download/24163403/Sura-Kodor.mp3.html

* সূরা-কারিয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163402/Sura-Kariya.mp3.html

* সূরা-যিলযালা
http://downloads.ziddu.com/download/24163401/Sura-jiljala.mp3.html

* সূরা-ইনসিরিয়া
http://downloads.ziddu.com/download/24163400/Sura-Insiria.mp3.html

* সূরা-তিন
http://downloads.ziddu.com/download/24163425/Sura-tin.mp3.html

* ছোট বালকের কুরআন তেলোয়াত
http://downloads.ziddu.com/download/24163570/Small-boy-tiloat.3gp.html

* দরকারি সূরা-১
http://downloads.ziddu.com/download/24163485/Sura-Needy-1.mp3.html

* দরকারি সূরা-২
http://downloads.ziddu.com/download/24163486/Sura-Needy-2.mp3.html

* দরকারি সূরা-৩
http://downloads.ziddu.com/download/24165785/Sura-Needy-3.mp3.html

**** কিছ আজান এর ডাউলোড লিংক***Some mp3 Azan Download link

http://downloads.ziddu.com/download/24163527/Saudi-azan-the-best-sound-in-the-world-amazing.mp3.html

http://downloads.ziddu.com/download/24163526/Beautiful-Makkah-Azan.mp3.html

http://downloads.ziddu.com/download/24163524/Makkah.mp3.html

http://downloads.ziddu.com/download/24163523/Azan.mp3.html

http://downloads.ziddu.com/download/24163525/Saudi-Azan-1-AR.3gp.html

*** ইসলামিক গজল(তারিক মনোয়ার)এর ডাউলোড লিংক***
*** Islamic Best gojol(Tarik monoar) download link***

* ওগো মা তুমি এই ধরনের.......
http://downloads.ziddu.com/download/24162308/Ma.mp3.html
* মসজিদে রি পাসে আমার কবর দিও ভাই........
http://downloads.ziddu.com/download/24162337/Mosjid-ri-pase-amar.mp3.html
* যখন রাতি নিঝুম নেই চোখে ঘুম একলা শূন ঘরে.........
http://downloads.ziddu.com/download/24163359/Jokon-ratti-nijum.mp3.html
* যে ফুল যুগ যুগান্তরে খুসবু ছরায়........
http://downloads.ziddu.com/download/24163358/Je-ful-juj-jugan-tore.mp3.html
* রাসূল আামার ভা্লোবাসা.........
http://downloads.ziddu.com/download/24163357/Rasul-amar-valovasa.mp3.html
* তায়েফের কথা ভেবে.......
http://downloads.ziddu.com/download/24163356/Tayafer-kotha-vabe.mp3.html
* তৌহিদেরি মুরসিদ আমার আল্লাহু তার নাম.........
http://downloads.ziddu.com/download/24163355/Towhide-ri-morsid-amar.mp3.html
* আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু.............
http://downloads.ziddu.com/download/24165789/Aallahu-Aallahu.mp3.html
* আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আবু ব্ক্কর (Urdu) Fine
http://downloads.ziddu.com/download/24165788/Allah-Allah-Allah-By-Abu-Bakr-fine-Urdu.mp3.html
* আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু(Best)
http://downloads.ziddu.com/download/24165787/Allah-ho-allah-best.mp3.html
* আল্লাহ তুমি অপোরুপ
http://downloads.ziddu.com/download/24165786/Allah-tomi-opurup.mp3.html

★★ জানাযা নামাযের নিয়ত, দোয়া

জানাযা 

জানাযা একটি বিশেষ প্রার্থনা যা কোনো মৃত মুসলমানকে সৎকার করার পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সচরাচর এটিজানাযার নামাজনামে অভিহিত হয়। মুসলমান অর্থাৎইসলামধর্মামলম্বীদের জন্য এটিফরযে কেফায়াবা আবশ্যকীয় দায়িত্ব। তবে কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়। কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে অবশ্যই জানাযার নামাজ পাঠ করতে হবে। জানাযার নামাজ একজনইমামেরনেতৃত্বে জামাতের সাথে বা দলবদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা বেজোড় সংখ্যক কাতারে বা সারিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এ নামায আদায় করেন। এটি ৪তকবিরেরনামাজ। দাঁড়িয়ে এ নামাজ আদায় করতে হয় এবং সালাম ফেরানোর মধ্য দিয়ে এ নামায শেষ হয়। সাধারণত জানাযার নামাযের শেষেমুনাজাতবা দোয়া করতে হয় না কারণ এ নামাযের মাধ্যমেই মৃতের জন্য দোয়া করা হয়। জানাযা শেষে মৃতব্যক্তিকে গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মাটিতে সৎকার করা হয়।

