Wap4dollar.com

Saturday 15 August 2015

★★★ শিরক নিয়ে কিছু কথা ★★★

★★★ শিরক নিয়ে কিছু কথা ★★★

অনেকেই না জেনে এইভাবে শিরক করে থাকে, আসুন সবাইকে সাবধান করি এবং নিজে ও বেঁচে থাকি। শাব্দিক অর্থে শিরক মানে অংশীদারিত্ব, কোন কিছুতে অংশীদার সাব্যস্ত করা। ইসলামের পরিভাষায় এর অর্থ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে কোন বিষয়ে কোন অংশীদার স্থির করা। তিন প্রকারের তাওহীদ (তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ, তাওহীদ আল আসমা ওয়া সিফাত এবং তাওহীদ আল ইবাদাহ), শিরকও এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। শিরক হতে পারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে, তাঁর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে কিংবা তাঁর ইবাদাতের ক্ষেত্রে। শিরকের ভয়াবহ পরিণতি: “আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করার অপরাধ অবশ্যই  ক্ষমা করবেন না, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে কম (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আন নিসা, ৪ : ৪৮) শিরকপূর্ণ ধ্যান-ধারণা ও রীতি: কোন মানুষকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমত বন্টনের অধিকারী বলে মনে করা। কোন মানুষকে (পীর, ফকির, দরবেশ) কোন বিপদকে প্রতিহত করতে সক্ষম, কিংবা কোন কল্যাণ এনে দিতে সক্ষম বলে মনে করা। উল্লেখ্য যে আমাদের দেশে বাবে রহমত নামক একটি স্থান রয়েছে যেখানে মানুষ আল্লাহর রহমত লাভের আশায় গিয়ে থাকে। সেখানে আল্লাহর রহমত তো পাওয়া যাবেই না, বরং অন্য একজন ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বন্টন করছে বলে মনে করার ফলে শিরকের মত ভয়াবহ অপরাধে অপরাধী হতে হবে। কবরে শায়িত কোন ধার্মিক ব্যক্তির নিকট কোন দু’আ পেশ করা, মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে কিছু চাওয়া, কবরবাসীর
উদ্দেশ্যে সাজদাহকরা, কিংবা কবরবাসী কবরে শুয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক, এবং ইহজগতের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলে মনে করা। "আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন
বস্তুসমূহের ইবাদত করে যারা তাদের কোন অপকারও করতে পারবে না এবং তাদের কোন
উপকারও করতে পারে না, আর তারা বলেঃ এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী;তুম বলে দাওঃ তোমরা কি আল্লাহকে এম বিষয়ের সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি অবগত
নন, না আকাশ সমুহে, আর না জমীনে? তিনি পবিত্র ও তাদের মুশরিকী কার্যকলাপ হতে অনেক ঊর্ধ্বে।"[সূরা ইউনুসঃ ১৮]

"লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসূল উল্লাহ্ (স.)"
হযরত আলী (রাঃ) নিকট একদিন একজন দেনাদার গোলাম নিজের অবস্থা জানিয়ে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করলেন। হযরত আলী (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ- আমি তোমাকে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দিচ্ছি, যা হযরত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে শিখিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, '' পাহাড় সমান দেনা থাকলেও, পূর্ণ ঈমানের সাথে, পূর্ণ বিশ্বাস ও ভক্তির সাথে এই দোয়া পড়লে ইনশা আল্লাহ তা আদায় হয়ে যাবে। ''
►তিরমিজি শরিফের দোয়া টি এই -

''اللهم اكفني بحلالك عن حرامك واغنني بفضلك عمن سواك "
'' আল্লাহুম্মা আকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বি ফাধলিকা আম্মান সিওাক ''

No comments:

Post a Comment