#Entertainment Post : মাঝে মাঝে লাইফে হাসতে হয় 😂😂,
********মিলিটারি এয়ারক্রাফট এ টয়লেট সমাচার !***********
ব্যাপারটা খানিকটা বিনোদনদায়ী খানিকটা কষ্টকর।কেননা আপনি-আমি যেভাবে বাথরুমের কমোডে বসে আনগাইডেড বোমাবর্ষণ করিতে করিতে "ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" কথাটার সার্থকতা উপলব্ধি পারি,পাইলটরা অনেক সময় চাইলেও সেটা পারে না।
তারপরও যদি তেজাস/গফ-১৭ এর দাবরানি খেয়ে সু-৩৫/এফ-২২ এর পাইলটদের প্যান্ট ভিজানো ঠেকাতে বিমানে কয়েকটা পদ্ধতি থাকে।😛
মিলিটারি এয়ারক্রাফট এর পাইলটদের ১ নাম্বার এবং ২ নাম্বার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সিস্টেম কয়েক প্রকার:
➡বাংলা সিস্টেম:
এ পদ্ধতিতে বোতলে হিসু করা হয় বলে আমি নাম দিয়েছি বাংলা সিস্টেম 😂✌
তবে পাইলটদের সরবরাহ করা #বিশেষ বোতলে একধরনের পাউডার থাকে যা প্রস্রাবের সাথে মিশে জেলির মত হয়ে যায়।এসব বোতল পাইলটের জি-সুটের সাথে পায়ের কাছে এটাচ করার সিস্টেম থাকে যা ল্যান্ড করার পর বোতল ফেলে দিতে হয়।বর্তমানে সব বোতল এয়ারটাইট কিন্তু এধরণের জেলি বানানোর কারণ হচ্ছে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে ল্যান্ডিং করার সময় তীব্র ঝাঁকুনিতে বোতলের মুখ খুলে হিসু দিয়ে ককপিট ভাসিয়ে ফেলার মত ঘটনা ঘটেছিল...😂
(উফফ....মুইতা ও শান্তি নাই 🙈🔫)
➡এডাল্ট প্যাম্পাস:
এটা বাচ্চাদের প্যাম্পাস এর এডাল্ট ভার্শন আরকি।পক্ষাঘাতগ্রস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষ যাদের টয়লেটে যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য বানানো এই প্যাম্পাস পাইলটরাও ব্যবহার করে।এক একটা প্যাম্পাস দুইবার ট্যাংকি আনলোড ধারন করার ক্ষমতাসম্পন্ন।তবে ২নাম্বার প্রকৃতির ডাক আসলে এবং বাচ্চাদের মত প্যাম্পাসেই কর্ম সম্পাদন করার পর বিমান ল্যান্ড করার পর হাজার লেবুর গন্ধে সুরভিত হুইল সাবান দিয়ে গোসল করা ছাড়া উপায় নাই।এজন্য নভোচারী বা এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড এর মত বিমানের পাইলটদের মন্তব্য থাকে
"What does the inside of an EVA suit smell like? " 🙊
প্রশ্ন হচ্ছে নারী পাইলটরা কি করে?
