Wap4dollar.com

Friday 18 January 2019

‘আমি সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের শিকার হয়েছিলাম। আমার শিক্ষক/ আত্মীয়/ কাজিন/ পাড়াতো ভাই/ প্রতিবেশী/ অফিসের বস/ বাসের সহযাত্রী...’




এরকম কত কুৎসিত সত্যি গল্প ছড়িয়ে আছে। মেয়েরা তা এতদিন গোপন রেখেছিল, এখন প্রকাশ করছে। সম্প্রতি নাট্যকার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত শিক্ষক সেলিম আল দ্বীনের নামে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এরপর আরো কিছু সাহসী মেয়ে তাদের জীবনের এইসব ঘটনা লিখে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে #ME_Too লিখছে।
বাঃ,ভালো, বেশ ভালো, সাহসী মেয়ে, বলে তাকে আমরা অভিবাদন জানাচ্ছি।
কিন্তু তা প্রতিরোধের পথ খুঁজছি কী?

আসুন এই কুৎসিত ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নেইঃ


১) ধর্মীয় অনুশাসনের কোনো বিকল্প নাই। ছেলে-মেয়ে দুই জনকেই পর্দা করা শেখান। ছেলে দৃষ্টি হেফাজত করবে আর ছেলে-মেয়ে দুইজনকেই শরীর-মন-দৃষ্টির পর্দা করা শেখাতে হবে। শুধু মেয়ের পর্দা নিয়ে কন্সার্ন থাকলে চলবে না, ছেলেটা যেন জাবির সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক মানিক হয়ে না উঠে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দিন, আমরা একটা সেক্স ওয়ার্ল্ডের মধ্যে বাস করছি, সেই ওয়ার্ল্ড থেকে তাকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র আল্লাহভীতি।

২) কন্যাকে মাহরাম ছাড়া অন্য কারো কাছে একা রাখবেন না সে যত ভালো/কাছের মানুষ হোক না কেন। মাহরাম ১৪ জন, বাবার মত ৫ জন (বাবা, আপন চাচা, আপন মামা, শ্বশুর, দুধ বাবা) ভাইয়ের মতো ৫ জন, (নিজের ভাই, দাদা, নানা, নাতি, দুধভাই), ছেলের মতো ৪ জন, (নিজ পুত্র, ভাস্তা, ভাগ্নে, মেয়ের জামাতা)
এই লিস্টে উকিল বাপ, বাবার কাজিন, বাবার বন্ধু, মায়ের কাজিন, মামা/চাচা শ্বশুর, পাড়াতো সাবালোক ভাস্তা, ভাগ্নে, দুলাভাই, কাজিন ভাই, পাতানো ভাই, ফুফা, খালু, পাতানো আংকেল নাই।
ধর্ম মোতাবেক এরা কেউ আপন নয়, পরপুরুষ। তাই এদের সামনে প্রয়োজনে পর্দা করে যান।

৩) পুরুষ শিক্ষক দিয়ে পড়াবেন না, একান্ত মহিলা শিক্ষক না পেলে ব্যাচে পড়তে দিন। সিলেটের খাদিজার গৃহ শিক্ষক ছিল বদরুল যে পরবর্তীতে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ছিল। সো, বি কেয়ারফুল।

৪) ‘শিক্ষক মানেই বাবাতুল্য’ এটা মিথ্যা। আমাদের ধর্মে মাহরাম ছাড়া সবাই পরপুরুষ, মাস্টার বাপ বলে কিছু নাই।
ভিকারুন্নেসার পরিমল, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির মার্কস বেশি দেবার প্রলোভনে মিউচুয়াল সেক্স করা শিক্ষকের মতো এমন আরো মুখোশধারী শিক্ষক আছেন।
কোনো শিক্ষক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করলে, মহিলা শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করুন। মোবাইলে উত্যক্ত করা কথোপকথনের কল রেকর্ডিং (কল রেকর্ডিং এপ ডাউনলোড করতে পারেন), খারাপ মেসেজ গুলোর মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট, মেইলের স্ক্রিনশটের প্রমাণ রেখে তারপর অভিযোগ করতে যাবেন। অভিযোগ আমলে না নিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ অথোরিটির কাছে প্রমাণসহ দরখাস্ত লিখুন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টের শাস্তি বহিষ্কার।

