Wap4dollar.com

Saturday 15 August 2015

*** আলী ইবনে আবু তালেব (রা:) ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও

***  আলী ইবনে আবু তালেব (রা:) ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও
বিচক্ষণ ব্যক্তি। একবার একদল লোক নিজেদের ভেতর
আলোচনা করছিল, 'পৃথিবীতে আল্লাহ্র সৃষ্টির ভেতর
সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস কি?' এক পর্যায়ে আলী (রা:)
সেখানে উপস্থিত হন। সবাই তখন উনার কাছে প্রশ্ন
রাখে, "পৃথিবীতে আল্লাহ্র সৃষ্টির ভেতর
সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস কি?"
তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন,"দশটি জিনিস।
পর্বতমালা শক্তিশালী কারন শত-সহস্র বছর
ধরে তারা নিজ অবস্থানে অটল,অথচ ইস্পাত এই
পর্বতকে কাটতে পারে, তাই ইস্পাত পর্বতের চেয়েও
বেশী শক্তি রাখে। আগুন ইস্পাতের চেয়েও
শক্তিশালী কারন এটি ইস্পাতকে গলানোর ক্ষমতা রাখে,
আবার পানি আগুন নিভাতে পারে, তাই পানির
শক্তি আগুনের চেয়েও বেশী। পানিকে বহন করে মেঘ তাই
সে অধিক শক্তি ধরে, অপরদিকেবাতাস মেঘকে এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে উড়িয়ে নিয়ে যায় তাই বাতাস অধিক
শক্তিধর। কোন মানুষ যখন দৃঢ়ভাবে কোন জায়গায়
অবস্থান করে তখন অনেক সময় বাতাসও
তাকে উড়িয়ে নিতে পারে না, তাই মানুষ বাতাসের
চাইতে বেশী শক্তিশালী। এই মানুষ যখন নেশার দ্রব্য
গ্রহন করে তখন সে উন্মাদ হয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ
হারায়। তাই সব ধরনের মাদক দ্রব্য মানুষের চেয়েও
শক্তি রাখে। আবার নেশাগ্রস্থ মানুষ যখন
ঘুমিয়ে পড়ে তখন মাদক দ্রব্যের কোন প্রভাবই তার উপর
থাকে না, তাই ঘুম মাদকের চেয়েও শক্তিধর। কিন্তু উদ্বেগ,
আশংকা ও দুশ্চিন্তা যখন মানুষকে আচ্ছন্ন করে তখন
সে নির্ঘুম দিন কাটায়। তাই,পৃথিবীতে আল্লাহ্র সৃষ্টির
ভেতর সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস হোল দুশ্চিন্তা!"
                      --- ভালভাবে ওযু করার ফজিলত ---
আমর ইবনু আবাসা (রা) হ’তে বর্ণিত, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী (ছাঃ)! ওযূ সম্পর্কে বলুন। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন পানি সংগ্রহ করে কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় অতঃপর নাক ঝাড়ে, নিশ্চয়ই তখন তার মুখমন্ডল, মুখের ভিতরের ও নাকের ভিতরের গোনাহ সমূহ ঝরে যায়। অতঃপর সে যখন চেহারা ধৌত করে যেরূপ আল্লাহ নির্দেশ দান করেছেন, তখন তার মুখমন্ডলের পানির সাথে পাপগুলো দাড়ির কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে।

অতঃপর যখন সে দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের পাপ সমূহ আঙ্গুলের ধার দিয়ে পানির সাথে ঝরে যায়। অতঃপর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার পাপসমূহ চুলের পাশ দিয়ে ঝরে পড়ে। অবশেষে যখন সে দুই পা ধৌত করে দুই গিরা পর্যন্ত তখন তার গোনাহ সমূহ তার আঙ্গুল সমূহের কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে। অতঃপর সে যখন ছালাতের জন্য দাঁড়ায় এবং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে এবং তাঁর মর্যাদা বর্ণনা করে তিনি যেমন মর্যাদার অধিকারী। সেই সাথে নিজের অন্তরকে আল্লাহর জন্য নিবিষ্ট করে, তখন সে তার পাপ হ’তে অনুরূপ মুক্ত হয়ে যায় যেন তার মা তাকে সেদিন জন্ম দিয়েছে।"
(ছহীহ মুসলিম হা/১৯৬৭, ১/২৭৬, ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়, ‘আমর ইবনু আবাসার ইসলাম গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ-৫২; মিশকাত হা/১০৪২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৫, ৩/৩৮ পৃঃ)

No comments:

Post a Comment