মৃত ব্যক্তির গোসলসম্পাদনা

জানাযার পূর্বে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো হয়। মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ানো ফরযে কেফায়া বা আবশ্যকীয় কর্তব্য। মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় কোন অপরিচিত মৃতদেহ পাওয়া গেলে এবং তাকে অমুসলিম বিবেচনা করার কারণ না থাকলে মুসলিম জ্ঞানে তাকে গোসল করাতে হবে। মৃত ব্যক্তি পুরুষ হরে তাকে গোসল করাবে কোন পুরুষ ব্যক্তি, একইভাবে মৃত ব্যক্তি নারী হলে তাকে গোসল করাবে আরেকজন নারী। গোসল সমাপনান্তে মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরাতে হবে। গোসল করানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পাওয়া না গেরেতায়াম্মুমকরাতে হবে।কাফনসম্পাদনা

কোন মৃত মুসলমানকে মাটিতে দাফন করার পূর্বে যে কাপড় পরানো হয় তাকাফননামে অভিহিত। কাফন ব্যতিরেকে জানাযা পড়া যায় না।জানাযার পদ্ধতিসম্পাদনা

জামাতের সঙ্গে বা দলবদ্ধভাবে জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়। তবে জামায়াতে জানাযা আদায় করা শর্ত নয়। নামাযে অংশগ্রহণকারীরা ইমামের পেছনে এক/তিন বা এরকম বেজোড় সংখ্যক কাতারে বা সারিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এ নামায আদায় করেন। নামাযের আগেঅযুকরে পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক। দাঁড়িয়ে এ নামাজ আদায় করতে হয় এবং সালাম ফেরানোর মধ্য দিয়ে এ নামায শেষ হয়। জানাযার নামাযে রুকু এবং সেজদা নাই। এটি ৪তাকবিরেরনামাজ।

নিয়ত পাঠের পর প্রথম তাকবির উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জানাযার শুরু। প্রথম তাকবিরের পর বুকে হাত বাঁধতে হবে। তারপরসানাপড়তে হয় ও সানা পাঠ শেষে দ্বিতীয় তাকবির দিতে হয়। দ্বিতীয় তাকবিরের পরদরূদপাঠ করতে হবে। দরূদ পাঠান্তে তৃতীয় তাকবির দিতে হবে। তৃতীয় তাকবির উচ্চারণের পর মৃত ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত দোয়া পাঠ করতে হয়। মৃত ব্যক্তি বালেগ বা পূর্ণবয়ষ্ক হলে একরকম আর নাবালেগ বা অপ্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষের ক্ষেত্রে আলাদা এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক নারীর ক্ষেত্রে আলাদা দোয়া রয়েছে। দোয়া পাঠ শেষে চতুর্থ তকবির দিতে হয় এবং তার পরপরই প্রথমে ডানে ও পরে বামে সালাম ফেরাতে হয়। ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ডান হাত ও বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে বাম হাত ছাড়া যায়, তবে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে উভয় হাত একসঙ্গে ছাড়াটাই উত্তম।গায়েবী জানাযাসম্পাদনা

মরদেহের অবর্তমানে যে জানাযা তাকে "গায়েবী জানাযা" বলা হয়। কিন্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান মোতাবেক ইমামের অবস্থানের ঠিক আগে মরদেহ রেখে জানাযার নামায আদায় করতে হবে। সুতরাং মৃতদেহের সাক্ষাৎ উপস্থিতি ব্যতিরেকে জানাযার নামায আদাযের শরিয়তসম্মত সুযোগ নাই।

জানাযা নামাযের নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ  عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاِْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ



উচ্চারণঃ  নাওয়াইতু আন উয়াদ্দিয়া লিল্লাহে তায়ালা আরবাআ তাকবীরাতে ছালাতিল জানাযাতে ফারযুল কেফায়াতে আচ্ছানাউ লিল্লাহি তায়ালা ওয়াচ্ছালাতু আলান্নাবীয়্যে ওয়াদ্দোয়াউ লেহাযাল মাইয়্যেতে এক্কতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতে আল্লাহু আকবার।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে জানাযা নামাজের চারি তাকবীর ফরযে কেফায়া কেবলামুখী হয়ে ইমামের পিছনে আদায় করার মনস্থ করলাম। ইহা আল্লাহু তায়ালার প্রশংসা রাসূলের প্রতি দরূদ এবং মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া (আর্শীবাদ) আল্লাহ মহান।

নিয়তের মধ্যে অন্যান্য জামাতের নামাযের নিয়তের ন্যায় ইমাম তাহার অতিরিক্ত খাছ কালাম (আনা ইমামুল লেহেজাল কউম) এবং মোক্তাদিগণ তাহাদের অতিরিক্ত খাছ কালামটি পাঠ করিলে। (একতেদাইতুল বেহাযালইমাম) আর নিয়তের ‘লেহাযাল মাইয়্যেতে’ শব্দটি কেবল পুরুষ লাশের বেলায় বলিতে হইবে, কিন্তু স্ত্রী লাশ হইলে ঐ শব্দটির স্থলে ‘লেহাযিহিল মাইয়্যেতে’ বলিতে হইবে।
নিয়তের পরে ছানা

 سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণঃ সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।

অনুবাদঃ হেআল্লাহআমরাতোমারপবিত্রতার গুণগান করিতেছি। তোমার নাম মংগলময় এবংতোমারস্তুতি অতি শ্রেষ্ঠ,তুমিব্যতীত আর কেহই উপাস্য নাই।
ছানার পরে তাকবীর বলিয়া তাশাহুদের পরের দরূদ পড়িতে হয়।
দুরুদ শরীফ
  اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ


উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলাইব্রাহীমাওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলিমুহাম্মাদিনকামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।

অনুবাদঃ যেআল্লাহ!মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর ঐরূপ আশীর্বাদ অবতীর্ণ কর যেইরূপ আর্শীবাদহযরত ইব্রাহিম (আঃ)এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর অবতীর্ণ করিয়াছ। নিশ্চয়ইতুমিপ্রশংসা ভাজন এবংমহামহিম। হে আল্লাহ!মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর সেইরূপ অনুগ্রহ কর যে রূপ অনুগ্রহ ইব্রাহীম (আঃ) এবং তাঁহার বংশরগণের উপর করিয়াছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ভাজন এবংমহামহিম।
জানাযার দোয়া
اَلَّهُمَّ اغْفِرْلحَِيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا  اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِْسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَىالاِْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَاَارْ حَمَالرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলি হাইয়্যেনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহীদিনা ওয়া গায়িবিনা ও ছাগীরিনা ও কাবীরিনা ও যাকারিনা ও উনছানা। আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলালইসলামীওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ ফাহু আলাল ঈমান বেরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহীমিন।

অনুবাদঃ হেআল্লাহ্আমাদের জীবিত ও মৃত উপস্থিত ও অনুপস্থিত বালকও বৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকদিগকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ আমাদের মধ্যে যাহাদিগকে তুমি জীবিত রাখ তাহাদিগকে মৃত্যুর মুখে পতিত কর। তাহাদিগকে ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করাইও।


লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে নিচের দোয়া পড়তে হবে
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًاوْ اَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرً اوَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا شَا فِعًة وَمُشَفَّعًا-


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহুলানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফ্ফায়ান।


অনুবাদঃ হে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকেআমাদেরসুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।


লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে নিচের দোয়া পড়তে হবে।
اَللَّهُمَّ اجْعَلْهَ لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَ لَنَا اَجْرً اوَذُخْرًا وَاجْعَلْهَ لَنَا شَا فِعً وَمُشَفَّعًا


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফ্ফায়ান।

অনুবাদঃ হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকেআমাদেরপুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকেআমাদেরসুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও। দুইহাত দুইপাশে ঝুলাইয়া ইমাম সাহেব ডানে এবং বামে ছালাম ফিরাইবে।