৫) জাস্ট ফ্রেন্ড, ক্লাস ফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড, টাইম পাসিং ফ্রেন্ড, ধর্মের ভাই, কলিজার ভাই, পাড়াতো ভাই/বন্ধু আসলে কিছু নয়, এরা স্রেফ পুরুষ।
প্রত্যেকেরই টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ হয় এবং কামভাব জাগ্রত হয়। যারা বলে তাদের হয় না, তাদের চিকিৎসা দরকার। তাই এয়ারটেলের 'বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল' বিজ্ঞাপন দেখে পুলকিত হবার কিছুই নাই। সব শয়তানের ধোঁকা।
পুরুষদের সাথে স্টাডি সার্কেল তৈরি বন্ধ করুন। ছেলে-মেয়ে বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকুন। কারণ ছেলে-মেয়েতে কখনো বন্ধুত্ব হয় না, এটা বিখ্যাত নারীবাদী তাসলিমার কথা যে কামুক পুরূষদের খুব কাছ থেকে দেখেছে।
গত বছর আপন জুয়েলার্সের ছেলে যে মেয়েগুলোকে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিল তারা ফ্রেন্ড ছিল, বার্থডে পার্টি শেষে মেয়ে বান্ধবীদের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। তারাও কিন্তু জাস্ট ফ্রেন্ড ছিল।


৬) বাসে/ পাবলিক পরিবহনে মহিলা সিটে বসার চেষ্টা করুন। দূর পাল্লার রাস্তায় মাহরাম পুরুষকে নিয়ে যান। সন্ধ্যে/রাতে চলাচল না করাই ভালো। এই কথা শুনে নারীবাদীর মতো টং করে রেগে যাবার কিছু নাই, রাতে ঘোরা যাবে না, একা যাওয়া যাবে না, কই আমার ভাইয়ের তো এত নিষেধ নাই। আমার বেলায় কেন এত বিধি নিষেধ?
কন্যা, আমরা দরজা খোলা রেখে ঘুমাই না। এটা মুসলিম সমাজ নয়, যে তুমি নির্ভয়ে হাঁটতে পারবে। মনে আছে টাঙ্গাইলের রাতের বাসে একাকী সফরকারী মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছিল। তখন রাতে বিরেতে ঘুরে বেড়াতে বলা কোনো নারীবাদী নিরাপত্তা দিতে আসে নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকে ভাবতে হবে।


৭) ফেসবুকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবো। অযথা কেন ছবি আপলোড দাও? মেয়েদের ছবি এডিট করে পর্ন গ্রাফি তৈরি হয়। সস্তা মেয়েরা যৌন উদ্দীপনা মূলক ছবি দিয়ে পুরুষদের আকৃষ্ট করে। ফেসবুকের পুরুষেরা তোমার ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট / wow se../ সেইরাম/ সুন্দর বললে ভালো লাগে আর রাস্তার বখাটে ছেলেরা যখন শিস বাজিয়ে নোংরা কথা বলে, ফিগার মাপে তখন রেগে যাও। কেন, তোমাকে কি শুধুই শিক্ষিত আর সিলেক্টেড পুরুষ মাপার অধিকার রাখে? এসো, অনলাইনে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টের ব্যাপারে সচেতন হই। মেসেঞ্জারে আলাপ করতে আসলে ব্লক করে দেই। সে যত বড় ছালাবাটিই হোক না কেন, যত ধর্মীয় পোস্ট দিয়ে হুগুর সাজুক না কেন, পিতলা আলাপ করতে আসলেই ব্লক!

৮) নারীবাদী পেইজ, নারীবাদী ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করে উল্টা-পাল্টা কাজ করে না বেড়াই। এরা নারী স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, নারীরা বেপর্দা ঘুরে বেড়াবে, বয় ফ্রেন্ড/জাস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে হুল্লোড় করবে, যেমন ইচ্ছে তেমন চলবে, রাতে বিরেতে ঘুরে বেড়াবে, মাসিক হলে অনলাইন অফলাইনে বলে বেড়াবে, পরকীয়াকে বৈধতা দিয়ে তাকে স্বকীয়া নাম দেবে। এদের ফাঁকা বুলির স্বাধীনতা আসলে নোংরামি। তাতে নারীদের কোনো কল্যাণ নেই। এদের ফাঁকা বুলি বিশ্বাস করে জীবন চালালে সেক্সুয়্যাল হ্যারাজমেন্টে আরো পড়তে হবে।
নারী স্বাধীনতা আওড়ানো পুরুষগুলো একে একে মিটু তে ধরা খাচ্ছে। তোরা যে একেক টা শেয়াল ছিলি যারা মুরগীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তা আজ স্পষ্ট হলো।



