যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক “”পনেরটি আজাব”” নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়াতিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে ও তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।
## দুনিয়াতে ছয়টি আযাবঃ–
১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা।২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন
উঠাইয়া লইবেন।
৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব
পাইবেনা।
৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল
হইবে না।
৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর
অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত
করা হইবে।
## মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ–
১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণ করিবে।২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,
তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান
করিয়া ফেলিতে।
## কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ–
১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার একপাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত
হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন
জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত
ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত,
জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিবহইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্তলোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে।
## হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ–
১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরেরদিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের
মাঠে লইয়া যাইবে।
২. আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের
দৃষ্টিতে দেখবেন না।
৩, সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে। হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন আর আমাদের সবাইকে এইসব ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন, এবং আমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসীব করুন।
No comments:
Post a Comment