Wap4dollar.com

Friday 18 January 2019

যৌনাচার_জিনা_কি_শুধু_physically ??

আসসালামু আলাইকুম# যৌনচার_বা_জিনা__কি ????


# যৌনাচার_জিনা_কি_শুধু_physically ??

Courtesy: (Amatullah)

রাত 12.00, লেপটপের সামনে বসে আছে তামজীদ, চোখ

মুখে ভয়, এমন ভাব যেনো সে চুরি করছে নিজের ঘরে।

হঠাৎ তামজীদের মা তার ঘরে ঢুকলো

তার মা রুমে ঢুকতেই লেপটপ টা অফ করে দিলো ।

মা ___ কী দেখছিল তামজীদ?

তামজীদ __ কই কি দেখবো, মানে

তামজীদ ঘাবরিয়ে গিয়েছিলো, কথা বের হচ্ছিলোনা,

একতো ভয় আরেক হচ্ছে লজ্জা।

তামজীদের মা তাকে কিছুক্ষন তার পাশে বসে তাকে

বুজালেন , এই কাজ যাতে 2nd time না হয় তাকে সতর্ক

করলেন। ইসলামের দৃষ্টি তে এর ভয়াবহতা বুজিয়ে বললেন

ছেলের মাথা বুলিয়ে মা চলে গেলেন।

তামজীদের মা রুম থেকে চলে যাওয়ার পর তীমজীদ

search history গুলো মুছতে লাগলো, অনলাইনে মেয়েদের

সাথে যতো নোংরা chat হতো সব ডিলিট করতে লাগলো ,

এককথায় অনলাইন জগৎে যতো নোংরামি তার ছিলো সব

মুছে ফেলতে নিলো। ভয় ছিলো মা যদি তার বড় ভাইকে

বলে দেয়

কিন্তুু হঠাৎ তার হাত পুরোপুরি অবশ হয়ে যাচ্ছিলো,

আস্তে আস্তে শরীর, সে কানে শুনতে পারছিলো, কেউ

একজন কিছু বলছে

''হে খারাপ আত্মা এ দুনিয়ায় তোমার সময় শেষ, আর সময়

পাবেনা তুমি এসব গুনাহ মুছে ফেলার।

তোমার ফেসবুক আইডি তুমি বন্ধ করার সময় আর পাবেনা,

এই ফেসবুক, এই অনলাইন জগৎে তুমি যতো গুনাহ করেছো,

কিছু মুছতে পারবেনা, কেউ মুছতে পারবেনা আল্লাহ

ছাড়া। মৃত্যুর পরে ও মুছবেনা এসব

এই ফেসবুক, এই অনলাইন জগৎে , ঘরের বাহিরে যতো

মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টি দিয়েছো, যতো কুকর্ম ,

যৌনাচার করেছো তুমি যতো গুনাহ করেছো, কিছু মুছতে

পারবেনা, । এগুলোর কারণে তুমি কঠিন আজাব পাবে

জেনে রাখো ।

তোমাকে কি সতর্ক করা হয়নি??? তবে কেনো নিজেকে

সুধরালেনা??? ''

যমদুত আজরাইল (আ) এর কথা শুনে তামজীদের মনে হয়ে

গেলো পুরোনো সব ভুলের কথা , হে তাকে সতর্ক করা

হয়েছিলো, তার কাছের বন্ধু, পরিবার পরিজন সবাই

তাকে সতর্ক করেছিলো। তামজীদের মনে পরে গেলো

তার বড় ভাইয়ের সাথে দু_দিন আগেও করা

তর্ক_বিতর্কের কথা।

ভাই ____ তামজীদ তুমি যা করছো তা জিনা, এগুলো

থেকে সরে এসো, এগুলো তোমার জাহান্নামের কারণ

হয়ে রইবে।

তামজীদ ___ জিনা কি???