নারীরা পতিতাবৃত্তি করে টাকা কামালে, নাস্তিকদের কোন সমস্যা হয় না।।
নারীরা মদের বারে উলঙ্গ লুঙ্গি ড্যান্স মারলেও,নাস্তিকদের কোন সমস্যা হয় না।।
 নারীরা অফিসে তার উপরের কর্মকর্তার সাথে রঙ্গরস করে অতিরিক্ত কিছু অাদায় করলে, নাস্তিকদের সমস্যা হয় না।।
 নারীদের দিয়ে পর্ণ মুভি তৈরি করিয়ে পুরুষরা শত কোটি টাকা কামালেও, নাস্তিকরা মাথা ঘামায় না।।
নারীদের দিয়ে পশুর সাথে যৌনতা করিয়ে ভিডিও বানিয়ে পুরুষরা টাকা কামালেও,নাস্তিকরা কিছু বলে না।।
 নাটক সিনেমায় নারীদের অর্ধ উলঙ্গ করে যৌনতার পণ্য বানিয়ে উপস্থাপন করলেও, নাস্তিকদের কিছুই অাসে যায় না।।
 সমুদ্র সৈকতে নারীরা উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকলেও,নাস্তিকরা কিছুই বলে না।।
 ফ্যাশন ও Art and Culture এর নামে নারীকে জনগনের সম্পদে পরিনত করলেও,নাস্তিদের চেতনা জেগে উঠে না।।
 খ্রিষ্টান Nun এরা পর্দার নামে বোকরা পরলেও,নাস্তিকদের কোন সমস্যা নেই।।।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু ,, যদি মুসলিম নারীরা পর্দার জন্যে বোরকাা পরে,তখনি নাস্তিকদের চেতনা জেগে উঠে।।।............


এ কেমন বিচার?....
কি ধরনের সভ্য মায়ের গর্ভ থেকে এই সব নাস্তিকরা জন্ম নিয়েছে,এটা জাতি জানতে চায়.

কারন এরা নিজ মায়ের জাতির, উলঙ্গ/অর্ধ উলঙ্গ থাকাকে পছন্দ করে.....।
শখ, স্পর্শিয়া, সারিকা, মোনালিসা, জয়াদের মতন জাতীয় ক্রাশরা তাদের স্বামীর ক্রাশ হয়ে থাকতে পারেনি তাদের সৌন্দর্য দিয়ে।
লাক্স সুন্দরী বাঁধন তো জাতীয় পর্যায়ের সুন্দরী, সে কেন পারেনি তার সৌন্দর্য দিয়ে স্বামীকে মুগ্ধ করতে?
অপূ-পপীরা পর্দায় নায়িকা হলেও, বাস্তব সংসারে হতে পারেনি।
সুবাহ্ র মতন সুন্দরীরা রুবেল, নাসিরদের কাছে রিজেক্টেড হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তাদের সৌন্দর্য যেন প্যারালাইজড্।
বিখ্যাত যৌন আবেদনময়ী তসলিমা নাসরিনের রিলেশনশিপ ইনফোতে "সিঙ্গেল" দেওয়া।
ভাবা যায়????
পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে অধিকাংশই আপনি দেখবেন,
"ডিভোর্সি সুন্দরী+ধনী পাত্রীর জন্য পাত্র চাই"
সুন্দরী ডিভোর্সি??
বিয়ের আগে যারা এত ডিমান্ডেড, বিয়ের পর তারা কেন এত এভোয়েডেড?
বুঝে আসে কিছু?
গ্যারান্টেড!!!
দ্বীনদারিত্ব অার ইসলামই আসল সৌন্দর্য!
সৌন্দর্যের পূর্ণতা দীনদারিত্বে,ইসলাম মানার মধ্যে!!কোন নারীর বাহ্যিক রূপে নয়।
তাছাড়া বর্তমানে যে পরিমানে ডিভোর্স হচ্ছে তা কিন্তু সুন্দরী অাধুনিক নারীদেরই হচ্ছে । কোন দ্বীনদার নারীর মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে বলে কোন খবর দেখতে পাওয়া যায় না।
লম্পটের দলের সাজা হোক আর আমাদের নারীরাও এদের মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখুক।
#


by Dr-Umme Bushra Sumona
please share to make awareness.

1 comment: