Wap4dollar.com

Thursday, 22 June 2017

সৎ রমণী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ

★★★ সৎ রমণী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদঃ


আবদুল্লাহ্ বিন আমর থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেন,
“পৃথিবীটা হচ্ছে ভোগের বস্তু। আর পৃথিবীর
মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে নেক রমণী।”[11]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেন,
“চারটি গুণের কারণে কোন রমণীকে বিবাহ
করা হয়, তার সম্পদ, বংশ মর্যাদা, সৌন্দর্য ও
ধর্মভীরুতা। ধর্মভীরু নারী বিবাহ করে তুমি
বিজয়ী হও। তোমার দু’হাত ধুলোলুন্ঠিত হোক।
”[12]
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আরো বলেন,
“চারটি বস্তু সৌভাগ্যের। ১) নেক রমণী ২)
প্রশস্ত আবাসস্থল ৩) সৎ প্রতিবেশী এবং ৪)
আরাম দায়ক আরোহী। আর চারটি বস্তুতে
রয়েছে দুর্ভাগ্য। ১) অসৎ নারী। ...।”[13]
এ সমস্ত উক্তি ও অনুরূপ আরো অনেক হাদীছ
থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, একজন
মুসলিম পুরুষের জীবন সঙ্গী নির্বাচন করার
জন্য একজন নেক ও সৎ রমণী অনুসন্ধান করা কত
গুরুত্বপূর্ণ। আর মুসলিম রমণীর উপর আবশ্যক হচ্ছে
নেক স্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করার জন্য সর্বোত্তম গুণাবলী সমূহ অর্জন করার
চেষ্টা করা। যাতে আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট
হন। ইহ-পরকালে তার জীবন হয় পূণ্য ও সফলতায়
পরিপূর্ণ।
হে মুসলিম বোন! নিম্নে নেক রমণী হওয়ার
জন্য কুরআন-সুন্নাহ ও পূর্বসূরী নেক মনিষীদের
কতিপয় উক্তি সন্নিবেশ করা হল। এগুলোর
শিখুন এবং নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন
করার চেষ্টা করুন। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “শিক্ষা
অর্জন করার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করা যায়,
ধৈর্যের অনুশীলনের মাধ্যমে সহিষ্ণু হওয়া
যায়। যে ব্যক্তি কল্যাণ লাভের চেষ্টা
করে, তাকে উহা প্রদান করা হয়।”[14]

naimnourose.blogspot.com

★★★ ইসলামিক বাণী

কাকে বিয়ে করবেন?
শতকরা কয় জন মেয়ে খুঁজে পাওয়া
যাবে  যারা বাসর রাত্রে
স্বামীর বুকে হাত রেখে এই কথাটি
স্বামীকে সত্যি করে বলতে পারবে
যে, আমি তোমাকে সেই
(সতীত্ব) যৌবন আজ উপহার দিলাম, যেই
(সতীত্বে) যৌবনে কলংকের কোনো
দাগ
লাগে নাই।
আমি তোমাকে এমন একটি দেহ আজ
উপহার দিলাম, যেই দেহতে অতীত
জীবনে
কোনো পর পুরুষের হাত লাগে নাই।
পুরুষের অবস্থাও তাই!
কোন পুরুষ ও জোড় গলায় বলতে পারবে
না যে, আমি কোন মেয়ের
কলংকে দাগ লাগাই নাই। practice match
খেলা হয়ে যায় বিয়ের আগেই!
হাজার হোক পুরুষতো!
বাঙ্গালী সমাজে আবার পুরুষের সব
কিছু মাফ!
ও ভাইসাব, এখানে মাফ পেতে
পারেন আল্লাহর কাছে
পাবেন না! তবে ভয়ের কিছু নেই …
আপনি ঠিক যেরকম আপনার life partner ও
ঠিক তাই ই হবে!
আল্লাহ কখনোই বেইনসাফ নন . . .
আপনি অসতী মেয়ে আর আপনার
স্বামীটি পুত
পবিত্র হাজী সাহেব এমনটা কখনোই
নয়! আপনি
school /college /varsity life এর playboy আর
আপনার স্ত্রী সতী স্বাধী কুমারী
রমনী এটা
কখনোই সম্ভব নয়!
হ্যাঁ তবে সবকিছু জেনে শুনে নিয়ে
দুজন যদি দুজনকে বিয়ে করেন সেটা
ভিন্ন কথা!
না জেনে দুজন দুজনকে বিয়ে করছেন
আর বিয়ের পর
বলবেন “আমিতো তোমাকে ভালো
ভাবছিলাম ”
এটা হবেনা কেননা আল্লাহ তায়ালা
বলেই দিচ্ছেন সূরা
আন-নূর এর ০৩ নাম্বার আয়াতে
‘ব্যভিচারী পুরুষ
কেবল ব্যভিচারীনী এবং মুশরিকা
নারীকেই বিয়ে
করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল
ব্যভিচারী এবং
মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে.. এদেরকে
মুমিনদের জন্য হারাম করা হয়েছে.