ভাই _____যিনা বা ব্যভিচার বলতে বুঝায় ইসলামী

শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধন ছাড়া অবৈধ পন্থায় যৌন

তৃপ্তি লাভ করাকে। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায়

যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

# রাসূল (সা) বলেছেন, ‘মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের

সাহায্যে জিনা করে।

# দেখা হচ্ছে # চোখের জিনা,

# ফুঁসলানো # কণ্ঠের জিনা,

তৃপ্তির সাথে কথা শোনা

# কানের জিনা,

# হাত দিয়ে স্পর্শ করা # হাতের জিনা,

কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথ চলা

# পায়ের জিনা,

এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি

পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা

পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে’ (বুখারি, মুসলিম ও আবু

দাউদ)।

তামজীদ____ বলে উঠলো আমি কারও প্রতি কখনও জুলুম

করেনি, মেয়ে রা দেখার সুযোগ দিয়েছে , এবং তারা

আমার সাথে এক মত ছিলো, তাই আমি যৌনচারে লিপ্ত

ছিলাম।

So, আমার দোষ কি???

ভাই ___তোমাকে কি কুরআন দেয়া হয়নি??? সেখানে কি

বলা হয়নি। তোমার চোখ ও যৌনাঙগের হিফাজত

করতে???

ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ۟ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَٰﺮِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ۟ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْۚ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰٰ ﻟَﻬُﻢْۗ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌۢ

ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ

মু’মিনদের বল তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের

লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, এটাই তাদের জন্য বেশি

পবিত্র, তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব

ভালভাবেই অবগত।(আন-নূর ২৪:৩০)

# তামজীদ ____আমি তো জানতাম, just physical relation ই

জিনা , এসব ও???

# ভাই ___এসব ও, কীভাবে দেখো, যখন তুমি কাউকে

কামনার দৃষ্টি তে দেখছো, মহনীয়ভাবে দেখছো, তখন

তোমার চোখের খিয়ানত হচ্ছে।

যখন তুমি কাউকে নিয়ে কল্পনা করছো তখন তোমার

আত্মার খিয়ানত করছো, মন অশুদ্ধ করছো

এই যে অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে অশ্লীল page, gruop আর

side এ থাকো, মজা নিচ্ছো, তুমি কিন্তুু নিজেও বুজতে

পারছোনা তুমি আল্লাহ 'তালা কে এসব ধারা কীভাবে

অমান্য করছো

তুমি কি জানো জিনাকারীর শাস্তি কি?? আর তুমি কি

সেটা জানো তুমি যদি কারও দিকে শুধু খারাপ দৃষ্টিপাত

করো হোক সেটা ofline বা online এ, ধরো ফেসবুকে একটা

মেয়ের ছবি দেখে তুমি খারাপ দৃষ্টিপাত দিলে, তখনও

তুমি জিনাকারী, বুজেছো??

#তামজীদ ____ জিনাকারীর শাস্তির বিষয়ে কুরআন কি

কিছু বলা হয়েছে??

#ভাই _____যিনার বিধান:

ইসলামের মূল লক্ষ্যসমুহের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হল,

মানুষের ইজ্জত-আবরু ও বংশের হেফাজত করা। যিনার

মাধ্যমে ইসলামের এ মহান উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হয় বিধায়

ইসলামে এটি হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে

এবং যে সব মানবিক অপরাধের শাস্তি নির্ধারণ করা

হয়েছে এটি তন্মধ্যে গুরুতর ও অন্যতম। ব্যভিচার এমন

একটি গুনাহ, যা অনেকগুলো অপরাধের জন্ম দেয়।

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

•“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটি

অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা।” (সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২)

তিনি অন্য স্থানে বলেন:

• “কোন রকম অশ্লীলতার কাছেও যেও না তা প্রকাশ্যে

হোক বা গোপনে হোক।” (সূরা আল-আনআম: ১৫১)

