Wap4dollar.com

Tuesday 12 May 2015

★★★কবিরা গুনাহ★★★

★★★কবিরা গুনাহ★★★

→১ টা কবিরা গুনার জন্য ৭ হাজার বছর জাহান্নামে যেতে হবে। যেমন:> যার সঙ্গে দেখা করা যায়েজ নাই ইচ্ছা করিয়া দেখা করা কবিরা গুনা। গান শুনা কবিরা গুনা। বিড়ি খাওয়া কবিরা গুনা। দাড়ি কাঠা কবিরা গুনা। মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনা, সুদ খাওয়া কবিরা গুনা, ইত্যাদি।

★★কবিরা গুনা তওবা ছাড়া মাফ হয় না★★

★★কবীরা গুনাহ কাকে বলে?

কবীরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
★যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
★যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে।
★যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
★যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দেন।
★যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
★যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে।
★যে ব্যাপারে বলা হয়েছে এটি মুনাফিকের আলামত বা মুনাফিকের কাজ।
অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ

১. মহান আল্লাহ বলেন:

إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا

“যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)

২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:

الصلوات الخمس . والجمعة إلى الجمعة . ورمضان إلى رمضان . مكفرات ما بينهن إذا اجتنب الكبائر

“পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপরাশীর জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবীরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)

★★১০০টি কবীরা গুনাহ:
★আল্লাহর সাথে শিরক করা
★নামায পরিত্যাগ করা
★পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
★অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
★পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
★যাদু-টোনা করা
★এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
★জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন করা
★সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
★রোযা না রাখা
★যাকাত আদায় না করা
★ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
★যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
★প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
★অহংকার করা
★চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের  নিকট লাগোনো)
★আত্মহত্যা করা
★আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
★অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
★উপকার করে খোটা দান করা
★মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
★মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
★জুয়া খেলা
★তকদীর অস্বীকার করা
★অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
★গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
★পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
★রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
★মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
★মিথ্যা কথা বলা
★মিথ্যা কসম খাওয়া
★মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
★জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
★সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
★মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
★হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
★যার জন্যে হিলা করা হয়
★মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
★মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
★মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
★মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
★খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
★কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
★আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
★ওজনে কম দেয়া
★ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
★ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
★জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
★গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
★দাঁত চিকন করা
★সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
★অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
★পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
★নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
★বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
★কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
★পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
★পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
★মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
★ডাকাতি করা
★চুরি করা
★সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
★ঘুষ লেন-দেন করা
★গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
★স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
★জুলুম-অত্যাচার করা
★অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
★প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
★রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
★স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
★পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
★সাহাবীদের গালি দেয়া
★নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
★মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
★ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
★পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
★কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
★আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
★বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
★যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
★স্বামীর অবাধ্য হওয়া
★স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
★স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
★স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
★বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
★বিশ্বাস ঘাতকতা করা
★অঙ্গীকার পূরণ না করা
★আমানতের খিয়ানত করা
★প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
★ঋণ পরিশোধ না করা
★বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
★তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
★পরীক্ষায় নকল করা
★ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
★ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
★আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
★দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
★কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
★নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
★আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া

★★বিড়ি_সিগারেট_হারাম_হওয়ার_কারণ★★

শরীয়তের বিধানের সকল কিছুর স্পষ্ট দলীল নেই। আর না থাকলে কোন জিনিস যে হালাল, তা নয়। শরীয়তের স্পষ্ট উক্তিসমুহ থেকে ফকীহগন এমন কিছু নীতি নির্ণয় করেন, যার দ্বারা বলা যায় কোনটা হালাল, আর কোনটা হারাম। যে সকল নীতির মাধ্যমে বিড়ি-সিগারেটকে হারাম করা হয়, তার কিছু নিম্নরুপঃ-

(ক) এতে রয়েছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম।
(খ) এতে রয়েছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম।
(গ) বেশি পরিমাণ পান করলে, তাতে জ্ঞানশূন্যতা আসতে পারে। আর যাতে নেশা, মাদকতা ও জ্ঞানশূন্যতা আসে, ইসলামে তা হারাম।

(ঘ) এতে দুর্গন্ধ আছে। এর দুর্গন্ধে অধূমপায়ীরা কষ্ট পায়। সুতরাং তা পবিত্র জিনিস নয়। আর ইসলাম পবিত্র জিনিস খাওয়াকে হালাল এবং অপবিত্র জিনিস খাওয়াকে হারাম ঘোষণা করেছে।

‪★★সুদী_ব্যাংকে_চাকুরী_করা_হারাম‬★★

সুদী ব্যাংকে যে কোন চাকুরী করা হারাম। যেহেতু এতে চাকুরী করার অর্থই হল সূদের উপর সহায়তা করা। অতএব যদি সূদী কারবারের উপর সহায়তা হয়, তাহলে সে (চাকুরে) সহায়ক হিসেবে অভিশাপে শামিল হবে। নবী (সঃ) সুদখোর, সুদদাতা, তার সাক্ষিদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং বলেছেন, “ওরা সবাই সমান।” (মুসলিম ১৫৯৮ নং)