প্রকৃতিগতভাবেই নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সময় প্রস্রাব আটকে রাখতে পারে।তবে অযথা আটকে রেখে মূত্রথলির ইনফেকশন ঘটানো ঠিক নয়।পাইলট নারীরা প্যাম্পাস সিস্টেম অথবা পুরুষের মতই বোতল সিস্টেম ব্যবহার করে (😵)
আপনি হয়তো ভাবছেন নারী-পুরুষ সমান অধিকারের এই তসলিমা নাসরিন ভার্শন
কিভাবে সম্ভব 😆
উত্তর হচ্ছে মেয়েদের জন্য বানানো বিশেষ female pee kit যার মাধ্যমে বোতলে ইমারজেন্সি জলবিয়োগ করা সম্ভব।এধরণের কিট অন্যান্য দেশের সিভিলিয়ান নারীরাও ভ্রমনের সময় বা অন্যান্য ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে (দাঁড়িয়ে জলবিয়োগ করার ক্ষেত্রেও 🙈) ব্যবহার করে।
(কেউ শেষ ছবিটা দেইখেন না 🙈)
➡টয়লেট সিস্টেম:
এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিন্তু অত্যাধুনিক সিস্টেম।বিশেষ করে বোম্বার (যেমন সু-৩৪,বি-২) এবং AWACS বিমানে (যেমন E-3) এধরণের সিস্টেম থাকে।এছাড়া পোর্টেবল টয়লেট সিস্টেম (কন্টেইনার টাইপ) লংরেঞ্জ বোম্বার বিমানে থাকে।এধরনের বিমানে খুব স্বল্প পরিসরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সিস্টেম থাকে।AWACS বিমানে ১০-১৫ জন এর মত ক্রু এর দরকার হয়।কিন্তু এধরনের টয়লেট সবচেয়ে বড় সাইজের কন্টেইনার নিয়েও ৩জনের হাগু বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধারণ করতে পারে।অপারেশন SOUTHERN WATCH নামের একটি নো ফ্লাই জোন অবজারভেশন মিশন চলাকালে একটি E-3 বিমান মিশন শেষ না করেই ল্যান্ড করতে বাধ্য হয়েছিল তার টয়লেট ওভারলোড হওয়ার কারণে।এক ক্রু তখন ব্যাপক নিম্নচাপ অনুভব করছিলো অথচ টয়লেট ওভারলোডেড 😂😷🔫
মূলত ২ঘন্টার বেশি ফ্লাই করার ক্ষেত্রে হালকা খাবার নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।এছাড়া পানি নেয়ার অনুমতি আছে।তবে বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।এছাড়া লং রেঞ্জের মিশন পূর্ব মেডিকেল চেকআপে পাইলট তার ট্যাংকি আনলোড করেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হয়
(বাবু আজকে হাগু করছো? 🐸)
(লুতুপুতুর গফ/বফ ভার্শন 🙊)
➡সিভিলিয়ান বিমানের টয়লেট কিভাবে কাজ করে?
যাত্রীবাহী বিমানের টয়লেট ট্রেনের থেকে আলাদা রকমের হয়। এখানে থাকে ভ্যাকুয়ম টয়লেট। এই টয়লেট সিট অনেকটা নন স্টিক ফ্রায়িং প্যানের মতো হয়। ফ্লাশ করা মাত্রই মুহূর্তে সব গায়েব হয়ে সিট শুকনো হয়ে যায়। ফ্লাশ বাটন টেপার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় টয়লেটের সঙ্গে যুক্ত ভ্যাকুয়ম পাইপের মুখ। সেকেণ্ডের মধ্যে সেই পাইপ দিয়ে বর্জ্য গিয়ে জমা হয় বিমানের লেজে। বিমান গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর সেখানে বিমানের ‘পেট খালি’ করা হয়। দুর্গন্ধ যুক্ত সব বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে ‘হানি ট্রাক’!!
