Wap4dollar.com

Monday 29 June 2015

বাংলায় উচ্চারণ সহ কিছু সূরা-২

★সুরা ফা’জর।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالْفَجْرِ.

শপথ ফজরের, [সুরা ফা’জর: ১] وَلَيَالٍ عَشْرٍ.
শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার, [সুরা ফা’জর: ২]
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ.
যা জোড় ও যা বিজোড় [সুরা ফা’জর: ৩]
وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ.
এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে [সুরা ফা’জর: ৪]
هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ.
এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। [সুরা ফা’জর: ৫]
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ.
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,[সুরাফা’জর:৬]
إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ.
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং [সুরা ফা’জর: ৭]
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ.
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি [সুরা ফা’জর: ৮]
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ.
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল। [সুরা ফা’জর: ৯]
وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ.
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে [সুরা ফা’জর: ১০]
الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ.
যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল। [সুরা ফা’জর: ১১]
فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ.
অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। [সুরা ফা’জর: ১২]
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ.
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। [সুরা ফা’জর: ১৩]
إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ.
নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। [সুরা ফা’জর: ১৪]
فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ.
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। [সুরা ফা’জর: ১৫]
وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ.
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন। [সুরা ফা’জর: ১৬]
كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ.
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না। [সুরা ফা’জর: ১৭]
وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ.
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। [সুরা ফা’জর: ১৮]
وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا.
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল [সুরা ফা’জর: ১৯]
وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا.
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস। [সুরা ফা’জর: ২০]
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا.
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর ্ণ হবে [সুরা ফা’জর: ২১]
وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا.
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, [সুরা ফা’জর: ২২]
وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى.
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? [সুরা ফা’জর: ২৩]
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي.
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! [সুরা ফা’জর: ২৪]
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ.
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। [সুরা ফা’জর: ২৫]
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ.
এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। [সুরা ফা’জর: ২৬]
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ.
হে প্রশান্ত মন, [সুরা ফা’জর: ২৭]
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً.
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। [সুরা ফা’জর: ২৮]
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي.
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। [সুরা ফা’জর: ২৯]
وَادْخُلِي جَنَّتِي.
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। [সুরা ফা’জর: ৩০]

★সুরা বা’লাদ।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ لَا أُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ.
আমি এই নগরীর শপথ করি [সুরা বা’লাদ: ১]
وَأَنتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ.
এবং এই নগরীতে আপনার উপর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। [সুরা বা’লাদ: ২]
وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ.
শপথ জনকের ও যা জন্ম দেয়। [সুরা বা’লাদ: ৩]
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي كَبَدٍ.
নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। [সুরা বা’লাদ: ৪]
أَيَحْسَبُ أَن لَّن يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ.
সে কি মনে করে যে, তার উপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না ? [সুরা বা’লাদ: ৫]
يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا.
সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি। [সুরা বা’লাদ: ৬]
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ.
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি? [সুরা বা’লাদ: ৭]
أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ.
আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়, [সুরা বা’লাদ: ৮]
وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ.
জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ? [সুরা বা’লাদ: ৯]
وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ.
বস্তুতঃ আমি তাকে দু'টি পথ প্রদর্শন করেছি। [সুরা বা’লাদ: ১০]
فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ.
অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। [সুরা বা’লাদ: ১১]
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ.
আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? [সুরা বা’লাদ: ১২]
فَكُّ رَقَبَةٍ.
তা হচ্ছে দাসমুক্তি [সুরা বা’লাদ: ১৩]
أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ.
অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান। [সুরা বা’লাদ: ১৪]
يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ.
এতীম আত্বীয়কে [সুরা বা’লাদ: ১৫]
أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ.
অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে [সুরা বা’লাদ: ১৬]
ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ.
অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। [সুরা বা’লাদ: ১৭]
أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ.
তারাই সৌভাগ্যশালী। [সুরা বা’লাদ: ১৮]
وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا هُمْ أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ.
আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা। [সুরা বা’লাদ: ১৯]
عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌ.
তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে। [সুরা বা’লাদ: ২০]