অশ্লীল কাজসমূহের মধ্যে যিনা বা ব্যভিচার সর্বাধিক

অশ্লীল কাজ। ইসলাম পর্দার বিধান পালন, দৃষ্টি

অবনতকরণ ও পরনারীর সাথে নির্জনে অবস্থান নিষিদ্ধ

করার মাধ্যমে ব্যভিচারের পথ ও মাধ্যম রুদ্ধ করে

দিয়েছে।

যিনাহ/ব্যভিচার ৭ টি জিনিস দিয়ে হয়

# মন- এখান থেকেই ব্যভিচারের উৎপত্তি। যে ব্যক্তি

মনের বিরুদ্ধে চলতে পারে সেই পূর্ণ ঈমানদার মুসলমান

হয়।

# চোখ - চোখের ব্যভিচার সবচেয়ে বড় ব্যভিচার্। কারোর

প্রতি অসাবধানতাবশত প্রথমবার চোখ পড়লে পাপ হয়না

কিন্তু ২য় বার তাকালে বা ১ম বার দৃষ্টির পর সাথে সাথে

দৃষ্টি ফিরিয়ে না নিলে যিনা তথা ব্যভিচার হয়।

# জিহ্বা - জিহ্বা দ্বারা ব্যভিচার হয় যখন একজন নর/

নারী আরেকজন নর/নারীর সাথে কথা বলে রক্ত ও স্ত্রীর

সম্পর্ক ছাড়া। দরকার ছাড়া , মহোনীয় ভাবে, attraction

এর জন্য।

# কান - এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন নর/নারীর কথা শুনা

হয়। যেমন উদাহরণ দেয়া যায় বর্তমান lover রা যেভাবে

contact করে আবার, sexual chat online এ, এসব।

#হাত- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন কোন বিবাহিত/

অবিবাহিত নর/নারীর শরীরের যেকোন অংশ স্পর্শ বা

ধরা হয়।

# পা- এটা দিয়ে ব্যভিচার হয় যখন পায়ে হেটে কাঙ্খিত

কোন নর বা নারীর কাছে যাওয়া হয়। ধরুন bf or gf এর

সাথে মিট করা

# গুপ্ত_অঙ্গ - এটা দিয়েই শুধু ব্যভিচার হয় মানুষ তা

ভাবলেও এটার স্থান সবার পরে। কেননা উপরে ৬ টিকে

দমন করতে পারলেই এই অঙ্গ হেফাযত করা যাবে।

জিনাকারী জাহান্নামী তামজীদ, জাহান্নামী।

তামজীদ লাফ দিয়ে উঠে গেলো ঘুম থেকে, সবই তার

স্বপ্ন ছিলো এতক্ষণ যা দেখলো শুনলো, তবে এতো

ছিলো আল্লাহ সুবাহান 'তালার পক্ষ থেকে তার জন্য

শেষ সতর্ক বার্তা , রাত 3 টা, ভয়ে পুরো ঘেমে আছে, না

আর দেরি করা যাবেনা, আজ থেকে এখন থেকে সে সব

গুনাহ ছারবে।

উঠে ওযু করে আসলো, ওযু করার সময় তার মনে হচ্ছিলো সব

গুনাহ জরে যাচ্ছে, সে পবিত্র হচ্ছে। তাহাজজুদ নামাজ

পরলো, এরপরে তওবাহ নামাজ, অঝরে কান্না করতে

থাকলো, ক্ষমা চাইলো তার ভুলের জন্য আর আল্লাহ

'তালার নিকট সাহায্য চাইলো ।

যিনা-ব্যভিচার কবিরা গুনাহ। তওবা ব্যতীত এ গোনাহ

মাফ হয় না ।

ব্যভিচারী ব্যক্তি ঐ গর্হিত কর্ম থেকে ফিরে এসার জন্য

অনুতপ্ত হয়ে পবিত্র অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তার

তওবা কবুল করবেন-ইংশাআল্লাহ।


No comments:

Post a Comment