(আসলেই কিন্তু ঐ ট্রাকের নাম হানি ট্রাক🐸)
বিমানের সঙ্গে একটি ভ্যাকুয়ম পাইপ লাগিয়ে সব বর্জ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘হানি ট্রাক’-এর বিশাল ট্যাঙ্কে। এরপর সেইসব বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নিয়ে চলে যায় ‘হানি ট্রাক’।
বর্জ্য নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া আছে ৷ সেখানে পরিষ্কার বলা আছে,উড়ন্ত বিমান থেকে কোনো অবস্থাতেই সেপটিক ট্যাংক খালি করা যাবে না ৷ সেটা খালি করতে হবে বিমানবন্দরে, বিমান মাটিতে নামার পর ৷তার জন্য নির্দিষ্ট
সাফাইকর্মীরা থাকেন বিমানবন্দরে, যারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে
বিমানের সেপটিক ট্যাংক সাফ করেন ৷ একটি কারণেই বিমানের
বর্জ্য মাঝ আকাশে, উড়ন্ত অবস্থায় খালি করার দরকার হতে পারে
৷ যদি সেপটিক ট্যাংক কোনো কারণে ‘লিক’ করে বা বিমানের
বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়,
তবে সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে৷ বিমান যখন অতি
উচ্চতায় থাকবে, সেই বর্জ্য হিমায়িত করে বরফ কুচির আকারে
পরিবেশে ছেড়ে দিতে হয়৷
ভারতে গতবছর এমনই হিমায়িত নীল রঙের হাগু নিয়ে তুলকালাম
ঘটেছিল।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি গ্রামের ওপর দিয়ে উড়ে যাবার
সময় বিমান থেকে পড়ে যায় যাত্রীদের মলমূত্র জমে যাওয়া
বরফখণ্ড। ওজন প্রায় ১২ কেজি। গ্রামটির বাসিন্দারা প্রথমে ভাবে,
এটা ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো বস্তু। এখানেই শেষ নয়।
এর কিছু অংশ অনেকেই বাড়িতে নিয়ে ফ্রিজে রাখে বলেও
জানা গেছে।কেউ কেউ খেয়েও দেখেছেন শোনা
গেছে।
কখনো গন্ধ ও পরিমাণ কমাতে বর্জ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা
কেমিক্যালের কারণে এটি নীল বরফ হয়ে যায়। বিমান থেকে
‘ব্লু আইস’ নিক্ষিপ্ত হবার ঘটনা খুবই বিরল।তবে ভারতে এতদিন এটাই
ছিল রীতি!!
কয়েকটি এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে যেখানে সেখানে হাগু
নিক্ষেপিত হতো।অর্থাৎ সভ্য ভারতীয়রাও বাজে এয়ারলাইন্সের
কারণে # পরোক্ষভাবে যেখানে সেখানে প্রাকৃতিক কাজটা
করে নিতো
বর্তমানে সেটা সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে বন্ধ।
(ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্ট,যেখানে সেখানে জৈবসার বিতরণ বন্ধ
করার জন্য)
দিল্লি বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সৎবন্ত সিং দাহিয়া গত অক্টোবরে
ভারতের পরিবেশ আদালতে অভিযোগ জানান যে, প্রতিদিন উড়ন্ত
বিমান থেকে তাদের এলাকায় মানব-বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হয়, যা
ঘরেদোরে, এমনকি লোকের গায়েও এসে পড়ে৷গত
ডিসেম্বরেই দিল্লির আরেক বাসিন্দা, ৬০ বছরের এক মহিলা জখম
হয়েছিলেন অত উঁচু থেকে গায়ে এসে পড়া বর্জ্যের
আঘাতে৷
সৎবন্ত সিং দাহিয়ার অভিযোগের পরই বিষয়টি জাতীয় নিয়ন্ত্রণ
পর্ষদের নজরে আনা হয় এবং পরিবেশ আদালত শেষ পর্যন্ত
বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেয়, বিমানে সঞ্চিত মানব-বর্জ্য
ঠিকভাবে যাতে জমা করা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে৷ কারণ কোনো
জনপদ এই বর্জ্যের কারণে সমস্যায় পড়বে, এটা হতে পারে না৷
বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো ভারতীয়
এয়ারলাইন্সগুলির জন্যে বর্জ্য নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে
দেওয়া আছে৷ সেখানে পরিষ্কার বলা আছে, উড়ন্ত বিমান
থেকে কোনো অবস্থাতেই সেপটিক ট্যাংক খালি করা যাবে না৷
সেটা খালি করতে হবে বিমানবন্দরে, বিমান মাটিতে নামার পর৷ তার
জন্য নির্দিষ্ট সাফাইকর্মীরা থাকেন বিমানবন্দরে, যাঁরা যান্ত্রিক
পদ্ধতিতে বিমানের সেপটিক ট্যাংক সাফ করেন৷ এবং এক্ষেত্রে
কঠোর নিয়ম হলো, বিমান অবতরণের পর যদি দেখা যায় তার
সেপটিক ট্যাংক খালি, তা হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
# এম_আর_নাইন
ক্রেডিট : @masudrana
No comments:
Post a Comment