পক্ষান্তরে এ কাজ যদি সুদী কারবারের উপর সহায়ক না হয়, তাহলেও উক্ত কারবারে তার সম্মতি ও মৌন সমর্থন প্রকাশ পায়। তাই সুদী ব্যাংকে কোন প্রকার চাকুরী নেওয়া বৈধ নয়।
বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকই কম বেশী সুদী কারবারে জড়িত হওয়ায় সেখানে যে কোন চাকুরী
করা হারাম।
অবশ্য প্রয়োজনে ওই ব্যাংকে টাকা জমা রাখায় ক্ষতি নেই--- যদি ওই সমস্ত ব্যাংক ছাড়া টাকা জমা রাখার জন্য আমরা অন্য ভিন্ন কোন নিরাপদ স্থান না পাই। তবে এই শর্তে যে, তা থেকে যেন কেউ সুদ গ্রহণ না করে। যেহেতু সুদ গ্রহণ অবশ্যই হারাম।
‪★‎আল্লাহর_গুণাবলী_মানুষের_গুণাবলীর_মতই_বিশ্বাস_কবীরা_গুণাহ্‬★
যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস পোষণ করবে যে, আল্লাহর সিফাত তথা গুণাবলী মানুষের গুণাবলীর মতই
সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। কেননা কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী আল্লাহর গুণাবলী মানুষের গুণাবলীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ-
“তাঁর অনুরূপ আর কেউ নেই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা শুরাঃ ১১)
দু’টি জিনিষের নাম ও গুণ এক হলেই জিনিষ দু’টি সকল দিক থেকে এক হওয়া জরুরী নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি। মানুষের মুখমন্ডল আছে। উটেরও মুখমন্ডল আছে। মুখ দু’টি কি একই রকম? কখনই নয়। অনুরূপভাবে উটের হাত আছে পিপিলিকারও হাত আছে। হাত দু‘টি কি সমান? তাহলে কেন আমরা বলব না যে, আল্লাহর চেহারা আছে। তা মাখলুকাতের চেহারার অনুরূপ নয়। আল্লাহর হাত আছে। কিন্তু তা মানুষের হাতের মত নয়। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তারা যথার্থভাবে আল্লাহর ক্ষমতা ও সম্মান বুঝতে পারেনি। কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর
হাতের মুঠোতে এবং আসমানসমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে।” (সূরা যমারঃ
৬৭)
★ আল্লাহ আরো বলেনঃ
“সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র।” (সূরা আম্বিয়াঃ ১০৪)
কোন মাখলুকের কি এধরণের হাত রয়েছে? কখনই নয়। সুতরাং আমাদের জেনে রাখা উচিৎ যে, যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি সৃষ্টিজীবের মত নন। না সত্বায় না গুণাবলীতে।
★ “তাঁর মত আর কেউ নেই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা শুরাঃ ১১)
এই জন্যই আল্লাহর কোন সিফাতের ধরণ গঠন বা প্রকৃতি অনুসন্ধান করা ঠিক নয়। কিংবা এরকম ধারণা করা ঠিক নয় যে, আল্লাহর গুণসমূহ মানুষের গুণাবলীর মতই।

★ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:
‘‘তাদের পর আসলো (অপদার্থ) বংশধর। তারা সালাত
নষ্ট করল ও লালসার বশবর্তী হল,
সুতরাং তারা অচিরেই কু-কর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ
করবে। কিন্তু তারা নয় যারা তওবা করেছে, ঈমান
এনেছে ও নেক কাজ করেছে।’’ (মারইয়াম ৫৯-৬০)
হাদীসে বর্ণিত আছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন- ‘‘কোন মুমিন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের
মধ্যে পার্থক্য হল সালাত ত্যাগ করা।’’ (মুসলিম)
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, ‘‘আমাদের ও তাদের মধ্যে পার্থক্য হল সালাত, যে তা পরিত্যাগ করল সে কাফের
হয়ে গেল।’’ (আহমাদ:২১৮৫৯)

★কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে কেন?
------------------------------------------

কবীরা গোনাহ সমূহ থেকে বিরত
থাকলে,
ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দেবে:
মহান আল্লাহ বলেন, ﺇِﻥْ ﺗَﺠْﺘَﻨِﺒُﻮْﺍ ﻛَﺒَﺎﺋِﺮَ ﻣَﺎ
ﺗُﻨْﻬَﻮْﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻧُﻜَﻔِّﺮْ ﻋَﻨْﻜُﻢْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺗِﻜُﻢْ ﻭَﻧُﺪْﺧِﻠْﻜُﻢْ ﻣُﺪْﺧَﻼً ﻛَﺮِﻳْﻤًﺎ
‘যদি তোমরা কবীরা গোনাহ সমূহ
থেকে বিরত থাক,
তাহ’লে আমরা তোমাদের (ছোট
খাট)
ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দেব
এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক
গন্তব্যে প্রবেশ
করাব’ (নিসা ৪/৩১)।
তিনি আরো বলেন, ﺍَﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﺠْﺘَﻨِﺒُﻮْﻥَ ﻛَﺒَﺎﺋِﺮَ ﺍﻟْﺈِﺛْﻢِ
ﻭَﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺣِﺶَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻤَﻢَ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻭَﺍﺳِﻊُ ﺍﻟْﻤَﻐْﻔِﺮَﺓِ ‘যারা বড়
বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য
থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট
অপরাধ করলেও নিশ্চয়ই তোমার
পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর
বিস্তৃত’ (নাজম ৫৩/৩২)।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ)
হ’তে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন, ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕُ ﺍﻟْﺨَﻤْﺲُ ﻭَﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔُ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻣُﻜَﻔِّﺮَﺍﺕٌ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻦَّ ﺇِﺫَﺍ
ﺍﺟْﺘَﻨَﺐَ ﺍﻟْﻜَﺒَﺎﺋِﺮَ ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত
এবং এক জুম‘আ থেকে অপর জুম‘আ, এক
রামাযান থেকে অপর রামাযান এর
মাঝে যত গোনাহ করা হয়, সবগুলির
কাফফারাহ হয়। যদি কবীরা গুনাহ
থেকে বিরত থাকে’।

1 comment:

  1. গান শুনা কবিরা গুনাহ কোথায় আছে দলিল কি?

    ReplyDelete