★সুরা শামস।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا.
শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, [সুরা শামস: ১]
وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا. শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে, [সুরা শামস: ২]
وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا.
শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে, [সুরা শামস: ৩]
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا.
শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে, [সুরা শামস: ৪]
وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا.
শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। [সুরা শামস: ৫]
وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا.
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর, [সুরা শামস: ৬]
وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا.
শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর, [সুরা শামস: ৭]
فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا.
অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন, [সুরা শামস: ৮]
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا.
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। [সুরা শামস: ৯]
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا.
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। [সুরা শামস: ১০]
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا.
সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল। [সুরা শামস: ১১]
إِذِ انبَعَثَ أَشْقَاهَا.
যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল। [সুরা শামস: ১২]
فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا.
অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক। [সুরা শামস: ১৩]
فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا.
অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন। [সুরা শামস: ১৪]
وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا.
আল্লাহ তা'আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না। [সুরা শামস: ১৫]

★সুরা লাইল।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى.
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, [সুরা লাইল: ১]
وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى.
শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় [সুরা লাইল: ২]
وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى.
এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন, [সুরা লাইল: ৩]
إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى.
নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের। [সুরা লাইল: ৪]
فَأَمَّا مَن أَعْطَى وَاتَّقَى.
অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়, [সুরা লাইল: ৫]
وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى.
এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, [সুরা লাইল: ৬]
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى.
আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [সুরা লাইল: ৭]
وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى.
আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় [সুরা লাইল: ৮]
وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى.
এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, [সুরা লাইল: ৯]
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى.
আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [সুরা লাইল: ১০]
وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى.
যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না। [সুরা লাইল: ১১]
إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى.
আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা। [সুরা লাইল: ১২]
وَإِنَّ لَنَا لَلْآخِرَةَ وَالْأُولَى.
আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের। [সুরা লাইল: ১৩]
فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى.
অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। [সুরা লাইল: ১৪]
لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى.
এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে, [সুরা লাইল: ১৫]
الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى.
যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। [সুরা লাইল: ১৬]
وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى.
এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে, [সুরা লাইল: ১৭]
الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে। [সুরা লাইল: ১৮]
وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَى.
এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না। [সুরা লাইল: ১৯]
إِلَّا ابْتِغَاء وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى.
তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত। [সুরা লাইল: ২০]
وَلَسَوْفَ يَرْضَى.
সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে। [সুরা লাইল: ২১]

★সুরা দুহা।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ وَالضُّحَى.
শপথ পূর্বাহ্নের, [সুরা দুহা: ১]
وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى.
শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, [সুরা দুহা: ২]
مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى.
আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি। [সুরা দুহা: ৩]
وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْأُولَى.
আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়। [সুরা দুহা: ৪]
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى.
আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন। [সুরা দুহা: ৫]
أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَى.
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। [সুরা দুহা: ৬
وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى.
তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন। [সুরা দুহা: ৭]
وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَى.
তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।[সুরা দুহা: ৮]
فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ.
সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; [সুরা দুহা: ৯]
وَأَمَّا السَّائِلَ فَلَا تَنْهَرْ.
সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। [সুরা দুহা: ১০]
وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ.
এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। [সুরা দুহা: ১১]

★সুরা আলাম-নাশরাহ।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ.
আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? [সুরা আলাম-নাশরাহ: ১]
وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ.
আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা, [সুরা আলাম-নাশরাহ: ২]
الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ.
যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৩]
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৪]
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا.
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৫]
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا.
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৬]
فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ.
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৭]
وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ.
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন। [সুরা আলাম-নাশরাহ: ৮]

★সুরা লাহাব।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ.
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, [সুরা লাহাব: ১]
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ.
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। [সুরা লাহাব: ২]
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ.
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে [সুরা লাহাব: ৩]
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ.
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, [সুরা লাহাব: ৪]
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ.
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। [সুরা লাহাব: ৫]

No comments:

Post a Comment