بسم الله الرحمن الرحيم

নারীদের মাহরাম তথা যাদের সাথে দেখা করা জায়েজ
১-বাপ, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
২-সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৩-শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
৪-আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তানদের স্বামী।
৫-স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
৬-ভাতিজা, ভাগিনা তথা সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই ওবোনের ছেলে ও তাদের অধঃস্থন কোন ছেলে।
৭-আপন চাচা অর্থাৎ বাপের সহোদর,বৈপিত্রেয় ও বৈমাত্রেয় ভাই।
৮-আপন মামা তথা মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৯-দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, উক্ত ছেলের ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী।
১০-দুধ সম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
১১-দুধ সম্পর্কীয় ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
১২-শরীয়ত অনুমোদিত বৈধ স্বামী।
১৩-যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যারমাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তারপ্রতি কোন আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত বয়স্ক এমন বালক যার মাঝে এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
উপরোক্ত পুরুষগণ ছাড়া কোন মহিলার জন্য অন্য কোন পুরুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ হারাম।

naimnourose.blogspot.com

★★★ যে দুই কারণে অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামী হবে -

মহান আল্লাহ তায়ালা নবী রাসূল (সা.)-এর উম্মতদের জন্য রমজান মাস দিয়েছেন। যাতে করে মানুষ সারা বছরের পাপ থেকে মুক্তি লাভ করে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা.)-এর উম্মতদের জন্য জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সহজ করে দিয়েছেন। আর জাহান্নামের যাওয়ার রাস্তা করেছেন অনেক কঠিন। তাইতো পবিত্র বা নেক কোন কাজের নিয়্যত করলে আমল নামায় সওয়াব যোগ হতে থাকে। অন্যদিকে খারাপ কাজ সংগঠিত হওয়ার পরেই কেবল তা পাপে পরিণত হয়।

চলার পথে অনেক মানুষ এমন কিছু করে থাকে, যার জন্য সে জাহান্নামের আগুনে সারাজীবন জ্বলবে। আসুন জেনে নিই কোন দুটি কাজের জন্য অধিকাংশ মানুষই জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ আছে, নবী কারীম (সা.) বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বস্তু মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে তা দুটি ফাকা জায়গা আর তা হলো ১. লজ্জা স্থান ২. মুখ ( জিহ্বা )
অর্থ্যাৎ যারা (নর-নারী) তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে না তারাই জাহান্নামী।

★★★ যিনা না করেও যেই নারীরা যিনাকারিনী...

কোনো নারী যদি পারফিউম/সেন্ট/
বডি স্প্রে দিয়ে বাইরে যান আর তার
সুগন্ধি গাইরে মাহরাম মানুষেরা পায়,
তাহলে তিনি ব্যভিচারিণী বলে গণ্য
হবেন। এই কথা আমাদের নয় স্বয়ং
রাসুলে কারিম (সা:) এর।
তিনি বলেছেন:
“কোন নারী সুগন্ধি মেখে কোন
সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে যদি এজন্য
অতিক্রম করে যে তারা তার কাছ
থেকে সুঘ্রাণ লাভ করবে, তাহলে সে
ব্যভিচারিণী।”
[আবু দাউদ: ৪/৭৯; তিরমিযী:
৫/১০৬;নাসাঈ: ৮/১৫৩

★ মহান আল্লাহ মেয়েদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আর তোমরা নিজেদের গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন জাহেলী/অজ্ঞতার যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না।” –সূরা আহযাব (৩৩:৩৩)
কিন্তু স্বামী বা অভিভাবকের অনুপস্থিতে যদি (প্রয়োজনে) বাহিরে যেতেই হয়, তাহলে কিভাবে যেতে হবে সে প্রসঙ্গে নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, “হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।” –সূরা আহযাব (৩৩: ৫৯)
আল্লাহ আরও বলেন, “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।” –সূরা নুর (২৪:৩১)
আল্লাহ অনত্র বলেন, “তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” –সূরা নুর (২৪:৩১)
অন্যদিকে রসূল (স.) বলেছেন, “কোন পুরুষ যেন অপর (বেগানা) মহিলার সঙ্গে নিভৃতে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন মাহরাম সঙ্গী ছাড়া সফর না করে।” -সহীহুল বুখারী (হা/৩০০৬, ১৮৬২:

রসূল (স.) আরও বলেছেন, “মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে সুশোভন করে তুলে।” -তিরমিযী, মিশকাত (হা/৩১০৯)
রসূল (স.) এটাও বলেছেন যে, “নিশ্চয় স্ত্রীলোক পর্দার বস্তু। এরা যখন বাড়ী হতে বের হয় তখন শয়তান তাদের প্রতি উৎ পেতে থাকে। তারা আল্লাহ তা’আলার খুব বেশি নিকটবর্তী হয় তখন, যখন তারা নিজেদের বাড়ীতে অবস্থান করে।” –হাফিয আবূ বাকার বাযযার
রসূল (স.) নারীদেরকে সুগন্ধি ব্যবহারের বিষয়ে বলেছেন, “প্রতিটি চোখই যিনাকারী। যখন কোন নারী সুগন্ধি লাগিয়ে পুরুষদের কোন মাজলিসের পার্শ দিয়ে গমন করে তখন সে এরুপ এরুপ অর্থাৎ যিনাকারী।” -আত্-তিরমিযী (হা/২৭৮৬; হাসান, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী)
আবূ হুরাইরাহ (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, “নারীরা রাস্তার মধ্য দিয়ে চলাচল করবে না।” - সিলসিলাহ সিহীহাহ (হা/৮৫৬)
এই যদি বাহিরে গমনকারী মেয়েদের ব্যাপারে রসূল (স.) এর নির্দেশনা হয়, তাহলে যে নারী বেগানা পুরুষের সাথে প্রেম করে সে উপরে বর্ণিত রসূল (স.) এর কোন নির্দেশকে মান্য করতেছে?

No comments:

Post a Comment