Wap4dollar.com

Monday 29 June 2015

বাংলায় উচ্চারণ সহ কিছু সূরা-২

★সুরা আসর।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالْعَصْرِ.
কসম যুগের (সময়ের), [সুরা আসর: ১]
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ. নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; [সুরা আসর: ২]
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ.
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। [সুরা আসর: ৩]

★সুরা তাকাসুর।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ.
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে, [সুরা তাকাসুর: ১]
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ.
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। [সুরা তাকাসুর: ২]
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ.
এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। [সুরা তাকাসুর: ৩]
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ.
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। [সুরা তাকাসুর: ৪]
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ.
কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে। [সুরা তাকাসুর: ৫]
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ.
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে, [সুরা তাকাসুর: ৬]
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ.
অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে, [সুরা তাকাসুর: ৭]
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ.
এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। [সুরা তাকাসুর: ৮]

★সুরা ক্বারিয়া
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ الْقَارِعَةُ.
করাঘাতকারী, [সুরা ক্বারিয়া: ১]
مَا الْقَارِعَةُ.
করাঘাতকারী কি? [সুরা ক্বারিয়া: ২]
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ.
করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? [সুরা ক্বারিয়া: ৩]
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ.
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত [সুরা ক্বারিয়া: ৪]
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ.
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত। [সুরা ক্বারিয়া: ৫]
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ.
অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, [সুরা ক্বারিয়া: ৬]
فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ.
সে সুখীজীবন যাপন করবে। [সুরা ক্বারিয়া: ৭]
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ.
আর যার পাল্লা হালকা হবে, [সুরা ক্বারিয়া: ৮]
فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ.
তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। [সুরা ক্বারিয়া: ৯]
وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ.
আপনি জানেন তা কি? [সুরা ক্বারিয়া: ১০]
نَارٌ حَامِيَةٌ.
প্রজ্জ্বলিত অগ্নি! [সুরা ক্বারিয়া: ১১]

★সুরা আদিয়্যাত।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا.
শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের, [সুরা আদিয়্যাত: ১]
فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا.
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের [সুরা আদিয়্যাত: ২]
فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا.
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের [সুরা আদিয়্যাত: ৩]
فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا.
ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে [সুরা আদিয়্যাত: ৪]
فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا.
অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে- [সুরা আদিয়্যাত: ৫]
إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ.
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। [সুরা আদিয়্যাত: ৬] وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ.
এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত [সুরা আদিয়্যাত: ৭]
وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ.
এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত। [সুরা আদিয়্যাত: ৮]
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ.
সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে [সুরা আদিয়্যাত: ৯]
وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ.
এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে? [সুরা আদিয়্যাত: ১০]
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ.
সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত। [সুরা আদিয়্যাত: ১১]

★সুরা বাইয়্যেনাহ।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ.
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ১]
رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً.
অর্থাৎ আল্লাহর একজন রসূল, যিনি আবৃত্তি করতেন পবিত্র সহীফা, [সুরা বাইয়্যেনাহ: ২]
فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ.
যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৩]
وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَةُ.
অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৪]
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ.
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৫]
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ.
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৬]
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৭]
جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ.
তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [সুরা বাইয়্যেনাহ: ৮]

★সুরা তীন।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ.
শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, [সুরা তীন: ১]
وَطُورِ سِينِينَ.
এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, [সুরা তীন: ২]
وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ.
এবং এই নিরাপদ নগরীর। [সুরা তীন: ৩]
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ.
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। [সুরা তীন: ৪]
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ.
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। [সুরা তীন: ৫]
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ.
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। [সুরা তীন: ৬]
فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّينِ.
অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? [সুরা তীন: ৭]
أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ.
আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন? [সুরা তীন: ৮]

★সুরা আলাক।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ.
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন [সুরা আলাক: ১]
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ.
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। [সুরা আলাক: ২]
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ.
পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, [সুরা আলাক: ৩]
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ.
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, [সুরা আলাক: ৪]
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ.
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। [সুরা আলাক: ৫]
كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى.
সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে, [সুরা আলাক: ৬]
أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى.
এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। [সুরা আলাক: ৭]
إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى.
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে। [সুরা আলাক: ৮]
أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى.
আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে [সুরা আলাক: ৯]
عَبْدًا إِذَا صَلَّى.
এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে? [সুরা আলাক: ১০]
أَرَأَيْتَ إِن كَانَ عَلَى الْهُدَى.
আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে। [সুরা আলাক: ১১]
أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى.
অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়। [সুরা আলাক: ১২]
أَرَأَيْتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلَّى.
আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। [সুরা আলাক: ১৩]
أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى.
সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন? [সুরা আলাক: ১৪]
كَلَّا لَئِن لَّمْ يَنتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ.
কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই- [সুরা আলাক: ১৫]
نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ.
মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ। [সুরা আলাক: ১৬]
فَلْيَدْعُ نَادِيَه.
অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক। [সুরা আলাক: ১৭]
سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ.
আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে [সুরা আলাক: ১৮]
كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ.
কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন। [সুরা আলাক: ১৯]

★সুরা গাশিয়াহ।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ.
আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি? [সুরা গাশিয়াহ: ১]
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ.
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত, [সুরা গাশিয়াহ: ২]
عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ.
ক্লিষ্ট, ক্লান্ত। [সুরা গাশিয়াহ: ৩]
تَصْلَى نَارًا حَامِيَةً.
তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে। [সুরা গাশিয়াহ: ৪]
تُسْقَى مِنْ عَيْنٍ آنِيَةٍ.
তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে। [সুরা গাশিয়াহ: ৫]
لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ.
কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই। [সুরা গাশিয়াহ: ৬]
لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ.
এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না। [সুরা গাশিয়াহ: ৭]
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ.
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব, [সুরা গাশিয়াহ: ৮]
لِسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ.
তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট। [সুরা গাশিয়াহ: ৯]
فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ.
তারা থাকবে, সুউচ্চ জান্নাতে। [সুরা গাশিয়াহ: ১০]
لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً.
তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা। [সুরা গাশিয়াহ: ১১]
فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ.
তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা। [সুরা গাশিয়াহ: ১২]
فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ.
তথায় থাকবে উন্নত সুসজ্জিত আসন। [সুরা গাশিয়াহ: ১৩]
وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ.
এবং সংরক্ষিত পানপাত্র [সুরা গাশিয়াহ: ১৪]
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ.
এবং সারি সারি গালিচা [সুরা গাশিয়াহ: ১৫]
وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ.
এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট। [সুরা গাশিয়াহ: ১৬]
أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ.
তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? [সুরা গাশিয়াহ: ১৭]
وَإِلَى السَّمَاء كَيْفَ رُفِعَتْ.
এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে? [সুরা গাশিয়াহ: ১৮]
وَإِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ.
এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে? [সুরা গাশিয়াহ: ১৯]
وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ.
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে? [সুরা গাশিয়াহ: ২০]
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ.
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, [সুরা গাশিয়াহ: ২১]
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ.
আপনি তাদের শাসক নন, [সুরা গাশিয়াহ: ২২]
إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ.
কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়, [সুরা গাশিয়াহ: ২৩]
فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ.
আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন। [সুরা গাশিয়াহ: ২৪]
إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ.
নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, [সুরা গাশিয়াহ: ২৫]
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ.
অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব। [সুরা গাশিয়াহ: ২৬]

No comments:

Post a Comment